হৃদয় গোরস্থানে ওঠলো বেজে ইস্রাফিল এর ফু’ধ্বনি
পর্দার অন্তরালে সুপ্ত ছিল যাহা অনুভব হয়ে
শব্দের রূপ নিয়ে খিল খিল করে ওঠলো হেসে-
তাড়িয়ে দিতে চেয়েছি,
দূর দূর করে দুরে রাখতে চেয়েছি যতবার
ওরা আমার সমস্ত কোল জুড়ে, বুক জুড়ে,
কাদ বেয়ে মাথার ভিতরে লাফাতে লাগল।
সবচেয়ে বিস্মিত করতো নিশুতি রাতের তারা
তাদের সত্যিকার নাম জানা ছিল না আমার
তবে সবাইকে চিনতাম আমি, আমার নিজস্ব নামে।
কোন ঋতুতে কোন দিকে কোন তারা উদিত হয় সব
বলে দিতে পারি, আজও।
এমন সময় যেত চারতলা ছাদে শুয়ে শুয়ে
তারাদের উদয়স্ত দেখতাম।
কোন কোন মধ্যরাতে যখন পৃথিবী ঘুমে বিভোর
আমার আর তারাদের মাঝে কথা হতো-
সুন্দরী চুপি চুপি আসত তাদের বাড়ীর ছাদে
দুটি পশাপাশি, ও বাড়ীর উপর দিয়ে
বইয়ে যাওয়া হাওয়া এ বাড়ীতে আছরে পড়ে,
আমি আকাশের সাথে কথা বলতে বলতে
সুন্দরীর গায়ে গন্ধ পেতাম,
কানে আসত ভেসে চেপে রাখা
খিল খিল মাখা ফিস ফিস ধ্বনি
-`ওরে পাগলা, শুয়ে শুয়ে তারা গুন।’
না শুনার ভান করতাম ।
‘পাগলা, ও পাগলা’- চকিত তাকাতাম পাশ ফিরে।
কিছু না, সুন্দরীর চোখে মুখে যে আনন্দ বিভা
ছড়িয়ে পড়ত দেখতাম তা ছড়িয়ে পরেছে
সমস্ত আকাশ জুড়ে তারাদের বিন্যাসে বিন্যাসে।
ও নিশুতি রাতের তারা
ও অনন্ত অনাদি আকাশ
আমিতো চেয়েছি ভুলে যেতে,
রেখেছি সেই দ্যোতি বুকের গভীরে যতন করে
কেন তারে জাগালে আজ রাতে-
আজো কেন রাখলে ধরে
সামান্য খুশির ঝিলিক তোমার অলীক বিন্যাসে?
এ কোন অত্যাচারে স্মৃতির অতল গহ্বরে
হৃদয় গোরস্থানে ওঠলো বেজে ইস্রাফিল এর ফু’ধ্বনি
পর্দার অন্তরালে সুপ্ত ছিল যাহা অনুভব হয়ে
শব্দের রূপ নিয়ে খিল খিল করে ওঠলো হেসে-
তাড়িয়ে দিতে চেয়েছি,
দূর দূর করে দুরে রাখতে চেয়েছি যতবার
ওরা আমার সমস্ত কোল জুড়ে, বুক জুড়ে,
কাদ বেয়ে মাথার ভিতরে লাফাতে লাগল।
loading...
loading...
শুভ সকাল কবি। বুঝলাম লিখা গুলি পরিমার্জিত হচ্ছে। শুভ কামনা থাকলো স্যার।
loading...
চমৎকার কবি দা
loading...
Excellent writen
loading...