বখাটে ছেলেদের বখাটেপনা হলো, ডিজিটাল যুগের এক ডিজিটাল স্বভাব চরিত্রের নাম। এসব চরিত্রে অংশগ্রহনকারী ডিজিটাল যুগের কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছেলে-পেলে। এঁদের বলে বখাটে ছেলে। এঁরা মা-বাবার অতি আদরের সন্তান হয়েও, অবাধ্য সন্তানের মতো উড়া-ধুরা চলাফেরা করে। এঁদের মনে যখন যায় চায়, তা-ই করে। এসব ছেলেদের আগে বলা হতো ইতর ফাজিল। এজাতীয় ছেলেদের সবসময়ই মেজাজ গরম থাকে। এসব বখাটে ছেলেরা কারোর কথা মানে না, শুনেও না। কারো ধারও ধারে না। এঁদের নিজের বুঝেই এঁরা চলে। কিন্তু ওঁরা অন্য কোনও দেশের নাগরিক নয়, অন্য কোনও গ্রহ থেকেও আসেনি। বখাটে ছেলেরা এই সমাজেরই আমার আপনার সন্তান। নাহয় কারো-না-কারোর ভাই।
এখনকার সময়ের বখাটেদের স্বভাব চরিত্র, চলা-ফেরা ডিজিটালি। মানে আধুনিক। একসময় ডিজিটাল শব্দটা এই বঙ্গদেশে কেউ ব্যবহার করতো না, ছিলও না। কয়েক বছর ধরে ডিজিটাল শব্দটি বাংলাদেশের সাথে যোগ হয়েছে। যে-কোনো একটি বিশেষ কারণে। সেই থেকে রবিঠাকুরের সোনার বাংলা আর জাতীয় কবি নজরুলের বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। যাই হোক স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের ইতর ফাজিলদের স্বভাব চরিত্র ছিল একটু ভিন্ন রকম। তখনকার সময়ের সেসব ইতর ফাজিল ছেলেদের সবাই ওঁদের রুস্তম বা পাইন্না রুস্তম বলতো। রুস্তম হলো, বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী। মানে বড়-সড় নেতাদের সাথে যাদের চলা-ফেরা তাঁরাই রুস্তম। আর পাইন্না রুস্তম হলো রুস্তমদের চুনোপুঁটি। মানে রুস্তমদের চামচা। তাঁদের হাতে রুমাল বাধা থাকতো। গলায়ও রুমাল পেছানো থাকতো। কারো কারো সাথে ড্রেগার নামের ছুরি থাকতো।
সেসব রুস্তম বা পাইন্না রুস্তমদের মধ্যে বর্তমানে কেউ ভালো থাকলেও, কেউ কেউ অসহায় হয়ে দিন যাপন করছে। আবার কেউ করেছে মৃত্যুবরণ। কেউ হয়েছে বুড়ো। কেউ আবার সংসারের বোঝা হয়ে ছেলে-পুলেদের ঘাড়ের পর বসে বসে খাচ্ছে। সেসব রুস্তম পাইন্না রুস্তমদের দিন শেষে ১৯৯০ দশকের দিকে নতুন করে দেখা দিয়েছে, ক্যাডার মাস্তান। সাথে জন্ম হয়েছে একধরণের হিংস্র ভয়ঙ্কর জানোয়ার। এঁদের নাম বখাটে। এঁরাই রাস্তা ঘাটে পাড়া মহল্লায় ঘুরে ঘুরে বখাটেপনা করে। বর্তমান যুগের এসব বখাটে ছেলেদের স্বভাব চরিত্র নিয়েই আমার আজকের আলোচনা সমালোচনা এবং বখাটে বন্দনা।
বখাটেদের দেখতে হুবহু আরও দশজন শান্ত ছেলেদের মতো দেখা যায়। শরীরের কোথাও লেখা থাকে না যে ওঁরা বখাটে ছেলে। কিন্তু এঁদের স্বভাব চরিত্র আরও দশজন ছেলেদের থেকে ভিন্ন। কিন্তু মানুষ। বর্তমানে এঁরা অনেক বাবা-মায়ের সংসারের বোঝা। কারণ, একটি পরিবারের একটা বখাটে ছেলের কারণের পরিবারের সকলের রাতের শান্তির ঘুম হারাম। অনেক সময় বখাটে ছেলের বখাটেপনার জন্য পরিবারের কর্তাব্যক্তিকে অপমান অপদস্ত হতে হয়। হয়ও অনেক সময়। আবার বিচার হয়। সালিশ হয়। জেল জরিমানাও হয়। আর পুলিশের তাড়া তো থাকেই। তাই অনেক বাবা মায়ের কাছে বখাটে ছেলেরা পরিবারের কলঙ্কের বোঝা। আবার অনেকের কাছে এঁরা মানুষ নামের কলঙ্ক। কারণ, এঁদের স্বভাব ভাদ্র মাসের কুকুরের মতো। সময় সময় এঁরা বনের হিংস্র প্রাণীর মতো রূপধারণ করে। অনেক সময় বখাটেদের হিংস্র থাবায় এদেশের অনেক মানুষ আহত নিহতও হয়। আগে-পরে হয়েছেও অনেক। যা এখনো প্রতিনিয়ত হচ্ছে। কেউ বখাটেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রতিরোধ করতে গেলেই আক্রমণের শিকার হতে হয়। তাই সহজে বখাটে ছেলেদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে চায় না। এঁদের পোশাক-আশাক, সাজগোছ, চলন-বলনের উপরও কেউ বিধিনিষেধ আরোপ করে না। কারণ, এঁরা বখাটে নামের বর্তমান জানোয়ার তাই।
এবার আসি বখাটেদের চলন-বলন নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনায়। বখাটদের চলন-বলন, পোশাক-আশাকও থাকে আরো দশজন ছেলেদের থেকে আলাদা। আমার দেখা এবং জানা মতে আধুনিক ইতর ফাজিল বখাটেদের চলন-বলন, পোশাকাদি বিষয়ে কিছু শর্টকাট বর্ণনা দিতে চাই। বর্ণনা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করছি এই কারণে যে, রাস্তা-ঘাটে, স্কুল-কলেজের সামনে, পাড়া-মহল্লায় শুধু বখাটে ছেলেরাই যে ঘোরাফেরা করে তা নয়। তাঁদের সাথে উঠতি বয়সের অনেক ভালো ছেলে-পেলেরাও ঘোরা-ফেরা করে। তাই বলে কি সবাই বখাটে? না, সবাই বখাটে নয়। বখাটে স্বভাবের ছেলেরাই বখাটেপনা করে থাকে। তাই বখাটে ছেলেদের বিষয়ে আমি শর্টকাট বর্ণনা দিচ্ছি, যাতে তাঁদের পোশাকাদি দেখে খুব সহজে যেকেউ বখাটেদের চিনে নিতে পারে। মনে রাখা ভালো যে, পাড়া মহল্লার ভালো ছেলেদের সাজগোজ থাকবে সাধারণ। আর বখাটে ছেলেদের সাজগোজ থাকবে অসাধারণ। সেজন্যই অসাধারণ সাজগোজ দেখে সবাই বখাটেদের সহজে চিনে নিবেন। তাহলে এবার আসি বখাটেদের সাজগোজের কিছু সংক্ষিপ্ত বর্ণনায়।
বখাটেদের পরনে থাকে পাতলা গেঞ্জির কাপড়ের তৈরি হাফপ্যান্ট। এই পাতলা কাপড়ের হাফপ্যান্ট পরেই বখাটেরা রাস্তা-ঘাটে, পাড়া-মহল্লায় ঘোরা-ফেরা করে। বখাটেরা যেভাবে হাফপ্যান্ট পরে ঘোরাফেরা করে, তা ফরেন কান্ট্রির ইংরেজদেরও হার মানায়। বখাটে ছেলেরা যখন এই পাতলা গেঞ্জির কাপড়ের হাফপ্যান্ট পরে রাস্তায় অথবা নিজেদের মহল্লায় থাকা স্কুলের সামনে ঘোরাফেরা করে, তখন স্কুল পড়ুয়া উঠতি বয়সের মেয়েরা ওঁদের দেখে লজ্জায় মুখ ঘুরিয়ে রাখে। কিন্তু বখাটে ছেলেরা একটুও লজ্জা পায় না। ওঁরা বখাটেরা আনন্দ পায়।
মেয়েদের লজ্জায় বখাটে ছেলেরা মনের আনন্দে নাচে। আবার গানও গায়। লাজুক মেয়েরা মনের ক্ষোভ মনে রেখে ভয়ে ভয়ে নিজেদের ঘরে চলে যায়। ঘরে গিয়ে অভিভাবকদের কাছে নালিশ দেয়। অভিভাবকরা কেউ প্রতিবাদ করে, কেউ আবার নিজেকে অসহায় ভেবে মেয়েকে সাবধানে চলার উপদেশ দেয়। তারপরও অনেক সময় অসহায় অভিভাবকদের বখাটেদের খপ্পরে পড়তে হয়। মার খেতে হয়। জীবন দিতে হয়। এর কারণ আগেই উল্লেখ করেছি, বখাটে ছেলেদের মেজাজ সবসময় গরম থাকে। এঁরা নিজের পিতা-মাতার কথাই শুনতে পারে না। তাহলে পরের কথা আর পরের শাসন এঁরা মানবে কী করে? তাই বখাটে ছেলেরা কাউকে মানে না। পাত্তাও দেয় না। শোনে না কারোর বারণও।
বখাটে ছেলেরা চলে ওঁদের নিজের ইচ্ছায়। ওঁরা মেয়েদের মত হাতে চুড়ির পড়ে। যাকে বলে কিনা ব্যাস লেট। কানে দুল পড়ে। আবার হাতে থাকে একটা কমদামী বেশিদামী এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন। যা এ-যুগের একরকম ফ্যাশন। ধনী গরিব সকলের কাছেই যখন থাকে, ওঁদের কাছে থাকাটাও স্বাভাবিক বলে মনে হয়। আবার গলায় ঝুলানো থাকে মোবাইল ফোনের হেডফোন। যা দিয়ে ডিজে গান শুনে। বাজনার তালে তালে নাচে। চোখের ভ্রু-তে একধরনের রিং গাথা থাকে। মাথার চুল থাকে বখাটে কাটিং। মাথার এক সাইটে চুল থাকে, আরেক সাইট থাকে ন্যাড়া। কেউ কেউ মেয়েদের মত লম্বা চুলও রাখে। সেই চুল আবার বেনি গেঁথে রাখে। ওঁরা বখাটেরা চুলের এই বিশেষ কাটিংগুলো বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং বিভিন্ন দেশের সিনেমা দেখে আবিষ্কার করে। কেউ কেউ বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখে ফুটবলারদের মত করে চুলের কাটিং করে। বখাটে ছেলেরা মনে মনে ভাবে, আমার চুলের এরকম কাটিং দেখে সমাজের সব মেয়েরা পাগল হয়ে যাবে। বখাটেদের চুল অনেক সময় বড়সড় কবিদের চুলকেও হার মানিয়ে দেয়। কেউ কেউ চুলে এলিট পেইন্টের মত রং লাগায়। যাকে বলে কলব। তাও থাকে লাল, নীল, সবুজ, সোনালি রঙের।
একসময় চুলের বাহার দেখা যেতে সিনেমায়। তবে তা ছিল পরচুলার বাহার। এখনো সিনেমার পরিচালকরা যেমন পরচুলা ছাড়া সিনেমাই তৈরি করতে পারে না। তেমনি নায়ক নায়িকারাও পরচুলা ছাড়া একচুলও নড়ে না। কারণ, পরচুলা পড়ে অভিনয় করতে করতে পরচুলা পড়ার অভ্যাস হয়ে গেছে তাই।। তবে বখাটে ছেলেদের মাথায় কিন্তু পরচুলা থাকে না। বাস্তব চুলা থাকে। কারণ এঁরা সভ্য যুগের অসভ্য বখাটে ছেলে তাই। বখাটেদের মধ্যে কেউ কেউ গোঁফের সাথে হালকা দাড়ি রাখে। দাড়ির কাটিং থাকে এরাবিয়ান কাটিং। এরকম কাটিঙে দাড়ি রেখে বখাটে ছেলেরা নিজেকে আরব দেশের আমির মনে করে। নিজেকে প্রিন্স ভাবে।
আবার বখাটেদের মধ্যে যারা বিত্তশালীদের ছেলে-পেলে, তাঁদের থাকে হোন্ডা নামের এক বাহন। হোন্ডার পিছনে গরিব বখাটে ছেলেদের বহন করে। সাথে নিয়ে আড্ডা দেয়। গরিব বখাটে ছেলেরা আনন্দ পায়। বড়লোকের বখাটে ছেলেদের হুকুম পালন করে। মানে চামচামি করে। বখাটেপনা করতে সাহায্য করে। এর বিনিময়ে গরিব বখাটে ছেলেরা একটু আধটু মদ, গাঁজা, আফিম, তারি, ফেন্সির ভাগ পায়। ওঁরা খায়। আনন্দ পায়।
বখাটে ছেলেরা আর কিছুর পাগল হোক-বা-না-হোক, কিন্তু মেয়ে পাগল। মেয়ের দিকেই ওঁদের নেশা বেশি। চোখও সে-দিকেই বেশি যায়। তাই ভাদ্র মাসের কুকুরের মত পাগল হয়ে ঘুরে। রাস্তা-ঘাটে, স্কুলের সামনে মেয়েদের দেখে ওঁরা শিশ মারে। গান গায়। অভিনয় করে। হাসাহাসি করে। রাস্তায় পড়ে থাকা একটুকরো ছেড়া কাগজে কিছু লিখে নিজের পছন্দের নায়িকার দিকে ছুড়ে মারে। কিছু বলতে গেলে ক্ষেপে যায়। প্রতিশোধ নিতে চায়। নেয়ও। সময় সময় সুযোগ বুঝে অপহরণ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার মত অপরাধও করে ফেলে। সেই অপরাধ থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য খুন করে। গুমও করে। তখন এর জের টানতে হয় অপরাধী বখাটে ছেলের পরিবারকে।
বখাটেদের হাতে খুন গুম ধর্ষণ হওয়া নতুন কিছুই নয়! এটা আরও অনেক পুরানো ঘটনা। এসব ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছে। এঁদের জ্বালায় গ্রাম সহরে থাকা মেয়েরা অসহায় হয়ে পড়ছে। অভিভাবকেরা পড়ছে দুঃশ্চিন্তায়। কিছুতেই বখাটেদের দমানো যাচ্ছে না। প্রতিহত করা যাচ্ছে না। দিন যাচ্ছে তো পুকুরের কচুরিপানার মতো বাড়ছেই। এঁদের দমাতে হলে আমাদের সামাজিক পারিবারিক সচেতনতা বাড়ানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। তাই বখাটে ছেলেদের পরিবারবর্গের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আপনারা আপনাদের উঠতি বয়সের ছেলেদের গতিবিধি ফলো করুন। সন্তান কী করছে, কোথায় যাচ্ছে, কাদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে এ-সবের দিকে লক্ষ্য রাখুন। যদি বখাটেদের মতো স্বভাব দেখা যায়, তাহলে সন্তানকে আদর করে কাছে টেনে একটু বোঝানোর চেষ্টা করুন! নাহয় মনে রাখবেন, উচ্ছৃঙ্খল এক বখাটে সন্তানের জন্য পুরো পরিবার-সহ সমাজের আরও দশজন অশান্তি ভোগ করবেন, তা একশো তে একশো নিশ্চিত।
আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য এখানে একটি ঘটনা উল্লেখ করছি। ঘটনাটি ঘটেছিলো রাজশাহীতে। ঘটনার শিকার হয়েছিলেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম। ঘটনা ঘটেছে গত ১০ আগস্ট রাজশাহী শহরের জনবহুল এলাকা সাহেববাজার মনিচত্বরে। শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম নিজের স্ত্রীর সম্মান বাঁচাতে গিয়ে বখাটেদের হাতে মার খেয়েছিলেন।
বিষয়টি সেদিনই নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। ঘটনার সময় সময় আশপাশে মানুষের কাছে সাহায্য চাইলে তারা কোনো সাহায্য না করে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে দেখছিলো বলে জানান তিনি। এমনকি, তিনি সকলের কাছে ‘বাঁচান’ বলে সাহায্য চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেনি কিন্তু তিনি এক পর্যায়ে ক্রোধান্বিত হয়ে ‘ও আমার বউ, গার্লফ্রেন্ড না, কাবীননামা দেখাতে হবে আপনাদের?’ বললে উল্টো বখাটেদের পক্ষ নিয়ে একজন ভিড়ের মধ্য থেকে বলে, ‘হ্যাঁ, কাবীননামা নিয়েই চলাফেরা করতে হবে!’ লিংক দিলাম, এখানে দেখুন!
তাহলে দেখা যায় বখাটেদের দাপটে অদূর ভবিষ্যতে সবাইকে এভাবেই বিয়ের কাবিননামা অথবা নিজ সন্তানের জন্মসনদ সাথে নিয়েই রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করতে হবে। নাহয় যেকোনো সময়ই বখাটেদের আক্রমণের শিকার হতে হবে। তাই সময় থাকতেই সামাজিক ও পারিবারিকভাবে বখাটেদের প্রতিহত করুন। তা না হলে আমার আপনার আদরের লাজুক মেয়েটির জীবন বিপন্ন হবে। একসময় মায়ের জাতি লাজুক মেয়েরা বখাটে ছেলেদের জ্বালায় ঘর থেকে বেরুতে পারবে না, তাও নিশ্চিত।
তা যেন না হয়। তাই আগে থেকেই বখাটেদের বখাটেপনার বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে সোচ্চার হতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে, প্রতিরোধ করতে হবে। বখাটেদের মন থেকে ঘৃণা করতে হবে। রাস্তা-ঘাটে চলাফেরার মাঝে বখাটে ছেলেদের দেখলে থুথু ফেলতে হবে। বখাটে ছেলেরা বেশি বিরক্ত করলে নিকটস্থ থানায় গিয়ে নালিশ করতে হবে। বখাটেদের সামাজিকভাবে প্রতিরোধ-সহ প্রতিহত করতে হবে। তা না হলে আমার আপনার আদরের লাজুক মেয়েটির জীবন বিপন্ন হবে। ঘরের মেয়েরা ঘরেই কোণঠাসা হয়ে পড়বে। একসময় মায়ের জাতি লাজুক মেয়েরা বখাটে ছেলেদের জ্বালায় একসময় ঘর থেকে বেরুতে পারবে না। তাও নিশ্চিত।
loading...
loading...
সকালের লেখায় সংক্ষিপ্ত রূপ পড়েছিলাম। এখন পড়লাম ডিটেইলে। আপনার সুবিস্তার এই আলোচনা পোংটা পোলাপান যদিও পড়বে না, কিন্তু অভিভাবকরা ফলো করতে পারেন।
loading...
শ্রদ্ধেয় সুমন দাদা, বখাটেদের অত্যাচারে জমাজের সর্বস্তরের জনসাধারণ আজ অসহায় হয়ে পড়েছে। ওঁদের প্রতিহত না করতে পারলে, একসময় আমাদের মা-বোনের কোণঠাসা হয়ে পড়বে। ঘরের বাইরে যাতে পারবে না। তা একশো-তে-একশো নিশ্চিত । এঁদের এখনই প্রতিহত করা দরকার বলে আমি মনে করি।
loading...
ওঁরা অন্য কোনও দেশের নাগরিক নয়, অন্য কোনও গ্রহ থেকেও আসেনি। বখাটে ছেলেরা এই সমাজেরই আমার আপনার সন্তান। নাহয় কারো-না-কারোর ভাই।
loading...
ওঁরা বখাটেরা আমাদের সন্তান হয়েও আমাদেরআ-বোনদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এঁদের এখনই প্রতিহত করা দরকার বলে আমি মনে করি।
loading...
ভালো পোস্টমর্টেম করে ফেলেছেন কবি নিতাই বাবু। বাহ্। আপনার ধৈর্য্যের প্রশংসা করি। মডারেটরকে অনুরোধ করবো লিখাটি বিশেষ নির্বাচন করা উচিত।
loading...
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।
loading...
শব্দনীড় সঞ্চালক মহোদয়কে ভালোবাসা জানাই।
loading...
মোদ্দা কথা সামাজিক ও পারিবারিকভাবে বখাটেদের প্রতিহত করতে হবে। শক্ত হাতে।
loading...
হ্যাঁ শ্রদ্ধেয় দিদি, এঁদের শক্ত হাতেই দমন করা উচিৎ বলে আমিও মনে করি।
loading...
বিষয়টি সিরিয়াস হলেও আপনার উপস্থাপনা অসাধারণ মানের হয়েছে।
loading...
সারা বাংলাদেশে যে হারে বখাটেদের বখাটেপনা বেড়েছে, তাতে মনে হয় আরকিছুই দিন পর আমার মায়ের জাতি মা-বোনেরা রাস্তা-ঘাটে চলা-ফেরা করতে পারবে না। তা একশো-তে -একশো নিশ্চিত ।
loading...
একটা একটা ধরে ধরে ফিজিওথেরাপি আর রিমাণ্ডে নিলে সাইজ হবে।
loading...
শ্রদ্ধেয় আবু সাঈদ দাদা, আপনার সুন্দর মাতামতের সাথে একমত পোষণ করে বলতে চাই, এঁদের এখনই প্রতিহত না করতে পারলে সামনে মহাবিপদের সম্মুখীন হতে হবে। তা একশো তে একশো নিশ্চিত।
loading...
আবু সাঈদ আহমেদ ভাই ভালো মন্তব্য করেছেন। সমর্থন করি।
loading...
আমিও শ্রদ্ধেয় আবু সাঈদ দাদার সুন্দর মাতামতের সাথে একমত পোষণ করে বলতে চাই, এঁদের এখনই প্রতিহত না করতে পারলে সামনে মহাবিপদের সম্মুখীন হতে হবে। তা একশো তে একশো নিশ্চিত।
ভালো থাকবে শ্রদ্ধেয় কবি দিদি।
loading...
ঘর থেকে শুরু। হটাও কুলাঙ্গার বাঁচাও সমাজ।
loading...
হ্যাঁ দাদা, এভাবেই শুরু করা হোক।
loading...