করোনা যুদ্ধে আমারও মৃত্যু হতে পারে–তাই ক্ষমাপ্রার্থী

একসময় যুদ্ধ হতো ঢাল, তলোয়ার, বল্লম, আর আগুনের গোল্লা নিক্ষেপ করে। এরপর মানুষ বারুদ তৈরি করা শিখলো। তারপর শিখলো বিশালাকৃতির কামান তৈরি করা। সম্মুখ যুদ্ধে চলতো ঢাল- তলোয়ারের ঝনঝনানি, আর বল্লমের খোঁচা। দূর থেকে নিক্ষেপ করা হতো কামানের গোলা। কামানগুলো ছিল তখনকার সময়ের দা-কুড়াল বল্লম বানানো কামার দিয়ে। সেই কামানগুলো দেখতে হুবহু কলাগাছের মতো দেখা যেতো। এসব যুদ্ধ কেবলি মোগল সাম্রাজ্যের সময়ই বেশি ছিল।

এরপর শুরু হলো মানুষ মারার অত্যাধুনিক অস্ত্র-সস্ত্রের আবিস্কার। রাইফেল, এলএমজি, পিস্তল, ট্রাঙ্ক ও আকাশ থেকে আকাশে, ভূমি থেকে ভূমিতে মারার স্কাট ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমানবিধ্বংসী কামান-সহ সামরিক যুদ্ধজাহাজ, ডুবোজাহাজ। এখনো যুদ্ধে জয়লাভ করার জন্য বিশ্বের অনেক দেশ অনেকরকম মারণাস্ত্র তৈরি করার জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ প্রকাশ্যে, কেউ গোপনে।

পৃথিবীর অনেক দেশই নিজ নিজ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য গোলাবারুদ, কামান, ট্যাঙ্ক, যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ অনেককিছু প্রস্তুত করে রেখেছে। যাতে অন্য দেশের আক্রমণ থেকে নিজের দেশের মানুষ এবং দেশের সম্পদ তথা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যায়। এতে কিন্তু অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি হয়। জান-মাল, অর্থনীতি-সহ কয়েকটা দেশ কয়েক দিনের মধ্যেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। তবুও ক্ষমতার লড়াই থেমে নেই। প্রাচীনকাল থেকে এ-পর্যন্ত লড়াই চলছেই চলছে। সভ্যতার শুরু থেকে যেসব যুদ্ধ এই পৃথিবীতে সংঘটিত হয়েছে, সব যুদ্ধই সৃষ্টি হয়েছে কোনো-না-কোনও মানুষের হিংসাত্মক মনোভাব থেকে।

তারপরও বলা যায় যে, মহান স্রষ্টার এই পৃথিবীতে যা-কিছু ঘটে; সেই ঘটনায় স্রষ্টার ইশারা ইঙ্গিতও কিছু-না-কিছু থাকে। কথায় আছে, “মহান স্রষ্টার হুকুম ছাড়া গাছের একটা পাতাও নড়ে না।” তা-ই যদি হয়, তাহলে মহান সৃষ্টিকর্তার ইশারা ছাড়া মানুষের একক মতে কিছুতেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হতে পারেনি। নিশ্চয়ই মহান সৃষ্টিকর্তা নির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা যুদ্ধগুলোই এযাবতকাল পর্যন্ত এই পৃথিবীতে সংঘটিত হয়েছিল। যেহেতু মহান সৃষ্টিকর্তার হুকুম ছাড়া আলো-বাতাস-সহ সবই অচল। সচল করার কারোর সাধ্য নেই।

ইদানিংকালে সারাবিশ্বে দেখা দিয়েছে এক প্রাণঘাতী যুদ্ধ। এই যুদ্ধ মনে হয় ঘটে যাওয়া সেসব যুদ্ধ থেকে খুবই ভয়াবহ এবং নির্মম ভয়ংকর হতে যাচ্ছে। মনে হয় মহান স্রষ্টা সুন্দর পৃথিবী সৃষ্টি করার পরেই এই যুদ্ধ সংঘটিত হবার দিনতারিখ নির্ধারণ করে রেখেছিলেন। তাই পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে বিশ্বে সংঘটিত হওয়া সব যুদ্ধের পর এই যুদ্ধটা শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের শেষদিকে। মানুষে এই যুদ্ধটার নাম দিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। বর্তমান যুগে এই যুদ্ধের ভাব-নমুনা দেখে মনে হয় এই যুদ্ধটা মহান সৃষ্টিকর্তা নিজেই যেন পরিচালনা করছেন। তাই এই যুদ্ধে কোনও সৈনিক বা সৈন্য নেই। এই যুদ্ধের যোদ্ধা চোখে দেখা যায় না। এই যুদ্ধে কোনও অস্ত্র-সস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে না। যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ, ডুবোজাহাজ, ট্যাংক, কামান, স্কাট ক্ষেপণাস্ত্র, রাইফেল, পিস্তল কিছুরই দরকার হচ্ছে না। যুদ্ধের যোদ্ধাও শুধু একজনই। যাঁর নাম করোনাভাইরাস। এটি দেখা দিয়েছে একরকম প্রাণঘাতী রোগের রূপধারণ করে। এই রোগের নাম নভেল কোরনাভাইরাস, সংক্ষেপে কোভিড-১৯।

সভ্যতার শুরু থেকে যেসব যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, সেসব যুদ্ধে কয়েকটা দেশ পক্ষে বিপক্ষে থাকতো। একদেশ অন্য দেশকে আক্রমণ করতো। আবার এক দেশ আরেক দেশকে অস্ত্র-সস্ত্র-সহ বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করতো। কিন্তু এই করোনা যুদ্ধে কোনও পক্ষ বিপক্ষ নেই। এটি গণচীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে আবির্ভাব হয়ে আস্তে আস্তে সারাবিশ্বকে একাই আক্রমণ করে ফেলেছে।

এই যুদ্ধে সারাবিশ্বে ২০ জুলাই, ২০২০ইং এপর্যন্ত–
আহত সংখ্যা; ১,৪৬,০৮,৫১৭ জন।
যুদ্ধাহত হয়ে সুস্থ সংখ্যা; ৮২,০১,৫১৬ জন।
যুদ্ধে মৃত্যু সংখ্যা; ৬,০৮,৪৮৭ জন।

এই যুদ্ধে বাংলাদেশে ২০জুলাই, ২০২০ইং এপর্যন্ত–
আহত সংখ্যা; ২,০৭,৪৫৩ জন
যুদ্ধাহত হয়ে সুস্থ সংখ্যা; ১,১৩,৫৫৬ জন।
যুদ্ধে মৃত্যু সংখ্যা; ২,৬৬৮ জন।

এতো আহত নিহত হবার পরও এই যুদ্ধ এখনো বিরামহীনভাবে আমাদের দেশ-সহ সারা পৃথিবীতে আক্রমণ করা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আহত নিহত হচ্ছেই। তবুও এখন পর্যন্ত পৃথিবীর কোনও বিজ্ঞানী এই করোনা যুদ্ধ প্রতিহত করার মতো কোনও অস্ত্র, গোলাবারুদ বা ভ্যাক্সিন তৈরি করতে পারেনি। আর পারবে বলেও তেমন কোনও আবাস পাওয়া যাচ্ছে না।

এর কারণ বলতে মনে হয়, মহান সৃষ্টিকর্তা মানবজাতির উপর বড়ই ক্ষিপ্ত হয়েছেন। তিনি এই পৃথিবীতে জীবের সেরা জীব হিসেবে মানুষকে সৃষ্টির পর থেকে কিছুতেই বশ করতে পারছে না। সভ্যতার শুরু থেকে মানবজাতি দিনদিন অসভ্য উশৃংখল হয়ে দানবে রুপান্তরিত হচ্ছে। বর্তমান পৃথিবীতে জীবের সেরা মানব যা করছে, বনের পশুজাত প্রাণীরাও তা করছে না। বনের পশুজাত প্রাণীগুলো যা করে, তাও একটু ভেবেচিন্তে মহান সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণে রেখে করে। অথচ জীবের সেরা মানুষগুলো যে-কোনো কাজ করার আগে মহান সৃষ্টিকর্তাকে একটু স্মরণ করে না, ভাবেও না। তিনি যে মহান সৃষ্টিকর্তা সর্বশক্তিমান, তা এই পৃথিবীর মানুষগুলো বুঝেও বুঝে না।

তিনি মহান সৃষ্টিকর্তা জীবের জন্য গাছে দিয়েছেন ফল, নদীতে দিয়েছেন জল। মহান সৃষ্টিকর্তার ইশারায় মুহূর্তে এই পৃথিবী লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। যেমন– সুনামি, ভূকম্পন, ঝড়তুফান, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা। এগুলো স্বয়ং মহান সৃষ্টিকর্তারই ক্ষমতার প্রমাণস্বরূপ। তাই চন্দ্র-সূর্য, আলো-বাতাস, গ্রহ-নক্ষত্র সবসময়ই মহান সৃষ্টিকর্তার মহিমা কীর্তন করে এবং তাঁর আদেশনির্দেশাদি মেনে পৃথিবী সৃষ্টি থেকে এপর্যন্ত জীবের পাপপুণ্যের হিসাব না করে সবার জন্য সমানভাবে বিতরণ বিচরণ করে যাচ্ছে।

আর আমরা মহান সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি জীবের সেরা উপাধি পেয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার আদেশনির্দেশাদি মেনে চলা তো দূরের কথা, আমরা সবসময়ই একে অপরের ক্ষতিসাধন করছি। হিংসা করছি, অহংকার করছি। একে মারছি, ওঁকে মারছি। তিনি যে একজন অদৃশ্য শক্তি হয়ে আমাদের সাথে সবসময়ই আছেন, তা-ও আমরা ভুলেও মনে করি না। আমরা মানুষ হয়ে মানুষের ক্ষতি করার জন্য সবসময় লিপ্ত থাকি। নিজের স্বার্থের জন্য নিজের গর্ভধারিণী মা-বাবাকেও হত্যা করে ফেলি।

শুধু তা-ই নয়, নিজের ক্ষমতার পরিচয় দিতে গিয়ে ধর্মীয় উপাসনালয় মসজিদ ভেঙে ফেলি। কেউ মন্দির ভেঙে ফেলি। কেউ ভেঙে ফেলি গির্জা। মানুষ হয়ে মানুষ মারার জন্য তৈরি করি মারণাস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র, রাসায়ানিক অস্ত্র। জায়গায় জায়গায় মায়ের জাতি নারীদের করি হেস্ত-নেস্ত। রাস্তাঘাটে মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে করি টানা-টানি। আমরা নিজের আখের গোছানোর জন্য কেউ সাজি ঘুষখোর, কেউ সাজি সুদখোর। ক্ষমতার চেয়ারে বসে করি দুর্নীতি। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য করি কতরকমের কারচুপি। আমরা যেন মহান সৃষ্টিকর্তার চেয়েও বড় বিজ্ঞানী হয়ে গেছি। যুগযুগ ধরে আমরা যেন বেসামাল হয়ে গেছি। আমারা নিজের স্বার্থরক্ষার জন্য পাপে হয়ে গেছি জর্জরিত।

এসব দেখে মনে হয় মহান সৃষ্টিকর্তা আর ঠিক থাকতে পারছিলেন না। তাই তিনি তাঁরই সৃষ্টি সুন্দর পৃথিবীতে এই করোনা যুদ্ধ বাধিয়ে দিয়েছেন। হতে পারে এই যুদ্ধই হবে মহান সৃষ্টিকর্তার শেষ যুদ্ধ। এই যুদ্ধে কে বাঁচি আর কে মরি তাঁর কোনও ঠিক নেই। শুনেছি মহান সৃষ্টিকর্তা মানবের জন্ম, বিবাহ, মৃত্যু, আর রিজিক নিজেই নির্ধারণ করে রেখেছেন। তাই যাঁর যেখানে জন্ম হবার সে সেখানেই জন্ম হচ্ছে। যাঁর যেখানে যাঁর সাথে বিবাহ হবার সেভাবেই হচ্ছে। যাঁর মৃত্যু যেখানে যেভাবে হবার সে সেভাবে সেখানেই মৃত্যুবরণ করছে। যাঁর আহার যেখানে যাঁর উপর বর্ধিত করে রেখেছেন, সে সেভাবেই খাচ্ছে, চলছে।

তাই ভাবি, যদি মহান সৃষ্টিকর্তা এই করোনা যুদ্ধে আমার মৃত্যু নির্ধারণ করে রাখেন, তাহলে তো আমি নিজেও এই যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করতে পারি। কারণ আমিও একজন গণ্ডমূর্খ, অজ্ঞানী, মহাপাপী। তাই যেকোনো সময় এই করোনা যুদ্ধে আমার মৃত্যু অনিবার্য । সেই সময়টা হয়তো বেশি আর বাকি নেই। কারণ মহান সৃষ্টিকর্তার করোনা যোদ্ধা এখন আমাদের সকলের চোখের আড়ালে আবডালে অনেকের সাথেই ঘোরা-ফেরা করছে।

এই যোদ্ধাকে কারোর চেনার উপায় নেই। কার কাঁধের উপর যে এই প্রাণঘাতী করোনা যোদ্ধা বসে আছে, তা-ও বলা মুশকিল! কোন সময় যে এই প্রাণঘাতী করোনা যোদ্ধা অপরের কাঁধ থেকে উড়ে এসে আমার কাঁধে চড়ে বসে, তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। আর এই করোনা যুদ্ধ মনে হয় শীঘ্রই শেষ হচ্ছে না। কবে নাগাদ এই প্রাণঘাতী করোনা যুদ্ধ শেষ হয়, তা একমাত্র যুদ্ধ ঘোষণাকারী মহান সৃষ্টিকর্তাই জানেন।তাই সময় থাকতেই আমি সকলের কাচ্ছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। যদি নিজের অজান্তে কারোর মনে কষ্ট দিয়ে থাকি, তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

১০ টি মন্তব্য (লেখকের ৫টি) | ৪ জন মন্তব্যকারী

  1. ফয়জুল মহী : ২১-০৭-২০২০ | ৫:৫৫ |

    Best wishes 

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ২১-০৭-২০২০ | ২০:২৫ |

      সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদের সাথে শুভকামনাও থাকলো, শ্রদ্ধেয় দাদা। আশা করি এই সময়ে সপরিবারে ভালো থাকবেন।                

      GD Star Rating
      loading...
  2. আলমগীর সরকার লিটন : ২১-০৭-২০২০ | ৯:৪৬ |

    খুবি গভীর ভাবনায় বাস্তবতা লেখেছেন নিতাই দা

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ২১-০৭-২০২০ | ২০:২৪ |

      হ্যাঁ, শ্রদ্ধেয় লিটন দাদা। ইদানিংকার করোনাকালে আমার মতো সারাবিশ্বের মানুষই মনে হয় নিজের মৃত্যু নিয়েই বেশি চিন্তাভাবনা করছে। কারণ, এই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস কখন কার উপর নজর দেয় বলা মুশকিল। তাই আমি প্রতিদিন বেঁচে থাকি মৃত্যুকে স্মরণ করে। 

      শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় কবি লিটন দাদা।                 

      GD Star Rating
      loading...
  3. ফকির আবদুল মালেক : ২১-০৭-২০২০ | ১৫:৪৮ |

    আপনার লেখার এই অংশটুকু নিয়ে একটু লেখতে চাই।    

    কথায় আছে, “মহান স্রষ্টার হুকুম ছাড়া গাছের একটা পাতাও নড়ে না।” তা-ই যদি হয়, তাহলে মহান সৃষ্টিকর্তার ইশারা ছাড়া মানুষের একক মতে কিছুতেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হতে পারেনি। 

    আল্লাহর হুকুম ছাড়া কি গাছের একটা পাতাও নড়েনা?

    .
    মানুষের মাঝে বহুল প্রচলিত একটা কথা হচ্ছে, "আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের একটা পাতাও নড়েনা" – এমন কথা ক্বুরআন বা হাদীসের কোথাও নেই। ক্বুরানে আছেঃ যদি গাছের একটা পাতা নড়ে, আল্লাহ সেটাও জানেন। মহান আল্লাহ তাআ'লা ইরশাদ করেনঃ 
    "তাঁরই (আল্লাহর) নিকটে গায়েব (অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞানের) চাবি রয়েছে; তিনি ব্যতীত অন্য কেউ গায়েব জানে না। জলে-স্থলে যা কিছু আছে, তা তিনিই অবগত। তাঁর অজ্ঞাতসারে (গাছের) একটি পাতাও পড়ে না, মৃত্তিকার অন্ধকারে এমন কোন শস্যকণা অথবা রসযুক্ত কিম্বা শুষ্ক এমন কোন বস্তু পড়ে না, যা সুস্পষ্ট কিতাবে (লিপিবদ্ধ) নেই।" সুরা আনআ'মঃ ৫৯।
    .
    .

    .

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ২১-০৭-২০২০ | ১৭:২৮ |

      শ্রদ্ধেয় দাদা, আমি আমার লেখার মাঝে শুধু উল্লেখ করেছি, কথায় আছে, "মহান স্রষ্টার হুকুম ছাড়া গাছের একটা পাতাও নড়ে না।" দাদা, আমি যে একজন গণ্ডমূর্খ মানুষ। তাও আমার লেখায় উল্লেখ করেছি। কোথাও দাদা পবিত্র কুরআন শরিফ- এ আছে এমন কোনও উদাহরণ আমি আমার লেখায় উল্লেখ করিনি বা লিখি-ও-নি। পবিত্র কুরআন শরিফ-এ আছে এমন কোনও উদাহরণ আমি আমার লেখালেখি জীবনে কোনও লেখার মাঝেও উল্লেখ করিনি বা লিখি-ও-নি। পবিত্র কুরআন শরিফ নিয়ে লেখার আমার তেমন যোগ্যতাও নেই দাদা। 

      আমার এই নগন্য লেখা পড়ে সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, শ্রদ্ধেয় দাদা। আশা করি ভালো থাকবেন।                         

      GD Star Rating
      loading...
      • ফকির আবদুল মালেক : ২১-০৭-২০২০ | ২০:১০ |

        জি দাদা,  আপনি লেখাটিতে কথায় আছে বলে যে উদ্ধৃতিি দিয়েছেন,  তা আমিও শুনেছি।  তারপর কথাটার উৎস খুজতে গিয়ে এই কুরআনের এই আয়াতটিকে খুঁজে পাই। 

         

        আমরা যা শুনেছি আর প্রকৃত উৎসে একভাবে আসেনি। আমিসহ আরও অনেকে এই ভুলটি করি। সে কারণে এখানে উল্লেখ করেছি। 

        আপনার লেখার মুল বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ একমতই নই, বরং মনে হয়েছে এ যেন আমারই উচ্চারণ ।                       

        GD Star Rating
        loading...
      • নিতাই বাবু : ২১-০৭-২০২০ | ২০:১৯ |

        আপনার এই মূল্যবান মন্তব্য থেকে আমিও কিছু জেনে নিতে পেরেছি, শ্রদ্ধেয় দাদা। পবিত্র কুরআন শরিফ নিয়ে আমি এমনিতেই কোনও প্রকার মন্তব্য আজ পর্যন্ত কোথাও করিনি, দাদা। এ-বিষয়ে আমি এখনও ছাত্র কেবল। 

        আপনার মন্তব্যের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, আপনি সত্যি একজন নিখুঁত পাঠক। আমার চোখে আপনি যেকোনো লেখা খুবই মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন এবং লেখকের লেখার মনোভাবও বুঝে নিতে পারেন। তাই আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আরও বেড়ে গেল। শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা।                               

        GD Star Rating
        loading...
  4. মুরুব্বী : ২১-০৭-২০২০ | ১৬:২৯ |

    প্রাণঘাতী এই করোনা যুদ্ধ শেষ হোক। আমিও সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। নিজের অজান্তে যদি কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকি, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে আমাকে ক্ষমা করে দিন। 

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ২১-০৭-২০২০ | ১৮:০৬ |

      আর আমিতো লেখার মাঝেই সকলের কাছে আগাম ক্ষমা চেয়ে লিখেছি। আপনিও আমার ভুলভ্রান্তি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে সুন্দর মনে ক্ষমা করে দিবেন, শ্রদ্ধেয় দাদা। কারণ, আজ কিছুদিন যাবত নিজের শারীরিক অবস্থা বেশি ভালো নেই। তাই গত রাতে এই লেখা শব্দনীড় পরিবারে থাকা সকলের মাঝে শেয়ার করেছি। 

      আপনার জন্য শুভকামনা থাকলো।               

      GD Star Rating
      loading...