যা দেবী সর্বভূতেষু শ্রী শ্রী চণ্ডীস্তোত্রম অষ্টম পর্ব

যা দেবী সর্বভূতেষু… মহিষাসুরমর্দিনী
শ্রী শ্রী চণ্ডীস্তোত্রম্ – অষ্টম পর্ব। শ্রী শ্রী মহা-সপ্তমী
সংগ্রহ, সম্পাদনা ও স্তোত্রপাঠ- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী।

আজ শ্রী শ্রী মহা সপ্তমী। শারদীয় দেবী দুর্গার নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন করা হয়। এরপর সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভ ও মহাসপ্তমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। দেহ শুদ্ধি, অঙ্গ শুদ্ধি সেরে শুরু হয় পূজা-অর্চনা। ঢাকঢোল, শঙ্খ ধ্বনি-উলু ধ্বনি, খোল-কাসাসহ বিভিন্ন ধরনের বাদ্যবাজনা বেজে উঠে।

হিন্দু পুরাণে আছে, শরৎকালীন দুর্গাপূজার প্রচলন হয় রামায়ণ যুগ থেকে। রাক্ষসরাজ রাবণ শ্রীরামের স্ত্রী সীতাদেবীকে হরণ করে লঙ্কায় নিয়ে গেছিল, রাজা রাম স্ত্রী সীতাকে রাক্ষসরাজ রাবণের বন্দীশালা থেকে উদ্ধার করতে যাওয়ার আগে ‘দেবী চণ্ডি’রূপী দুর্গার পূজা করেছিলেন। ১০৮টি নীলপদ্ম এবং ১০৮টি প্রদীপ জ্বালিয়ে পূজা করেছিলেন। (রামায়ণে বর্ণিত আছে, ১০৭টি পদ্ম জোগাড় হয়েছিল, শ্রীরাম ছিলেন ‘নীলনয়ন’, উপায়ান্তর না দেখে শ্রীরাম নিজের একখানি চোখ দান করতে উদ্যত হয়েছিলেন, শ্রীরামের ভক্তিতে দেবী দুর্গা সন্তুষ্ট হয়ে স্বয়ং শ্রীরামকে চোখ দান করা থেকে নিবৃত্ত করেন।) বসন্তকালের পরিবর্তে শরৎকালে দুর্গাপূজা করেছিল বলেই এ পূজাকে ‘অকাল’বোধন বলা হয়।

দুর্গাপূজা মানেই সার্বজনীন উৎসব, দেবী দুর্গা আমাদের মাঝে মাতৃরূপে বিরাজ করেন, সবার মা। মা সন্তানের সুরক্ষাদায়িনী, সব অপশক্তি বিনাশিনী, মুক্তিদায়িনী, আনন্দময়ী দুর্গা। মায়ের কাছে সব সন্তান সমান, সব সন্তানের কাছে মা অনন্য, তাই মা দুর্গা সর্বজনের, দুর্গাপূজা সার্বজনীন।

মহাসপ্তমী পুজোর অঙ্গই যখন কলাবউয়ের স্নান :- শুদ্ধ ভাষায় যা নবপত্রিকা সেটাই চলিত ভাষায় পরিচিত কলাবউ রূপে৷ আর এই কলাবউ তো বাংলার দুর্গাপূজার একটি বিশিষ্ট অঙ্গ। আর এই নবপত্রিকা শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হল নয়টি গাছের পাতা। যদিও বাস্তবে এই নবপত্রিকা নটি পাতা নয় আসলে ৯টি গাছ। মূলত এটা কলাগাছ তার সঙ্গে থাকে কচু, বেল, হরিদ্রা (হলুদ), দাড়িম্ব (দাড়িম), অশোক, মান জয়ন্তী এবং ধান গাছ ৷ কলাগাছের সঙ্গে একেবারে মূল থেকে উৎপাটিত করে তা বেঁধে দেওয়া হয় এবং গণেশের ডান পাশেই বসানো হয় এই নবপত্রিকাকে ৷ একেই একেবারে লাল পাড় সাদা শাড়ি পড়িয়ে একেবারে ঘোমটা পড়া কলাবউয়ের রূপ দেওয়া হয় ৷

দেবী দুর্গার ছেলে মেয়ে এবং মহিষাসুরের সঙ্গে পুজো পায় এই নবপত্রিকা৷ কথিত আছে এই নবপত্রিকার ৯টি গাছ আসলে দেবী দুর্গার নয়টি বিশেষ রূপের প্রতীকস্বরূপ৷ এই নয় দেবী হলেন-রম্ভাধিষ্ঠাত্রী ব্রহ্মাণী, কচ্বাধিষ্ঠাত্রী কালিকা, হরিদ্রাধিষ্ঠাত্রী উমা, জয়ন্ত্যাধিষ্ঠাত্রী কার্তিকী, বিল্বাধিষ্ঠাত্রী শিবা, দাড়িম্বাধিষ্ঠাত্রী রক্তদন্তিকা, অশোকাধিষ্ঠাত্রী শোকরহিতা, মানাধিষ্ঠাত্রী চামুণ্ডা ও ধান্যাধিষ্ঠাত্রী লক্ষ্মী৷ অর্থাৎ এরাই যেন একত্রে নবদুর্গা রূপে পূজিত হয়৷ কলাবউয়ের চান দুর্গাপুজোর এক বিশেষ অঙ্গস্বরূপ৷

দেবীপক্ষের সপ্তমীর দিন সকালে কোনও নদী বা জলাশয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নবপত্রিকাকে মহাস্নান করাতে৷ তাই সপ্তমীর দিন সকালে কলকাতায় গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে ঘাট পুরোহিতদের উপস্থিতিতে কলাবউদের নিয়ে পুজো উদ্যোক্তারা অথবা বাড়ির লোকেরা জড়ো হয়৷ পাশাপাশি চলতে থাকে ঢাকির বাজনা৷ তখনই শাস্ত্রবিধি মেনে স্নান করিয়ে নতুন শাড়ি পরানো হয় নবপত্রিকাকে ৷ তারপর তাকে ফিরিয়ে আনা হয় বাড়ির পুজোর দালান অথবা বারোয়ারি পুজোমণ্ডপে৷ সেখানে নবপত্রিকা প্রবেশের পরই দুর্গাপূজার মূল অনুষ্ঠানটি প্রথাগত সূচনা হয়। এই নবপত্রিকা প্রবেশের পরই দর্পণে দেবীকে মহাস্নান করানো হয়। এরপর বাকি দিনগুলিতে নবপত্রিকা প্রতিমা দেবদেবীদের সঙ্গেই পূজিত হতে থাকে। বিশেষভাবে লক্ষণীয় হল, নবপত্রিকা প্রবেশের পূর্বে পত্রিকার সম্মুখে দেবী চামুণ্ডার আবাহন ও পূজা করা হয়। এছাড়া মহাষ্টমী ও মহানবমীর দিনও পূজার মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে মহাস্নান অনুষ্ঠিত হয়। দুর্গা প্রতিমার সামনে একটি দর্পণ বা আয়না রেখে সেই দর্পণে প্রতিফলিত প্রতিমার প্রতিবিম্বে বিভিন্ন জিনিস দিয়ে স্নান করানো হয়৷

মহাস্নানের সময় শুদ্ধজল, নদীর জল, শঙ্খজল, গঙ্গাজল, উষ্ণ জল, সুগন্ধি জল, পঞ্চগব্য, কুশ ঘাসের দ্বারা ছেটানো জল, ফুলে দ্বারা ছেটানো জল, ফলের জল, মধু, দুধ, নারকেলের জল, আখের রস, তিল তেল, বিষ্ণু তেল, শিশিরের জল, রাজদ্বারের মাটি, চৌমাথার মাটি, বৃষশৃঙ্গমৃত্তিকা, গজদন্তমৃত্তিকা, বেশ্যাদ্বারমৃত্তিকা, নদীর দুই তীরের মাটি, গঙ্গামাটি, সব তীর্থের মাটি, সাগরের জল, ঔষধি মেশানো জল, বৃষ্টিজল, সরস্বতী নদীর জল, পদ্মের রেণু মেশানো জল, ঝরনার জল ইত্যাদি দিয়ে দুর্গাকে স্নান করানো হয়।

ধরা হয় এই সব ক্রিয়ানুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজের কৃষিসম্পদ, খনিজসম্পদ, বনজসম্পদ, জলজসম্পদ, প্রাণীজসম্পদ, ভূমিসম্পদ ইত্যাদি রক্ষা করার জন্য সাধারণ মানসে বিশেষভাবে আলোকপাত করা হয়। নৈতিকতা স্থাপনে সর্বভূতে দেবীরই অধিষ্ঠানস্বরূপ পতিতোধ্বারের ভাবটিও ফুটিয়ে তোলা এই মহাস্নানের উদ্দেশ্য। এমনকী চাষা-ভূষা, মুচি-মেথর থেকে শুরু করে ব্রাহ্মণ, মালি, কুম্ভকার, তন্তুবায়, নরসুন্দর, ঋষি, দাস প্রভৃতি সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ বিশ্ব সংহতি ও বিশ্বের কাছে এক অসাম্প্রদায়িক সম্প্রদায়ের সমন্বয়বার্তা প্রেরণ করে। এককথায় সার্বিক ভাবে সমাজ কল্যাণের চিন্তা ফুটে ওঠে এই মহাস্নানে।

জীবের দুর্গতি হরণ করেন বলে তিনি দুর্গা। আবার তিনি দুর্গম নামের অসুরকে বধ করেছিলেন বলেও দুর্গা নামে পরিচিতা হন। তিনি শক্তিদায়িনী অভয়দায়িনী। যুগে যুগে বিভিন্ন সংকটের সময় তিনি মর্ত্য ধামে আবির্ভূত হয়েছেন। বিভিন্ন রূপে, বিভিন্ন নামে। তাই তিনি আদ্যাশক্তি, ব্রহ্মা সনাতনী দুর্গা, মহিষ মর্দিনী, কালিকা, ভারতী, অম্বিকা, গিরিজা বৈষ্ণবী, কৌমারী, বাহারী, চন্ডী লক্ষী, উমাম হৈমবতী, কমলা, শিবানী, যোগনিদ্রা নামেও পূজিতা। দেবী মা দুর্গার কাঠামোতে জগজ্জননী দুর্গা ছাড়াও লক্ষী, সরস্বতী, কার্তিক, গনেশ, সিংহ ও অসুরের মূর্তি থাকে।

এছাড়া পেঁচা, শ্বেতহংস, ময়ূর, ইঁদুর ও সবার উপরে শিবের মূর্তি বিদ্যমান। লক্ষী ধনের, স্বরস্বতী জ্ঞানের, গণেশ কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যের প্রতীক। মা দুর্গার দশটি হাত ও দশটি প্রহরণ অপরিমেয় বলবীর্যের। সিংহ বশংবদ ভক্তের ও অসুর অশুভ দুর্গতির প্রতীক। দেব সেনাপতি কার্তিক তারকাসুরকে বধ করে স্বর্গভ্রষ্ট দেবতাদের পুনরায় স্বর্গে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।

হিন্দু পুরাণে আছে, শরৎকালীন দুর্গাপূজার প্রচলন হয় রামায়ণ যুগ থেকে। রাক্ষসরাজ রাবণ শ্রীরামের স্ত্রী সীতাদেবীকে হরণ করে লঙ্কায় নিয়ে গেছিল, রাজা রাম স্ত্রী সীতাকে রাক্ষসরাজ রাবণের বন্দীশালা থেকে উদ্ধার করতে যাওয়ার আগে ‘দেবী চণ্ডি’রূপী দুর্গার পূজা করেছিলেন। ১০৮টি নীলপদ্ম এবং ১০৮টি প্রদীপ জ্বালিয়ে পূজা করেছিলেন। (রামায়ণে বর্ণিত আছে, ১০৭টি পদ্ম জোগাড় হয়েছিল, শ্রীরাম ছিলেন ‘নীলনয়ন’, উপায়ান্তর না দেখে শ্রীরাম নিজের একখানি চোখ দান করতে উদ্যত হয়েছিলেন, শ্রীরামের ভক্তিতে দেবী দুর্গা সন্তুষ্ট হয়ে স্বয়ং শ্রীরামকে চোখ দান করা থেকে নিবৃত্ত করেন।) বসন্তকালের পরিবর্তে শরৎকালে দুর্গাপূজা করেছিল বলেই এ পূজাকে ‘অকাল’বোধন বলা হয়।

দুর্গাপূজা মানেই সার্বজনীন উৎসব, দেবী দুর্গা আমাদের মাঝে মাতৃরূপে বিরাজ করেন, সবার মা। মা সন্তানের সুরক্ষাদায়িনী, সব অপশক্তি বিনাশিনী, মুক্তিদায়িনী, আনন্দময়ী দুর্গা। মায়ের কাছে সব সন্তান সমান, সব সন্তানের কাছে মা অনন্য, তাই মা দুর্গা সর্বজনের, দুর্গাপূজা সার্বজনীন।

সপ্তমী পূজা—-
আজ মহাসপ্তমী ৷এ তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় সপ্তমী বিহিত পূজা ৷মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গা সহ সকল প্রতিমার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়৷ নানা উপকরণে ফুল বেলপাতা নৈবদ্য বস্ত্র সাজিয়ে দেবীকে পূজা করা হয়৷ এ দিনের পূজায় নবপত্রিকা প্রতিষ্ঠিত হয়৷ নব পত্রিকা মূলত ৯ টি গাছের সমাহার এগুলো হলো কলা ধান ডালিম মান কচু হলুদ বেল অশোক এবং জয়ন্তী ৷একটি কলাগাছের সঙ্গে অন্য গাছের চারা বেঁধে দেয়া হয় তারপর একটি শাড়ি কাপড় পরানো হয় একে বলা হয় কলা বউ৷ নবপত্রিকা মধ্যে দেবী দুর্গা ৯ টি নামে অধিষ্ঠিত৷ মূলত নবপত্রিকা পূজার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের জীবন দায়ী বৃক্ষ কে পূজা করি৷

বৃক্ষ কে সংরক্ষন করি ৷আর এই বৃক্ষের মধ্যে আছে ঈশ্বরের শক্তি দেবীর শক্তি ৷নবপত্রিকার মধ্য দিয়ে আমরা দেবী দুর্গার পূজা করি৷ দেবী দুর্গাকে নির্দিষ্ট প্রণাম মন্ত্রতে প্রণাম করা হয়৷
প্রণাম মন্ত্র—
ওঁ সর্বমঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে
শরণ্যে ত্র্যম্বক গৌরি নারায়ণি নমোহস্ত তে
বাংলা অর্থ–হে দেবী সর্বমঙ্গলা শিবি সর্বার্থসাধিকা শরণযোগ্যা গৌরি ত্রিনয়না নারায়ণি তোমাকে নমষ্কার৷
প্রনাম মন্ত্রের শিক্ষা–
দেবী দুর্গা বিভিন্ন রূপে আবির্ভূত হয়ে থাকেন এবং আমাদের মঙ্গল নিশ্চিত করেন ৷তাই তিনি সর্ব মঙ্গলা তিনি শিবা ৷অর্থাৎ মঙ্গলময় শিবের শক্তি বলে তিনি শিবা ৷তিনি সকল প্রার্থনা পূরণ করেন ৷তার অসাধ্য কিছুই নেই ৷তিনি শরন্য তিনি গৌরী তার কাছে শক্তি প্রার্থনা করে আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবো এবং নিজের ও সমাজের জন্য মঙ্গল জনক কাজ করব ৷দূর্গা পূজার প্রণাম মন্ত্র আমাদের এই শিক্ষা দেয়

“পুষ্পা ঞ্জলি”

* সপ্তমী :- সচন্দনপুষ্প ওবিল্বপত্র নিয়ে বলুন (1) নমঃ আয়ুর্দ্দেহি যশো দেহি ভাগ্যং ভগবতি দেহি মে।পুত্রান্ দেহি ধনং দেহি সর্ব্বান্ কামাশ্চ দেহি মে ||

(2) হর পাপং হর ক্লেশং হর শোকং হরাসুখম্।হর রোগং হর ক্ষোভং হর মারীং হরপ্রিয়ে ||

এষ সচন্দন-পুষ্পবিল্বপত্রাঞ্জলিঃ নমঃ দক্ষযঞ্জ বিনাশিন্যে মহাঘোরায়ৈ যোগিনী কোটিপরিবৃতায়ৈ ভদ্রকাল্যৈ ভগবত্যৈ দুর্গায়ৈ নমঃ ||

(3) সংগ্রামে বিজয়ং দেহি ধনং দেহি সদা গৃহে।ধর্ম্মার্থকামসম্পত্তিং দেহি দেবী নমোস্তু তে ||

এষ সচন্দন-পুষ্পবিল্বপত্রাঞ্জলিঃ নমঃ দক্ষযঞ্জ বিনাশিন্যে মহাঘোরায়ৈ যোগিনী কোটিপরিবৃতায়ৈ ভদ্রকাল্যৈ ভগবত্যৈ দুর্গায়ৈ নমঃ ||

* প্রণাম মন্ত্র :- সর্বমঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বাথসাধিকে।শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরি নারায়ণি নমোস্তু তে ||

শ্রী শ্রী দুর্গোত্সব-১৪২৬ শারদীয়া পূজা-সংকলন
মহা সপ্তমী কাব‍্য- দুর্গাপূজার কবিতা- ৩
কবি- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

মহা সপ্তমীর দিন পূণ‍্য শুভক্ষণে,
দোলা নিয়ে নদীতটৈ আসে বিপ্রগণে।
নদীতীর সুশীতল সমীরণ বয়,
ঢাকীরা বাজায় ঢাক শঙ্খধ্বনি হয়।

নদীতীরে কাশফুল শোভা মনোহর,
পুলকেতে হরষিত সবার অন্তর।
নদীতে নবপত্রিকা করয়ে স্থাপন,
স্নান সারি শুদ্ধাচারে করে আচমন।

নদী হতে বারি আর দোলা নিয়ে আসে,
সুসজ্জিতা কলাবধূ গণেশের পাশে।
শঙ্খ ঘণ্টা ধূপ দীপ প্রসাদের থালা,
সাজানো মঙ্গলঘট বরণের ডালা।

বিধিমতে সপ্তমীর পূজা সমাপন,
মহা সপ্তমীর কাব্য লিখেন লক্ষ্মণ।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

৯ টি মন্তব্য (লেখকের ২টি) | ৭ জন মন্তব্যকারী

  1. মুরুব্বী : ০৫-১০-২০১৯ | ২০:৫৫ |

    শ্রী শ্রী চণ্ডীস্তোত্রম্ – অষ্টম পর্ব।

    নদী হতে বারি আর দোলা নিয়ে আসে,
    সুসজ্জিতা কলাবধূ গণেশের পাশে।
    শঙ্খ ঘণ্টা ধূপ দীপ প্রসাদের থালা,
    সাজানো মঙ্গলঘট বরণের ডালা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

    GD Star Rating
    loading...
    • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী : ০৬-১০-২০১৯ | ০:৫৩ |

      মন্তব‍্যে মুগ্ধ হলাম‌ । মহা সপ্তমীর শুভেচ্ছা রইল। জয়গুরু।

      GD Star Rating
      loading...
  2. সুমন আহমেদ : ০৫-১০-২০১৯ | ২১:৪৯ |

    শব্দনীড় পরিবারের একজন হিসোবে শারদীয় উৎসবে সবাইকে জানাই শুভেচ্ছ। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

    GD Star Rating
    loading...
    • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী : ০৬-১০-২০১৯ | ০:৫৪ |

      মন্তব‍্যে মুগ্ধ হলাম‌ । মহা সপ্তমীর শুভেচ্ছা রইল। জয়গুরু।

      GD Star Rating
      loading...
  3. সাজিয়া আফরিন : ০৬-১০-২০১৯ | ১৯:৪৩ |

    সর্বমঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বাথসাধিকে। শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরি নারায়ণি নমোস্তু তে। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    GD Star Rating
    loading...
  4. সৌমিত্র চক্রবর্তী : ০৬-১০-২০১৯ | ২০:০৮ |

    ভালোবাসা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

    GD Star Rating
    loading...
  5. আবু সাঈদ আহমেদ : ০৬-১০-২০১৯ | ২১:০০ |

    https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gifhttps://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

    GD Star Rating
    loading...
  6. শাকিলা তুবা : ০৬-১০-২০১৯ | ২১:৫২ |

    শুভেচ্ছা দাদা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

    GD Star Rating
    loading...
  7. নিতাই বাবু : ০৭-১০-২০১৯ | ১১:৫৪ |

    মহা- সপ্তমীর শুভেচ্ছা রইল।   

    GD Star Rating
    loading...