দুই অন্ধ ভিক্ষুক যখন এক রাস্তায়

বর্তমানে প্রত্যেক জেলা শহরে অনেক ভিক্ষুক দেখা যায়। যাঁদের সংসার চলে ভিক্ষায়, তাঁদেরই আমরা ভিক্ষুক বলে থাকি। এঁদের মধ্যে শহরে থাকা ভিক্ষুকদের ভিক্ষা বা খয়রাত করার স্টাইল একরকম, আর গ্রামগঞ্জের ভিক্ষুকদের ভিক্ষা করার সিস্টেম ভিন্নরকম। শহরে ভিক্ষা করা অনেক ভিক্ষুক নিজস্ব পদ্ধতিতে বানানো বিশেষ ধরনের তিনচাকা বিশিষ্ট গাড়ি চড়ে ভিক্ষা করে। কেউ কেউ আবার পাঁচ-সাতজন মিলে দলবেঁধে নির্দিষ্ট এক জায়গায় বসে গানের সুর তুলে ভিক্ষা করে। দলীয় ভিক্ষুকদের গানের সুর হলো–
‘আমার আল্লা রসূলের নাম
দিলে পরে সার,
আমার আল্লা রসূলের নাম।
কত টেকা কত পইসা হারাইয়া যে যা-য়-য়-য়,
অসহায়রে দান করিলে আখেরাতে পা-য়-য়।
আমার আল্লা রসূলের নাম।’

এমন আরও অনেকরকমের গানের সুর তুলে শহরের দলীয় ভিক্ষুকরা ভিক্ষা করে থাকে। কেউ কেউ চিৎপটাং হয়ে শুয়ে শুয়ে আল্লা আল্লা করতে থাকে। আবার কোনও কোনও ভিক্ষুকরা তিন-চারজন একসাথে লাইন ধরে হেঁটে হেঁটে আল্লা রসূলের নামে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। কেউ কেউ আবার দলবল না করে একা একাই প্রতিদিন পায়ে হেঁটে ভিক্ষা করে। এঁদের মধ্য আছে কিছু মহিলা ভিক্ষুক। এঁরা প্রতি শুক্রবার সকাল হতে-না-হতে ঘর থেকে বের হয়। এঁরা প্রত্যেক দোকানে, আর হাঁটাচলার মাঝে মানুষের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা চায়। এসব মহিলা ভিক্ষুকরা এখন বাসাবাড়িতে বেশি যায় না। গেলেও, বাসাবাড়ির গৃহিণীদের দেওয়া চালডাল আগের মতো নিতে চায় না। এঁরা এখন চায় নগদনারায়ণ টাকা। যে যা-ই দিক, তা-ই নিবে, কিন্তু তাঁরা চালডালের বোঝা বইতে নারাজ।

আর গ্রামের ভিক্ষুকরা কষ্ট করে পায়ে হেঁটে গ্রামের বাড়ি বাড়ি আর হাট বাজারে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করে। এসব গ্রাম্য ভিক্ষুকরা মানুষের কাছে হাত পাতার আগে বলে থাকে–
‘ভিক্ষা দেন গো মা লক্ষ্মীরা,
খারা কইরা রাইখেন না।’
তখন যে যা দেয়, তা-ই তাঁরা নিয়ে নেয়। তাঁদের কোনও আপত্তি থাকে না, নামমাত্র ভিক্ষা পেলেই মহাখুশি!

সেসব গ্রাম্য ভিক্ষুকদের মধ্যে আনোয়ার নামের একজন গ্রাম্য অন্ধ ভিক্ষুক ছিল। ভিক্ষুক আনোয়ার জন্ম থেকেই ছিলো অন্ধ। ভিক্ষুক আনোয়ার যখন রাস্তায় বের হয়, তখন তাঁর হাতে একটা লাঠি থাকে। তাঁর হাতে থাকা লাঠিটা জাতিসংঘ থেকে দেওয়া বিশেষ ধরনের এক লাঠি। সেই লাঠি দিয়ে ঠুকে ঠুকে আনোয়ার গ্রামের হাটবাজার-সহ বাড়িতে বাড়িতে হেঁটে হেঁটে ভিক্ষা করে। ভিক্ষুক আনোয়ার যখন ঠুক ঠুক করে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায়, তখন ভিক্ষুক আনোয়ার আল্লাহ রাসূলের নাম ধরে সুর তোলে–
‘হায় আল্লা তুই ছোবাহান
হায়াতের মালিক।
হায় আল্লা তুই ছোবাহান
হায়াতের মালিক।’

ভিক্ষুক আনোয়ার’র মুখে সেই মধুর সুর শুনে মানুষ তাঁর হাতে টাকা দেয়, পয়সা দেয়। কেউ কেউ রুটি কলা খাবারও কিনে দেয়। একদিন আনোয়ার বাড়ি থেকে ভিক্ষা করতে বের হলো। সকাল থেকে ভিক্ষা করতে করতে দুপুর হয়ে গেলো। দুপুরের খাওয়া-দাওয়া ভিক্ষা করার মাঝে পরের বাড়িতেই হয়। দুপুরের পর বিকাল হতে লাগলো। এখন তো ভিক্ষুক আনোয়ার’র বাড়ি ফেরার পালা। তাই ভিক্ষুক আনোয়ার বাড়ি আসার পথ ধরে ঠুক ঠুক করে হেঁটে আসছিল–
‘হায় আল্লা তুই ছোবাহান হায়াতের মালিক” বলতে বলতে।’

যেই রাস্তা দিয়ে ভিক্ষুক আনোয়ার হেঁটে যাচ্ছিল, সেই রাস্তার দুইপাশে গাছ-গাছালি, একটু পরপর খাল-বিল, ডোবা-নালা। রাস্তার পাশে যা-ই থাকুক, রাস্তা কিন্তু ভিক্ষুক আনোয়ার’র খুবই পরিচিত ছিল। কারণ, এই রাস্তা দিয়েই সবসময় ভিক্ষুক আনোয়ার হাঁটা-চলা করে থাকে, তাই রাস্তাটি তাঁর চেনা-জানা। ভিক্ষুক আনোয়ার হেঁটে যাচ্ছে নিজের মতে। সেই রাস্তা দিয়েই পাশের গ্রামের এক অন্ধ ভিক্ষুক বিপরীত দিক দিয়ে হেঁটে আসছে। সেও সারাদিন ভিক্ষা করে তাঁর বাড়ি ফিরছিলো।

পাশের গ্রামের ভিক্ষুক ভিক্ষা করার সময় আল্লাহ রাসূলের নামে মুখে কোনও সুর তোলে না। এই ভিক্ষুক শুধু জিকিরের সুরে বলতে থাকে–
‘দেইখেনও ভাই আমি ভাসানী,
দেইখেনও ভাই আমি ভাসানী।’
এছাড়া আর কিছুই সে বলতো না। এতেই মানুষ বুঝে নিতো অন্ধ ভিক্ষুকটা ভিক্ষা করতে এসেছে। তারপর কেউ ভিক্ষা দিতো, কেউ মাপ চেয়ে নিতো। এখন এই দুইজন অন্ধ ভিক্ষুক যার যার ভাবে একই রাস্তা দিয়ে দুইদিক থেকে হেঁটে আসছে। পাশের গ্রামের ভিক্ষুক বলছে–
‘দেইখেনও ভাই আমি ভাসানী,
দেইখেনও ভাই আমি ভাসানী।’
এই বলতে বলতে ভিক্ষুক তাঁর হাতের লাঠি দিয়ে ঠুকে ঠুকে এগিয়ে আসছে, ভিক্ষুক আনোয়ার’র দিকে।

ভিক্ষুক আনোয়ার বাঁশ আনি বাঁশ আনি শুনে মনে করলো কেউ হয়তো লম্বা বাঁশ কাঁধে করে রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছে। এই ভেবে ভিক্ষুক আনোয়ার আস্তে আস্তে রাস্তার কিনারে চাপতে লাগলো। যাতে বাঁশের খোঁচা-খাঁচি শরীরে না লাগে। তাই ভিক্ষুক আনোয়ার রাস্তার কিনারে চাপতেই থাকলো, চাপতেই থাকলো। আর পাশের গ্রামের ভিক্ষুকও জিকিরের সুরে বলতে লাগলো–
‘দেইখেনও ভাই আমি ভাসানী,
দেইখেনও ভাই আমি ভাসানী।’

ভিক্ষুক আনোয়ার এবার চিন্তা করতে লাগলো, শালার বাঁশ মনে হয় লম্বালম্বি করে না এনে আড়াআড়িভাবে নিয়ে আসছে। তাই হয়তো জোরে জোরে চিল্লাচ্ছে, বাঁশ আনি, বাঁশ আনি। এই ভেবে ভিক্ষুক আনোয়ার তাঁর গায়ে বাঁশ লাগার ভয়ে তাড়াতাড়ি রাস্তার ঢালে নামতে শুরু করলো। নামতে নামতে একেবারে খালের পানিতে গিয়ে নামলো। তারপরও পাশের গ্রামের ভিক্ষুক বলছে–
‘দেইখেনও ভাই আমি ভাসানী,
দেইখেনও ভাই আমি ভাসানী।’

এভাবে ভিক্ষুক আনোয়ার পাশের গ্রামের ভিক্ষুককে সাইট দিতে দিতে যখন খালের মাঝামাঝি গেল, তখনও পাশের গ্রামের ভিক্ষুক বলছে–
‘দেইখেনও ভাই আমি ভাসানী,
দেইখেনও আমি ভাসানী।’

এবার অন্ধ ভিক্ষুক আনোয়ার ভীষণ ক্ষেপে গেল! রেগেও গেল! আনোয়ার রেগে-মেগে বললো–
‘আরে মিয়া আম্নের কান্দের বাঁশখান কত লম্বা হে? আমি হালায় অন্ধ মানুষ। চোক্ষে দেখি না। শল্লের মাধ্যে বাঁশের খোঁচ-খাঁচি লাগবো দেইখ্যা, রাস্তা তুনে নাইমতে নাইমতে খালের মধ্যখানে যাইয়া খারাইয়া রইছি। হের পরেও কইতাছেন দেইখেনও ভাই বাঁশ আনি, দেইখেনও ভাই বাঁশ আনি? আমি কি অখনে খাল হাতরাইয়া হেপাড় যাইয়া বইয়া থাকুম?’

আনোয়ার’র মুখে বাঁশের কথা শুনে পাশের গ্রামের ভিক্ষুকও বাঁশের ভয়ে কাঁপছে! শালার বাঁশ! কোনদিক দিয়ে যে আশছে! আবার শরীরে বাঁশ লাগে কিনা, সেই ভয়ে পাশের গ্রামের ভিক্ষুকও রাস্তার কিনারে চাপতে লাগলো। কাঁপতে কাঁপতে আর চাপতে চাপতে আনোয়ার’র সামনা-সামনি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে জোরে জোরে বলতে লাগলো–
‘দেইখা যাইয়েনও ভাই আমি ভাসানী।
দেইখা যাইয়েনও ভাই আমি ভাসানী।’
এভাবে পাশের গ্রামের ভিক্ষুকও শরীরে বাঁশ লাগার ভয়ে ভিক্ষুক আনোয়ার’র কাছাকাছি চলে গেলো। এবার খালের মাঝখান থেকে ভিক্ষুক আনোয়ার বলছে–
‘আরে ভাই আপ্নের বাঁশ নেওয়া অইছেনি ও?’
পাশের গ্রামের ভিক্ষুক বলছে–
‘দেইখা যাইয়েনও ভাই আমি ভাসানী।’
ভিক্ষুক আনোয়ার এবার আরও ভয় পেয়ে গেল! কারণ, বাঁশ আনি বাঁশ আনি কথাটা খুবই সামনা-সামনি শোনা যাচ্ছে। তাই ভিক্ষুক আনোয়ার খালের আরও গভীরে যেতে যেতে বললো–
‘হালার আজগা যে কোন অলক্ষ্মীর মুখ দেইখা ঘরের তুন বাইর অইছি, কইতে পাইল্লাম না। আইজগা কি আল্লা আমারে বাঁশেই পাইছে? এই হালার বাঁশ কতক্ষণে যাইবো রে, মাবুদ?’
ভিক্ষুক আনোয়ার’র এই কথা পাশের গ্রামের ভিক্ষুক শুনে বললো–
‘ভাই, মনে অইতাছে আরও অনেক সময় লাগবো।’ ভিক্ষুক আনোয়ার বললো–
‘ভাই তাড়াতাড়ি আম্নেগো বাঁশ সরান। আমারে বাইত যাইতে দেন। রাইত অইয়া গেলে ক্যামনে যামু গো ভাই!’

এবার পাশের গ্রামের ভিক্ষুক এখন আনোয়ার’র সামানা-সামনি এসে জিজ্ঞেস করলো–
‘ভাইসাব বাঁশ আনতাছে কেডা ও? আপ্নে কি তাগো চিনেন? এই রাস্তা দিয়াই কি বাঁশ আনতাছে? নাকি নৌকা কইরা খাল দিয়া বাঁশ নিতাছে?’
ভিক্ষুক আনোয়ার’ রেগে-মেগে বললো–
‘ও-ই মিয়া, এতক্ষণ বাঁশ আনি বাঁশ আনি কইরা চিল্লাইছে কেডা ও?’
পাশের গ্রামের ভিক্ষুক নরম সুরে বললো–
‘আমিই ত ভাসানী ভাসানী কইয়া আইতাছিলাম। তয় ভাই সাব, আমার লগে ত কোনও বাঁশ টাস নাই। আম্নে বাঁশের ডরে খালে নাইম্মা রইছেন কিল্লাইগা?’
ভিক্ষুক আনোয়ার বললো–
‘আরে মিয়া আম্নে না কইলেই বাঁশ আনি বাঁশ আনি? ইল্লাইগা আমি হালায় আম্নেরে সাইড দেওনের লাইগা রাস্তার তুনে নাইমতে নাইমতে খালের মধ্যে যাইয়া খারাইয়া রইছি। এহনে কইতাছেন আম্নের গলে বাঁশ টাস নাই। ফাইজলামি করনের আর জাগা পান না মিয়া? আমি অন্ধ দেইখা আমার লগে ইয়ার্কি করেন? আল্লায় বিচার করবো মিয়া। আল্লায় বিচার করবো। এক দিনকা আম্নেও কানা অইবেন, কইয়া দিলাম।’
ভিক্ষুক আনোয়ার’র কথা শেষ হতে-না-হতে পাশের গ্রামের ভিক্ষুক বললো–
‘আরে ভাইসাব আমি এমনেই জনমের কানা। ইল্লাইগা হারাদিন ভইরা ঘুইরা ঘাইরা খাই। বাঁশ টাস পামু কই? আমিতো বাঁশের কথা কিচ্ছু কই নাইক্কা। আম্নে হুদাহুদি কিল্লাইগা খালে যাইয়া নাইমছেন? আম্নের মুহে বাঁশের কথা হুইন্না আমিও হালায় খালের কিনারে আইয়া খারাইছি।’

এবার ভিক্ষুক আনোয়ার ভিজা কাপড়ে খাল থেকে আস্তে আস্তে উপরের দিকে উঠছে আর বলছে–
‘ও-ই মিয়া আম্নে কই? হাতের লাডি দিয়া আম্নেরে লাগুর পামু নি? কই আম্নে, কই?’
এই বলেই ভিক্ষুক আনোয়ার হাতে থাকা জাতিসংঘের লাঠি এদিক সেদিক ঘোরাচ্ছে।
আর বলছে, ‘আম্নেরে আগে দুইখান বাড়ি মাইরা লই। হালা মিত্থুক! এতক্ষণ বাঁশ আনি বাঁশ আনি কইরা চিল্লান নাই? আমি চোক্ষে দেখি না দেইখা কী অইছে? কানেও কি আর কম হুনি?’

পাশের গ্রামের ভিক্ষুক বললো–
‘আরে ভাই আম্নে এতো চেত্তাছেন কে হুনি? এনো চেতনের কী অইলো? চেইতেন না ভাইসাব, চেইতেন না! আমার নামই ত ভাসানী। আমিও আম্নের মতন অন্ধ ভাইসাব। অন্ধ দেইখা রাস্তায় আঁডাচলার মাধ্যে এই কথা কইয়াই চলি। যাতে মাইনষে বুঝবার পারে আমি ভাসানী আইতাছি।’

এবার অন্ধ ভিক্ষুক আনোয়ার নিজের কপালে নিজে থাপ্পড় মারতে মারতে বলতে লাগলো–
‘হায়রে কয়াল আমার! যেই বাঁশের ডরে নাইমতে নাইমতে খালে যাইয়া নামছি। হেই বাঁশ অইছে ভাসানী। আবার এই হালাও নাকি আমার মতো কানা। হালার নামও নাকি ভাসানী। অন সেনা বুঝলাম বাঁশ টাশ কিছুই না, আসলে এই হালার নাম ভাসানী। আর আমি হালায় কোন আহাম্মকের আহাম্মক! হালার বাঁশ আনি বাঁশ আনি হুইন্না বাঁশের ডরে নামছি খালে।’ এইডা কি একটা কাম অইলো? হালার দুই কানার কারবার!’ এই কারবার মাইনষে হুনলে কি কইবো?’ এই বলেই অন্ধ ভিক্ষুক আনোয়ার ‘হায় আল্লা তুই ছোবাহান হায়াতের মালিক, হায় আল্লা তুই ছোবাহান হায়াতের মালিক।’
বলতে বলতে বাড়ি রওনা হলেন। পাশের গ্রামের অন্ধ ভিক্ষুকও বাড়ি রওনা হলেন।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

২২ টি মন্তব্য (লেখকের ১১টি) | ১০ জন মন্তব্যকারী

  1. লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী : ২৫-১০-২০১৯ | ১৯:০৬ |

    সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন। বাস্তব চিত্রকে তুলে ধরেছেন। দুই- ভিক্ষুকের সংলাপে লেখাটি পূর্ণতা পেয়েছে।
    পাঠে মুগ্ধ ও অভিভূত হলাম।  লেখককে শুভ ধন-তেরস (ধন- ত্রয়োদশ) দিবসের শুভেচ্ছা জানাই।
    আজকের পবিত্র দিবসে পরিবারের সকলের সুখ, সমৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
    সাথেই থাকুন। জয়গুরু!

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ২৫-১০-২০১৯ | ২২:৪৭ |

      আপনাকেও শুভ ধন-তেরস দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। শ্রদ্ধেয় কবি দাদা। আশা করি আজকের পবিত্র দিবসে পরিবারের সকলক  নিয়ে সুুুখে থাকবেন, ভালো থাকবেন।  শুভকামনা সবসময়। জয়গুরু! জায়গুরু! 

      GD Star Rating
      loading...
  2. মুরুব্বী : ২৫-১০-২০১৯ | ১৯:১৩ |

    অসম্ভব ডিটেইল। আমি বিশ্বাস করি এই লিখাটি লিখতে, লিখার প্রতিটি চরিত্র রূপায়ণ সহ সংলাপ সমগ্র জোগাতে; পোস্টদাতা সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন। নিশ্চিত যে ভীষণ পরিশ্রমী একটি লিখা। ইন্টারেস্টিং বটে। অভিনন্দন মি. নিতাই বাবু।  https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ২৫-১০-২০১৯ | ২২:৪৯ |

      আপনাকেও শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানাচ্ছি, শ্রদ্ধেয় দাদা।    

      GD Star Rating
      loading...
  3. সুমন আহমেদ : ২৫-১০-২০১৯ | ১৯:১৬ |

    বর্ণিত পারিপার্শ্বিক বিষয়াদি খুবই চেনা। এই বয়স পর্যন্ত আমি যতটা খেয়াল করিনি তারচে বেশী খেয়াল ছিলো আপনার দাদা। Smile

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ২৫-১০-২০১৯ | ২২:৫২ |

      রাস্তা ঘটে চলাফেরার মাঝে অনেককিছু চোখে পড়ে, শ্রদ্ধেয় কবি সুমন দাদা। তাই এগুলো নিজের লেখায় স্মৃতি করে রাখার চেষ্টা করি। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।             

      GD Star Rating
      loading...
  4. সাজিয়া আফরিন : ২৫-১০-২০১৯ | ২০:১৬ |

    হাহাহা নিতাই দা। ভিক্ষুক আনোয়ার পাশের গ্রামের ভিক্ষুকের আলাপচারিতা ভীষণ সুন্দর হয়েছে। পেটে খিল ধরে গেলো। আপনি তো রম্যও অসাধারণ লেখেন। অভিনন্দন। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Claps.gif.gif

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ২৫-১০-২০১৯ | ২২:৫৪ |

      রম্য গল্পটা আপনি পড়েছেন শুনে খুবই খুশি হলাম শ্রদ্ধেয় কবি সাজিয়া দিদি। আপনার জন্য শুভকামনা সবসময়।         

      GD Star Rating
      loading...
  5. সৌমিত্র চক্রবর্তী : ২৫-১০-২০১৯ | ২০:৩৭ |

    "আমি অন্ধ দেইখা আমার লগে ইয়ার্কি করেন? আল্লায় বিচার করবো মিয়া। আল্লায় বিচার করবো। এক দিনকা আম্নেও কানা অইবেন, কইয়া দিলাম।'' হিরার গল্প মিসিং। ক্ষতি নাই।  না পেলেও অন্ধ ভিক্ষুক এর গল্প দিয়ে পুষিয়ে দিয়েছেন আজ কবি নিতাই বাবু। দারুণ। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_yahoo.gif

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ২৫-১০-২০১৯ | ২২:৫৬ |

      আমার যেকোনো লেখায় আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে আমি সবসময় আনন্দে থাকি, শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।     

      GD Star Rating
      loading...
  6. মুহাম্মদ দিলওয়ার হুসাইন : ২৫-১০-২০১৯ | ২১:০৩ |

    * রচনায় পারিপাশ্বিক আবহ সৃষ্টিতে অসাধারণত্ব লক্ষ্যণীয়…https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gifhttps://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gifhttps://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

    চমৎকার।

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ২৫-১০-২০১৯ | ২২:৫৮ |

      আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে খুবই খুশি হলাম, শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।       

      GD Star Rating
      loading...
  7. রিয়া রিয়া : ২৫-১০-২০১৯ | ২১:১২ |

    দুই অন্ধ ভিখারীর গল্প। ভূমিকাও অসাধারণ গল্পও অসাধারণ প্রিয় কবি দা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ২৫-১০-২০১৯ | ২৩:০০ |

      আমার লেখা গল্পটা পড়েছেন জেনে খুশি হলাম শ্রদ্ধেয় কবি রিয়া দিদি।       

      GD Star Rating
      loading...
  8. ইসিয়াক : ২৫-১০-২০১৯ | ২২:০২ |

    চমৎকার উপস্থাপন https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ২৫-১০-২০১৯ | ২৩:০১ |

      শুভেচ্ছা রইল শ্রদ্ধেয় দাদা। আশা করি ভালো থাকবেন।      

      GD Star Rating
      loading...
  9. সাজিয়া আফরিন : ২৬-১০-২০১৯ | ২০:০৮ |

    হিরা'র গল্প আজকে মিস করলাম নিতাই বাবু। Smile

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ২৬-১০-২০১৯ | ২২:৫০ |

      আমি আজ সারাদিন খুবই ব্যস্ত ছিলাম বলে হিরা'র গল্পটা শেষ করতে পারিনি দিদি। তার জন্য খুবই দুঃখিত! তবে আশা করি আজ রাত যেতটাই বাজুক-না-কেন, দিবোই দিবো। এ-ও জানিয়ে দিচ্ছি যে, শেষ পর্বটা একটু বড় হয়ে যাচ্ছে। কষ্ট করে পুরো লেখাটা পড়ে নিবেন, শ্রদ্ধেয় দিদি। ধন্যবাধ অজস্র।

      GD Star Rating
      loading...
  10. আবু সাঈদ আহমেদ : ২৬-১০-২০১৯ | ২১:২১ |

    https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gifhttps://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ২৬-১০-২০১৯ | ২২:৫১ |

      মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় দাদা।

      GD Star Rating
      loading...
  11. শাকিলা তুবা : ২৬-১০-২০১৯ | ২২:১০ |

    আলাদা মানের লেখা। সহজ সরল এবং প্রাঞ্জল বর্ণনা। Smile

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ২৬-১০-২০১৯ | ২২:৫৩ |

      সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, শ্রদ্ধেয় দিদি। আশা করি ভালো থাকবেন।

      GD Star Rating
      loading...