আমরা যাকে বাবা বলি
কেউ বলে কাকাবাবু,
কেউ বলে জেঠা মশাই
কেউ বলে জামাইবাবু!
কেউ বলে মামা, মেসো
কেউ বলে পিসেমশাই,
কেউ বলে শালা সমন্ধি
কেউ বলে জামাই!
কেউ বলে ওগো স্বামী
কেউ বলে দাদাঠাকুর,
কেউ বলে বেয়াই মশাই
কেউ বলে শ্বশুর!
এতে কিন্তু জন্মদাতা পিতা মনঃক্ষুণ্ণ হচ্ছেন না। বরং তিনি সবার ডাকেই সারা দিচ্ছেন। তিনি কাউকে বলেন না যে, আমাকে তুমি বাবা বলছো কেন? আমাকে কাকা বলছো কেন? আমাকে এটা বলছো কেন? আমাকে ওটা বলছো কেন? তিনি সবার ডাকেই সন্তুষ্ট!
আসলে ঘটনা কী? তিনি তো একজন’ই! কিন্তু তাকে এভাবে জনে জনে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা হচ্ছে কেন? যে যেই নামেই ডাকুক-না-কেন, এতে কিন্তু আমার জন্মদাতা পিতা মনঃক্ষুণ্ণ না হয়ে বরং তিনি সবার ডাকেই সুন্দরভাবে সারা দিচ্ছেন। তিনি সবার ডাকেই মহাখুশি এবং খুবই সন্তুষ্ট! এর কারণ কী? এর কারণ হচ্ছে, তিনি একজন হলেও, তাকে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে ডাকতেই পারে! তাতে তাঁর কোনও সমস্যা হচ্ছে না বলেই তিনি সবার ডাক স্বাদরে গ্রহণ করছেন।
তদ্রূপ মহান সৃষ্টিকর্তাকেও যে যারভাবে ডেকে তাকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টায় থাকি! যেমন– মহান সৃষ্টিকর্তাকে আমরা কেউ চোখে দেখিনি! কিন্তু অবশ্যই অবশ্যই স্বীকার করি মহান সৃষ্টিকর্তা একজন আছেন। তাঁর সৃষ্টিকে দেখি! তাঁর দান বা দয়া উপলব্ধি করি এবং পেয়েও থাকি! তিনি একজন। কিন্তু আমরা বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা মহান সৃষ্টিকর্তাকে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডেকে থাকি এবং বিভিন্নভাবে তাঁর উপাসনা করে থাকি। বিভিন্নরকমের আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে প্রার্থনা করে থাকি। কেউ সেজদাতে। কেউ পূজোতে। কেউ ভক্তিতে।
তিনি মহান সৃষ্টিকর্তা একজন
করেছেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি,
তাঁর হুকুমে হচ্ছে রাত-দিন
তুফান জলোচ্ছ্বাস ঝড়বৃষ্টি!
কেউ বলে তিনি কলবে
কেউ বলে আকাশে,
কেউ বলে তিনি গ্রহ-নক্ষত্রে
কেউ বলে বাতাসে!
অনেক নামে স্রষ্টাকে চিনি
কেউ বলে ভগবান,
কেউ আল্লাহ, ঈশ্বর, খোদা
সব ধর্মে সমানসমান!
যদি মহান সৃষ্টিকর্তা একজনই হয়ে থাকে, তাহলে আমরা কেন একে অপরকে এতো তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে থাকি? কেন নিজ ধর্ম ছাড়া অন্য ধর্মের কাউকে দুই নয়নে সহ্য করতে পারছি না? আমরা জানি মহান সৃষ্টিকর্তার হুকুম মেনে সূর্য পৃথিবীতে আলো দান করে থাকে। যদি তা-ই হয়, তাহলে মহান সৃষ্টিকর্তা তো সূর্যকে বারণ করছে না যে, আমার এই ধর্ম ছাড়া অন্যকোনো ধর্মের অনুসারীরা যাতে আলো না পায়! বাতাসকেও বারণ করছে না, যাতে এই ধর্ম ছাড়া অন্যকোনো ধর্মের অনুসারীদের বাতাস দিও না। আসলে মহান সৃষ্টিকর্তা সকল জীবেরই স্রষ্টা। তিনি একজন’ই! তিনি সকল ধর্মের মানুষের ডাকেই সারা দিয়ে থাকেন। তিনি অলংকারহীন! তিনি কোনও ধর্মকেই হিংসা করেন না। সকল ধর্মের সত্যের এবং অহিংস বাণী। হিংসা শুধু আমাদের মধ্যেই।
বি:দ্র: এটা আমার ব্যক্তিগত ধারণা থেকে লেখা। ভুল মানুষেরই হয়ে থাকে। ভুল হলে কেউ ক্ষিপ্ত না হয়ে সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলে মনে করি।
loading...
loading...
মোবাইলেরর ছোট স্ক্রিন থেকে যতটুকু পারলাম, পড়ার চেষ্টা করলাম। ইচ্ছে ছিলো, ভালো করে পড়ে নিজস্ব একটি মতামত রাখবো। একান্তই সীমাবদ্ধতার কারণে সেটা হলো না।
আপনার জন্য রইলো একরাশ ভালোবাসা আর মতামতের প্রতি সম্মান।
loading...
বর্তমানে কেমন আছেন জানি না! তো আশা করি ভালো আছেন।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা।
loading...