৩৪।
আজ সারা দিন গল্প গুজব করেই কেটে গেলো। ইফতার করে সন্ধ্যার পর রাশেদ সাহেব মনিকে বললো ,
-আচ্ছা, ছোট ভাই বুঝে হোক বা না বুঝেই হোক তার ওখানে যেতে নিষেধ করেছে, তাই বলে কি আমরা এতো দূর এসে ওদের না দেখে বিশেষ করে মেয়েটাকে না দেখা কি উচিত হবে?
-হ্যাঁ আমিও তাই ভাবছি। এদিকে ওদের নীরবতা আবার এতো দূর এসে না দেখা তারপর ওদের জন্য যা আনা হয়েছে সে গুলিও তো দিতে হবে, ব্যাপারটা কেমন হয়!
-আমার মনে হয় চলো যাই দেখি কি অবস্থা। তেমন মনে হলে এখানে আবার ফিরে আসব।
মনিরা জানতে চাইল -কত দূর?
-সে অনেক দূর। কোচ কিংবা ট্রেনে যেতে হবে। প্রায় তিন ঘণ্টার পথ।
-তুমি চিনে যেতে পারবে?
-কী যে বল, পারবো না কেন?
-গিয়ে যদি আবার ফিরে আসতে হয়, তাহলে এই শীতের মধ্যে! আমার মনে হয় যাবার আগে এক বার ফোন করে খোঁজ নিয়ে দেখ।
-না ফোনে নয়, একেবারে সশরীরে উপস্থিত হলে ব্যাপারটা অন্য রকম হবে না? দেখ চিন্তা করে।
রাতে ফিরোজের সাথে এ ব্যাপারে আলাপ হলো। ফিরোজের একই কথা।
-কোথায় যেন থাকে?
-গ্লস্টারের কাছে।
-তুমি চিনে নিতে পারবে?
-হ্যাঁ, স্ট্রাউড পর্যন্ত গেলে ওখান থেকে আমি চিনতে পারব।
-তাহলে চলো, আমরাও ওদিকে যাইনি তোমাদের নিয়ে আমরাও ঘুরে আসি। তোমার ভাবী আবার লং ড্রাইভ পছন্দ করে।
loading...
loading...
চলছে জীবন।
loading...
জীবনের খেলাঘরে কত খেলা খেলতে হয়!
loading...