আমি প্রতিবেশী দেশ ভারতের ভক্ত। বিদেশীদের সাথে ফাই-ফুই যাই করুক, নিজ দেশের নাগরিকদের বেলায় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সরকার গুলো যেভাবে নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে তা রীতিমত প্রশংসাযোগ্য। এসব কর্মকাণ্ড অবশ্যই দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ। এই যেমন পেঁয়াজ রপ্তানির উপর সদ্য আরোপিত নিষেধাজ্ঞা। এ বছর ভাল হয়নি পেঁয়াজের ফলন, আভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানী করার মত অবস্থায় নেই প্রতিবেশী দেশ। তাই আটকে দিয়েছে রপ্তানি। প্রতিবেশী বাকি দেশগুলোতে পেঁয়াজ রফতানি হয় কিনা তা জানা নেই, আর করলেও তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা হয়নি। তবে বাংলাদেশের ব্যপারটা ১০০ ভাগ নিশ্চিত। আরোপের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এর বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এর প্রতিফলন ঘটছে বাংলাদেশের হাট-বাজারে। ভারতীয়দের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত না জানিয়ে উপায় নেই। হাজার হলেও তা দেশপ্রেম!
এবার চাঁদের অন্য-পীঠে গিয়ে যদি নিজ দেশের দিকে তাকাই, বিশ্বাস করেত ইচ্ছে করে ইলিশের আভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়েই বাংলাদেশ ভারতে ইলিশ রফতানি করছে। প্রথম চালানে যাচ্ছে ৫০০ টন। পরবর্তী চালান নিশ্চয় পাইপ লাইনে ভরা হচ্ছে। দেশে যাওয়া হয়না অনেকদিন। তাই সাধারণ মানুষের ইলিশ ক্রয় ক্ষমতা এখন কতটা তার কোন ধারণা নেই। আভ্যন্তরীণ ক্রাইসিসের কারণে ভারত যদি পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করতে পারে, নিশ্চয় আমাদের ইলিশ বাজারে ক্রাইসিস নেই বলেই তা রফতানি করতে পারছি। প্রশ্ন হচ্ছে, একজন সাধারণ কৃষক, শ্রমিক ও চাকরিজীবীর খাবার প্লেটে কি ইলিশ গড়াগড়ি যাচ্ছে? অবশ্য দেশের অর্থনৈতিক সামর্থ্য যদি ইতিমধ্যে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের মত দেশগুলোকে অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রকে ধরে ফেলার পর্যায়ে চলে গিয়ে থাকে নিশ্চয় এমন প্রশ্ন করা হবে অবান্তর।
আমারা যখন আমাদের ইলিশ ভর্তি ট্রাক প্রতিবেশীর কাছে হস্তান্তর করছি, একই সময় প্রতিবেশী দেশও কিছু একটা হস্তান্তর করছে আমাদের কাছে। এবং তা হল মনুষ্য লাশ। পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ বেধে গেলে শত্রু পক্ষের লক্ষ্য ভেদ করতে চাই নিখুঁত ট্রেনিং। এই ট্রেনিংটাই ভারতীয়রা ঝালিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ সীমান্তে। আর সে যুদ্ধের প্রস্তুতিতে আমাদের কন্ট্রিবিউশন হিসাবেই হয়ত আমরা বাড়িয়ে দিচ্ছি আমাদের নাগরিকদের। ভারতীয়দের জন্যে হয়ত এটাও দেশপ্রেমের অংশ। আর আমাদের জন্যে নিশ্চয় তা মুক্তিযুদ্ধের প্রতিদান।
একই কায়দায় ওরা ফারাক্কা বাধের শতাধিক গেইট খুলে দিয়েছে। বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে অতিরিক্ত পানি। সময় হলে তলিয়ে যাবে দেশের হাট-মাঠ-ঘাট। স্বাধীনতার ঊষালগ্নে আমরা অনেক দেশের সাথে বার্টার চুক্তিতে ব্যবসা করেছি। এই যেমন সোভিয়েত ইউনিয়ন। ব্যাপারটা এরকম; আমরা পাট রপ্তানি করবো, আর বিনিময়ে সমমূল্যের চিনি পাঠাবে সোভিয়েতরা। নগদের কোন বালাই নেই। পণ্যের এমন বিনিময়কেই বলে বার্টার ব্যবসা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ভারতের সাথেও আমরা বার্টার চুক্তি করেছি। এই যেমন, আমরা দেব ইলিশ, আর ওরা দেবে লাশ অথবা পানি। ভাবতে বেশ ভাল লাগছে!
loading...
loading...
একজন সাধারণ কৃষক, শ্রমিক ও চাকরিজীবীর খাবার প্লেটে ইলিশ গড়াগড়ি খায় না। দেশের অর্থনৈতিক সামর্থ্য ইতিমধ্যে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের মত দেশগুলোকে অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রকে ধরে ফেলার পর্যায়ে চলে গিয়েছে সুতরাং কোন প্রশ্ন করা অবান্তর হবে। শুভেচ্ছা ইলিশ এর বিপরীতে কোন কথা হবে না।
মূলা-অস্ত্র-শান্তনা ভার্তৃ-মাতৃ সম্পর্কের জাবর নিয়ে সন্তুষ্ট থাকাটাই ভালো।
loading...
দিতে হলে শক্তপোক্ত নয়; নরম কিছুই দেয়া যেতে পারে। বিশেষ করে প্রতিবেশীকে।
loading...
যথার্থ বলেছেন।
loading...
দ্বিমত পোষণ করছি ওয়াচডগ ভাই। মূলা নয়; প্রত্যূত্তরে বাংলাদেশে বাঁশের চাইতে আরও কঠিন কিছু থাকলে সেটা দিন। পররাষ্ট্রনীতি আরও শক্তিশালী হতে হবে। নইলে ভারত সুযোগ নেবেই। মেছেো-বাঘকে হুজুর হুজুর করার কিছু নাই।
loading...
ইলিশ নিয়ে পেঁয়াজ বন্ধ। বিহার এলাকায় বন্যা তারপরও ভারতীয় সিন্ডিকেটের নিন্দা জানাই।
loading...
loading...
loading...
শুভবুদ্ধির উদয় হোক সবার এই কামনা
loading...