রাজনীতি অবশ্যই জনগণের কল্যাণের জন্যঃ
তাই আপনি জনগণের শুভচিন্তক। এই জন্য আপনার চিন্তা- চেতনা জনগণকে নিয়ে। সজ্জন রাজনৈতিক নেতা মানে অন্যের ব্যথায় ব্যথিত হয়ে সমবেদনা জানাতে ছুটে আসা। জনগণের অপরিসীম কল্যাণই সৎ রাজনৈতিক নেতার মানসপটে থাকে। আর এর জন্য ক্ষমতাবান চেয়ারের তেমন একটা প্রয়োজন পড়ে না। প্রয়োজন পড়ে জন সমর্থন। প্রয়োজন পড়ে জন – ভালোবাসা। এর বিপরীতও আছে, ক্ষমতাবান চেয়ার সম্রাট বানায়। কোটি কোটি টাকা বানায়। জোর-জবর করে জন ভালোবাসাও বানায়। কিন্তু সেই ভালোবাসার নেতা একদিন আস্তাকুঁড়ে নিপতিত হয়, এবং হবেই। মহান আল্লাহ সাক্ষী। গণ স্বাস্থ্য ৭১ সালে মানুষের সেবা করেছে, আজ আবার ২০২০ সালে দেশের মহা বিপদে সেবার জন্য হৃদয় দিয়ে কাজ করছে। এটা আমজনতার নিগুঢ় ভালোবাসারই জয়। আর উনাদের অকৃত্রিম সেবায় বাঁচবে আমার কিংবা আপনার প্রিয়জন। তখনি হাসবে বাংলাদেশ। ক্ষমতা মানুষকে লাগামহীন করে, ক্ষমতা মানুষকে বেপরোয়া করে, ক্ষমতা মানুষকে হাসির পাত্র করে। সর্বোপরি করে লোভী। আর সেটা বর্তমান শাসক দলের নেতারাই (সবাই না) প্রমাণ।
চাই কঠিন ইস্পাত ঐক্যঃ
আর সেই ঐক্য হবে ভালোবাসায় এবং ভালোবাসায়। সেই ঐক্য দরকার নেতায় আর নেতায়। সেই ঐক্য দরকার নেতায় এবং আমজনতার। আমরা লড়াই করে চিনিয়ে এনেছি মায়ের ভাষা, লড়াই করে চিনিয়ে এনেছি স্বাধীন সার্বভৌম মায়ের জায়গা। আর এইসবই ছিল দূর আকাশে মেঘে ঢাকা। ছোট বড়, ধনী গরীব, জাত অজাত সবাই মিলে বুকের লাল একদম স্বচ্ছ লাল রক্ত উজাড় করে সোনালী সকাল চিনিয়ে এনেছি। রক্তের দামে কেনা বলে লাল আভা বিচ্ছুরণ করে আমাদের জাতীয় পতাকায়। এখন আবার সেই ৭১ এর মত ঐক্য চাই সম্মানিত রাজনৈতিক দল। জানি এখন ২০২০ সাল। অনেকের অনেক বেদনা, অনেক যন্ত্রণা, অনেক কষ্ট বুকে। তবুও ঐক্য চাই। কারণ আমরা যে বাঁচতে চাই।
৭১ সালে ছিল সুশৃঙ্খলা রাজাকার বাহিনী। আজও আছে আড়তদার, মুনাফাখোর, গুজব ও ধর্মীয় লেবাসধারী কিছু নব্য রাজাকার। এদের বিরুদ্ধে একটা ঐক্যবদ্ধ লড়াই চাই। আর সেটা এখনি উপযুক্ত সময়। আমার বিশ্বাস এতে আমরাই জিতবো। এতে আপনাদের মানবতারই জয় হবে। আর তখন হাসবে পুরা বাংলাদেশ। আপনারা হবেন জাতীয় বীর। শত শত জাফরউল্ল্যাহ স্যার চাই এইদেশে।
ছাত্র এবং যুব সংগঠনকে কাজে লাগানো যায়ঃ
৬৮ হাজার গ্রামে নিয়ে এই দেশ। গ্রামের মানুষ অসচেতন, এদের সচেতন করাই প্রথম কাজ তাই প্রতিটি গ্রামে একটা করে (শিক্ষিত, সাহসী, সচেতন ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন কর্মী নিয়ে) টিম করা যেতে পারে। আর এই টিমের প্রধান হবে নিজ সংগঠনের নেতা। এই টিমকে তদারকি করবে ইউনিয়ন কমিটি। তেমনি উপজেলায়, জেলায় কিংবা যে কোন শহরের প্রতিটি পাড়ায় মহল্লায় এইভাবে টিম করা যেতে পারে। (তবে তা হতে হবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও করোনার জন্য দায়িত্বপাপ্ত হাসপাতালের ডাক্তারদের সাথে সমন্বয় করে। )
টিমের কাজঃ
(১) গ্রামের লোকজনকে সচেতন করা।
(২) বিনা মূল্যে মাক্স এবং স্যানিটারিজ সরবরাহ করা।
(৩) প্রবাসী থাকলে কিংবা নতুন আসলে তাদের তথ্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো।
(৪) কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে দ্রুত যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো এবং হাসপাতাল হতে যেন পালাতে না পারে তা নজর রাখা।
(৫) আড়তদার ও মুনাফাখোরদের গোপনভাবে তথ্য সংগ্রহ করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা।
(৬) যে কোন ধরনের গণজমায়েতের বিরুদ্ধে মতবাদ গঠন করা।
(৭) এই সময় ধর্মীয় লেবাসধারীরা যেন মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে সেই দিকে নজর রাখা এবং করলেও প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
তবে এইসব করতে টাকার যোগান দিতে হলে তাও ব্যবস্থা হয়ে যাবে। শুধু চাই সরকারের সুনজর। চাই এই মুহূর্তে মতভেদ ভুলে সবাইকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া। ভালোবাসা ওহ প্রিয় বাংলাদেশ। আল্লাহ করুণা করো আমাদের।
loading...
loading...
সরকারের অদূরদর্শিতা আর ব্যর্থতা বুঝতে সচেতন মানুষের আর বাকী নেই। সব জেনে বুঝেও সবাই যেন চোখ কান মুখ বন্ধ করে আছে। ভাবখানা এই রকম আমি বাঁচলে দেশ বাঁচবে। যা মোটেই সত্য নয়। এই মুহূর্তে মতভেদ ভুলে সবাইকে পরস্পরের জন্য কাজ করা ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই। আপনার প্রস্তাবনার প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি।
loading...
loading...
চমৎকার পোষ্ট
loading...
loading...
একমত।
loading...