একদিন ইতিহাস লেখা হবে আউল-বাউল
ছিন্ন কথায়—
মেঘেদের কার্নিশ ছুঁয়ে নামা বৃষ্টির ফোঁটায় ফোঁটায়
মাটির শরীরে।
একদিন ইতিহাস লেখা হবে ফুলেদের বিরুদ্ধে
মামলা মোকদ্দমা হবে শহরের অলিতে গলিতে–
পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় করা হবে ফরমান জারি,
পাখিরা সব উড়ে যাবে দূরে কোথাও এই সব
নিষিদ্ধ প্রাচীর ডিঙিয়ে
বর্ষার উত্তল ঢেউয়ে ঢেউয়ে।
একদিন ইতিহাস লেখা হবে,
এই সব বন্ধ দিনের, লেখা হবে—
লক ডাউন ঘরবন্দী জীবনের খেরোখাতা গল্প।
লেখা হবে এই করোনা মহামারি থেকে
বাঁচবার ইতিহাস পাহাড়ি ঝর্ণার ওষ্ঠে বেড়ে
ওঠা সবুজ বৃক্ষের বুকের চাঁদে বিষণ্ণ মালায়।
একদিন ইতিহাস লেখা হবে — রহিমা বানুর নামেও,
কোনো ত্রাণ না পেয়ে, কোনো খাবার না পেয়ে,
করোনার চেয়েও বড় মহামারি ক্ষুধার জ্বালায় মারা
গেছে তার তিন ছেলে মেয়ে ! এটাও বাদ পড়বে না !
নেতারা সব সমবেদনা জানাবে,
মিডিয়া কিছুদিন দৌড় ঝাঁপ করবে–
তারপর, দুঃখীর সজল আঁখিতে লেখা হবে ইতিহাস।
লেখা হবে ধুলোর পাতায়–
অশ্রু অক্ষরে কোনো এক উদ্ভিন্ন মানুষ পরিচয়ে।
একদিন ইতিহাস লেখা হবে,
কবিদের নিয়ে,কবিতা নিয়ে,তাদের ব্যথিত শ্লোকে
স্বপ্নের খাতায়
ব্যস্তময় জীবনপঞ্জিতে।
একদিন ইতিহাস লেখা হবে —
আমি, তুমি, আপনি, এবং আমাদেরকে নিয়ে,
নদীর ঢেউয়ে ঢেউয়ে, পথের ধুলোয়,
ঝরা বকুলের মলিন মালায়।
কিংবা, কারোর রেখে যাওয়া পদচিহ্নে।
একদিন ইতিহাস লেখা হবে,
এই সব লক ডাউন, ঘরবন্দী জীবন উঠে যাবে,
উঠে যাবে কারফিউ, মুক্ত হবে প্রকৃতি, চারদিকে
পড়বে খুশির রোল,পৃথিবী হবে স্বর্গ ময়।
তখন লেখা হবে—
বসন্তের গান
জীবন ফিরে পাবে নতুন প্রাণ।
১০/০৪/২০২০
loading...
loading...
নান্দনিক উপস্থাপন
loading...
নিশ্চয়ই একদিন ইতিহাস লেখা হবে … এই সব লক ডাউন, ঘরবন্দী জীবন উঠে যাবে,
উঠে যাবে কারফিউ, মুক্ত হবে প্রকৃতি, চারদিকে পড়বে খুশির রোল, পৃথিবী হবে স্বর্গ ময়।
loading...