অন্ধকার ঘেঁষে শুয়ে থাকি রোজ আমি
বুকের ললাটে নিশ্চুপ রক্ত ক্ষরণ
শুষে খায় জেগে থাকা ডাহুকী —
জেগে থাকে পেঁচার নীল চোখ
আমাকেও জাগিয়ে রাগে অবিরত অনন্ত কালরাত্রি।
দূর আকাশের তারা, হলুদ চাঁদ, আলো ছায়া,
হরিণের সোনালী চোখ,
ফাগুনের রাত্রে পুড়ে খাগ কৃঞ্চচূড়ার মরা ডাল।
বহুমুখী জীবনের সবগুলো পথ বন্ধ আজ
তবুও কোথাও কোথাও খুঁজে আলোর দিশা।
রমণীরা ডেকে যায় দূরে — দূর থেকে দূরে
অজানা কোনো মেঠোপথের বাঁকে
কিংবা নাম না জানা দিগন্ত সবুজ দ্বীপে।
ভালোবাসা আগুন হয়ে জ্বলে চোখে।
দাঁড়ানো ল্যান্ডপোস্ট শুধু সাক্ষী হয়ে রয় অনন্তকাল।
কোথাও কুকুর, কোথাও বিড়াল,
কোথাও অন্য কিছু, নাম না জানা কোনো জানোয়ার
কিংবা গভীর রাত্রের জ্বীন, ভূত।
পাশ ফিরে তাকালে দেখা যায় তৈলাক্ত দেয়াল
বাঁশের ভাঙা আলনা,
দুটো রংচটা জিন্স প্যান্ট, একটা গামছা, তিনটা শার্ট।
মাঝে মাঝে মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে
নিভু নিভু মোমবাতির আলোয় জীর্ণ ঘরটি নেহাৎ
এক টুকরো ঝলমলে পূর্ণিমার চাঁদ।
১৫/০৩/২০২০
loading...
loading...
Osadharon
loading...
ভালো
loading...
অসাধারণ
loading...
দারুণ উপমাময় কবিতা মনে হলো এবং অনেকদিন পর আপনার দেখা পেলাম কবি।
loading...