যা দেবী সর্বভূতেষু… মহিষাসুরমর্দিনী
শ্রী শ্রী চণ্ডীস্তোত্রম্ – একাদশ পর্ব। শ্রী শ্রী বিজয়া দশমী
সংগ্রহ, সম্পাদনা ও স্তোত্রপাঠ- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী।
আজ শুভ বিজয়া দশমী। মা দুর্গা আজ বিদায় বিসর্জনে যাবেন। বিসর্জনের দিনটিতে একদিকে বিদায়ের শোক ও বেদনা, অন্যদিকে দুর্গতিনাশিনী ও কল্যাণময়ী মা যে এবারও পিতৃগৃহে এসেছিলেন সেই আনন্দের রেশ বিদ্যমান থাকবে। অবশ্য মমতাময়ী মায়ের বিসর্জন রূপক স্বরূপ। পাঁচ দিনের পূজা শেষে তিনি আমাদের অন্তর মন্দিরে বসতি করেন। সেখানে নিত্য বিরাজ করেন।
দুর্গাপূজা মূলত বাঙালি হিন্দু সমাজের প্রধান পূজা ও ধর্মীয় উত্সব। উপ-মহাদেশের হিন্দু জনগোষ্ঠীর মধ্যে কালীপূজার ব্যাপ্তিই সর্বাধিক। প্রতি বছর দুর্গাপূজার পরই অমাবস্যা তিথিতে আসে এই পূজা। দেবী দুর্গা হলেন শক্তির প্রতীক। দুর্গ বা দুর্গম নামক দৈত্যকে বধ করেন অথবা জীবের দুর্গতি নাশ করেন বলে তাকে বলা হয় দুর্গা।
তিনি হিংসা, নাশকতা ও সকল অন্যায়-অপকর্মের প্রতীক সেই অসুরের নিধন সাধন করে মানব সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্বস্তি আনয়ন করেন। মানুষকে দীক্ষিত করেন অভয়মন্ত্রে। বিষ্ণুর নির্দেশে সকল দেবতার তেজপুঞ্জ হইতে তাঁর জন্ম। তাই তিনি এতটা শক্তিময়ী। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী মা দুর্গা দেবাদিদেব মহাদেবের পত্নী। তাদের দুই কন্যা ও দুই পুত্র। লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিক। এই চার সন্তানের সঙ্গে দুর্গার মহাশক্তির চারবর্গ তথা ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ সংশ্লিষ্ট।
মহাদেবের বাসগৃহ কৈলাস পর্বত হতে মা দুর্গা প্রতি বছর সন্তানদের সাথে লয়ে পিত্রালয় মর্ত্যে বেড়াতে আসেন। আসেন প্রতি বছর আশ্বিন মাসের পঞ্চম তিথিতে। মহাধুমধাম ও আনন্দোত্সবের মধ্যে পাঁচ দিন পার হয়ে যায়। এ বছরও দেশব্যাপী শান্তি ও সৌহার্দমূলক পরিবেশেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই পবিত্র ধর্মীয় উত্সব। বিজয়া দশমীর পূণ্য দিবসে সকলকে জানাই শুভ বিজয়ার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু
শ্রী শ্রী দুর্গাত্সব-১৪২৬ শারদীয়া পূজা-সংকলন
শ্রী শ্রী বিজয়া দশমী – দুর্গাপূজার কবিতা- ৬
কবি- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
বিজয়া দশমী আজি পূণ্য শুভক্ষণ,
দশমীতে বিধিমতে পূজা আয়োজন।
সুগন্ধি চন্দন মধু গঙ্গাজল আর,
শঙ্খ ঘণ্টা ধূপ দীপ পূজা উপাচার।
পূজা অন্তে দশমীতে দেবী বিসর্জন,
মিষ্টান্ন, সিঁদুর, পান দেবীর বরণ।
ঢাক বাজে কাঁসি বাজে হয় শঙ্খধ্বনি,
সিঁদুর খেলায় মাতে যতেক রমণী।
বিজয়া দশমী আজি বিজয় কারণ,
হর্ষ ভরে দেখে সবে জ্বলিছে রাবণ।
বিসর্জনের বাজনা বাজে চারিধার,
একটি বছর তরে প্রতীক্ষা আবার।
বিজয়া দশমীর কাব্য রচিল লক্ষ্মণ,
পাঠ করে সুধীজন পাঠে ভরে মন।
loading...
loading...
বিজয়া দশমী আজি বিজয় কারণ,
হর্ষ ভরে দেখে সবে জ্বলিছে রাবণ।
বিসর্জনের বাজনা বাজে চারিধার,
একটি বছর তরে প্রতীক্ষা আবার।
আপাতঃ এ বিদায় আর প্রতীক্ষা হোক হাসি আনন্দের। মা ফিরে আসবেই।
loading...
দেশ ও জাতির উদ্দেশ্যে আপনার এই আশ্বাসবাণী সর্বজন সমক্ষে প্রচারিত হোক।
আপনার হৃদয়গ্রাহী সু-মন্তব্যে বিদায়ের অশ্রজল মুছে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
শুভ বিজয়া দশমীর বিজয়া প্রণাম। তত্সহ প্রীতি আর শুভেচ্ছা রইল।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!
loading...
বিজয়া দশমীর পূণ্য দিবসে আপনাকে জানাই শুভ বিজয়ার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
loading...
শুভ বিজয়া দশমীর আন্তরিক অভিনন্দন। তত্সহ প্রীতি আর শুভেচ্ছা রইল।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!
loading...
শুভ বিজয়ার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা কবি দা।
loading...
শুভ বিজয়া দশমীর আন্তরিক অভিনন্দন। তত্সহ প্রীতি আর শুভেচ্ছা রইল কবিবোন।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!
loading...
loading...
শুভ বিজয়া দশমীর আন্তরিক অভিনন্দন। তত্সহ প্রীতি আর শুভেচ্ছা রইল।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!
loading...
শুভ বিজয়া দশমী।
loading...
শুভ বিজয়া দশমীর আন্তরিক অভিনন্দন। তত্সহ প্রীতি আর শুভেচ্ছা রইল।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!
loading...
শুভ বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা রইল।
loading...
শুভ বিজয়া দশমীর আন্তরিক অভিনন্দন। তত্সহ প্রীতি আর শুভেচ্ছা রইল।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!
loading...
শুভ বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা রইল।
loading...
আপনার হৃদয়গ্রাহী সু-মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম।
শুভ বিজয়া দশমীর আন্তরিক অভিনন্দন। তত্সহ প্রীতি আর শুভেচ্ছা রইল।
loading...
দেবী দুর্গার স্বরূপ প্রসঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন- "ভারতের নারীর সর্ববিধ রূপের মধ্যে মাতৃমূর্তী সবার উপরে। মা সর্বাবস্থায় সন্তানের পাশে পাশে থাকেন। স্ত্রী-পুত্র মানুষকে ত্যাগ করতে পারে কিন্তু মা কখনও সন্তানকে ত্যাগ করতে পারে না। আবার মাতৃশক্তিই পক্ষপাত শূন্য মহাশক্তি। মায়ের কাছে প্রতিনিয়ত অকুন্ঠ শরণাগতিই আমাদের শান্তি দিতে পারে। তার জন্যই তাঁকে ভালবাসো ভয়ে নয় বা কিছু পাওয়ার আশায়ও নয়। তাঁকে ভালবাসো কারণ তুমি সন্তান। যখন তাঁকে আমরা এই রূপে অনুভব করি, তখনই আমাদের মনে আসে সমত্ব ও চিরশান্তি- এটাই মায়ের স্বরূপ।"
মায়ের কাছে আমাদের ঐকান্তিক প্রার্থনা হোক- রূপং দেহি জয় দেহি যশো দেহি দ্বিষো জহি।
প্রতি বছরই বাঙালি শুভ বিজয়ার পর থেকে পরের বছরের পুজোর জন্য অপেক্ষা করে। 'আসছে বছর আবার হবে!' এই কথাটি যেন সার্থক।
loading...