আমার হাসি দেখে দুঃখও হাসে

আমার হাসি দেখে দুঃখও হাসে!

জন্ম থেকেই দুখী আমি। তাই দুঃখকে খুবই ভালোবেসে ফেলেছি। দুঃখও আমাকে ভালোবাসে। আমি যেমন দুঃখ ছাড়া চলতেই পারি না, দুঃখও আমাকে ছাড়া থাকতে পারে না। দুঃখটাকে ভুলে থাকার জন্য আমি অনেকবার অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখকে ভুলতে পারিনি। একবার দুঃখকে প্রিয় জন্মভূমিতে রেখে ভারত গিয়েছিলাম। মনে করেছিলাম, দুঃখ আর আমার নাগাড় পাবে না। আমি সুখ নিয়ে মহা সুখে থাকবো। কিন্তু না, জন্মভূমির দুঃখ সাথে না গেলেও, আমি ভারতে পা রাখার পরপর ভারতের দুঃখ আমাকে আশ্রয় করে ফেললো। সুখের আশায় ভারত গেলে আর কী হবে, ঐ দেশের সুখ আমার জীবনে খাপ খাওয়াতে পারিনি। অবশেষে যে কয়দিন ভারতে ছিলাম, ভারতের দুঃখকে সাথী করেই ছিলাম। অবশেষে ভারত থেকে দেশের মাটিতে পা রেখেই আবার দুঃখকে সাথী করে নিলাম।

এই জীবনে কতো আলোকিত মানুষ দেখি! তাঁদের সুখও দেখি! নিজেও একবার জীবনকে আলোকিত করার জন্য সূর্যের কাছে আলো চেয়েছিলাম। সূর্য আমকে বলল, “আমার এতো এতো আলো থাকতেও আমি ঠিকমত পৃথিবীতে আলো দিতে পারি না। আকাশের কালো মেঘ আমার আলো বাঁধাগ্রস্থ করে দেয়। কালো মেঘগূলো খুবই হিংসুটে! ওরা আমার আলো ঢেকে রাখে। আর তুমি এসেছ আমার কাছে আলো চাইতে? পাবে না, ঐ মেঘেদের জন্য তুমি আমার আলো নিয়ে তোমার জীবন আলোকিত করতে পারবে না। তুমি আমার আলো নিতে হলে আগে মেঘের সাথে যোগাযোগ করতে হবে!”

গেলাম মেঘের কাছে কিছু শলাপরামর্শ করার জন্য। মেঘ আমার সাথে দুঃখকে দেখে কেঁদে উঠলো। মেঘকে জিজ্ঞেস করলাম, “আমাকে দেখে তুমি কেঁদে উঠলে কেন?” মেঘ বলল, “তোমার সাথে যেই দুঃখ আছে, এই দুঃখই আমাকে আশ্রয় করে আছে। আমি খোলা আকাশে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াতে চাই! কিন্তু পারি না। দুঃখ আমাকে আমার খুশিমত ঘুরতে দেয় না। বড়বড় পাহাড়ের সাথে আমাকে ধাক্কা লাগিয়ে দেয়। সেই ধাক্কায় আমি হাউমাউ করে কাঁদতে থাকি। আমার চোখের জল তখন ঝরঝর করে ঝরতে থাকে। সেটাকে তোমরা বলো বৃষ্টি। আসলে এটা আমাদের অতি দুখের কান্না। তোমরা যখন বৃষ্টির জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে কান্নাকাটি করো, তা দেখে তখন আমাদের খুব দুঃখ হয়, কষ্টও হয়। তখনও তোমাদের জন্য কাঁদি। সেটাকেও তোমরা বলো বৃষ্টি!” আমি মেঘের কথা শুনে বললাম, “আমি তোমার কাছে কেন এসেছি, তা কি তুমি জানো?”

মেঘ বলল, “জানি! তুমি সূর্যের কাছে আলো চেয়েছিলে। সূর্যদেব তোমাকে আমার কাছে পাঠিয়েছে ফয়সালা করতে। আমি যেন তোমাকে দেওয়া আলোতে বিঘ্ন না ঘটাই। কিন্তু তা আমি ঘটাবোই! যতক্ষণ না পর্যন্ত পাহাড় মাথা নিচু না করে। আমি মুক্ত আকাশে ভেসে বেড়াতে চাই! তুমি পাহাড়ের সাথে আমার ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করতে পার! পাহাড় আমার কথা মানলে আমি তোমাকে সূর্যের আলো পেতে সাহায্য করবো।”

মেঘের কথামত গেলাম পাহাড়ের কাছে। পাহাড় আমাকে দেখামাত্রই হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “হাউমাউ করার কারণ কী?” উত্তরে পাহাড় আমাকে তাঁর দুখের কথা শোনালো। পাহাড় বলল, আমি কাঁদি আমার মনের দুঃখে! আমি আকাশছোঁয়া পাহাড়। আমার মাথা অনেক উঁচু! গায়ে গতরেও আমি বেশ মোটাসোটা। তাই আমার জন্য মেঘেদের চলতে ফিরতে সমস্যা হয়। সেজন্য আমি কী করতে পারি? আমাকে তো মহান সৃষ্টিকর্তাই এভাবে দাঁড় করিয়ে রেখেছে, পৃথিবীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য। তোমাদের এই পৃথিবীর সৌন্দর্য রক্ষার্থে আমি কতো অত্যাচার সয়ে চলছি, তা কি তুমি জানো?” আমি বললাম, “না!”

পাহাড় বলল, “তাহলে শোন! আমাকে নিঃশেষ করার জন্য ইঁদুর নামে এক প্রাণী আমার দেহটাকে ছিদ্র ছিদ্র করে ফেলছে। আমি মেঘেদের সাথে পারলেও, ঐ ইঁদুরের সাথে পেরে উঠতে পারছি না। তুমি কি ইঁদুর নামের প্রাণীটিকে সামলাতে পারবে? যদি পারো, তো আমি মেঘের সাথে কথা বলে তোমাকে নিরাপদে সূর্যের আলো পাবার ব্যবস্থা করে দিবো।”

আমি পাহাড়ের কথা শুনে রীতিমত থ বনে গেলাম! আমি আর কোনও কথা না বলে সোজা নিজের মত করে চলে এলাম। সেদিন থেকে জীবনটাকে আলোকিত করার আর কোনও পথ অবলম্বন করিনি। জীবন অন্ধকারময় আর অশান্তিময় থাকে থাকুক! জীবনটাকে আলোকিত করার জন্য আর কারোর কাছে যাবো না বলে ওয়াদাও করেছি। সেই থেকে কারোর কাছে আলো চাই না, সুখও চাই না। একফোঁটা সুখের জন্যও কারোর কাছে যাইও না।

এমনিতেই সুখ আমার পোড়া কপালে সয় না। তেলের সাথে যেমন জল মিশে না, ঠিক তেমন! তাই এখন কেউ সুখের আশ্বাস দিলেও গ্রহণ করি না। আমি আমার জন্ম লগ্নের সাথী দুঃখ নিয়েই আছি। দুঃখ নিয়ে জ্বলে পুড়ে ভালো আছি! জ্বলছি তো সেই জন্মলগ্ন থেকেই। তেল যেমন জন্ম থেকে জ্বলছে, ঠিক তেমন! তবু অঙ্গার হয়েও টিকে আছি। বেঁচে আছি। শত কষ্টের মাঝেও কষ্ট মনে হয় না। শত দুখের মাঝেও দুঃখ অনুভব করি না। যদিও দুখের সাথী কান্না আমার জন্মলগ্ন থেকে, তবুও আমি কাঁদি না।

কোনও নবজাতক শিশু যদি মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হবার পর না কাঁদে, তো উপস্থিত সকলেরই মথা নষ্ট! নবজাতক শিশুটি কেঁদে ওঠার পরই সকলেই হাসতে থাকে। নবজাতক শিশুটির কান্না, আর সবার মুখে থাকে হাসি, মনে জাগে আনন্দ! নবজাতক শিশুটি এই নশ্বর ভবসংসারে আসার পর তো হাসার কথাই ছিল। কিন্তু শিশুটি না হেসে কেঁদে উঠে কেন? আজও এর কোনও সদুত্তর পেলাম না। তাই এবিষয়ে কারোর কাছে প্রশ্নও রাখি না। তবে এনিয়ে নিজে নিজে অনেক ভাবি! চিন্তাও করি! নবজাতক শিশুটির কান্নার কারণ কী এবং কেন?

আমার ধারণা, নবজাতক শিশুটি মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হবার পর, চোখ মেলে এই ভয়ংকর পৃথিবীর করুণ অবস্থা দেখেই কেঁদে ফেলে। কেঁদে কেঁদে হয়তো মহান সৃষ্টিকর্তাকে বলে, “হে দয়াল, “আমি তো আমার মাতৃগর্ভেই ভালো ছিলাম। কিছুক্ষণ আগে তুমি আমাকে কয়েকটা শর্ত জুড়ে দিয়ে, আমাকে কেন বেঁচে থাকার প্রতিযোগিতামূলক ভয়ংকর পরিস্থিতিতে তুমি হাজির করলে? আমি কি দুঃখ সুখের সাথে লড়াই করে বেঁচে থেকে সৎভাবে তোমার উপাসনা করতে পারবো? আমি কি তোমার জুড়ে দেওয়া শর্তগুলো মেনে চলতে পারবো? আমি তো মাতৃগর্ভে থেকে নিয়মিতই তোমার উপাসনা করেছি! তোমাকে ডেকেছি। তুমি আমার ডাকে সারা দিয়েছ। সবসময় দেখাসাক্ষাৎও করেছো। এখন কি আমি নিয়মিত তোমার দেখা পাবো?” এমন হাজারও প্রশ্ন করতে করতে শিশুটি একসময় কেঁদে উঠলো। আর তখনই মনে হয় মায়ের সামনে উপস্থিত থাকা সবাই নবজাতক শিশুটির কান্না দেখে হেসে উঠলো।

মনে হয় আমার বেলায় তা-ই হয়েছিল। তবুও কাঁদতে আমি একরকম জানি-ই-না। একসময় অনেক কেঁদেছি! কেঁদে কোনও লাভ হয় না। কেউ নোংরা একটা রুমাল দিয়েও ভেজা চোখ মুছে দেয় না। আপনজনের মৃত্যুতে যদি কাঁদি, তো কেঁদে কেঁদে বুক ভাসিয়ে ফেলা পর্যন্তই শেষ। কিন্তু আপনজন আর ফিরে পাওয়া যায় না। তাহলে এতো এতো কেঁদে লাভ কী? নিজ দেহের ক্ষতি ছাড়া বিন্দুমাত্র লাভ নেই! আবার সময় সময় কারোর দ্বারা অপমানিত হবার পরও যদি কাঁদি, তো সেই অপমান আর ফিরিয়ে দেওয়া যায় না। যা হবার তো হয়েই যায়। তাই আর কাঁদতে ভালো লাগে না! কাউকে হাউমাউ করে কাঁদতে দেখলে মনে কষ্ট লাগে ঠিক, মনে মনে বলতে থাকি, “এই সমাজে চোখের জলের দাম পাবে না। অযথা এই কান্নাকাটি কেন করছো?”

এই দেহটা কেটে টুকরো টুকরো করে ফেললেও একফোঁটা জল কোথাও কেউ পাবে না। এই জল শুধু জীবিত থাকতেই চোখের নালীতে জমা থাকে। দুঃখ, কষ্ট অনুভব হলেই আপনা-আপনি চোখের জল বেরিয়ে আসে। আর সেই মূল্যবান একফোঁটা জলের দাম কেউ দিতে পারে না। কারোর দুঃখে কষ্টের চোখের জল দেখলে কেউ প্রতিবাদ করে না। কারোর শরীরের রক্তও টগবগ করে না। বরং অনেকসময় এই সমাজের কিছু হিংস্র স্বভাবের নরপশু কারোর চোখের জল দেখলে উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তাহলে কেঁদে আর লাভ কী? না কাঁদাই ভালো। তবু অনেক সময় কান্না যেন আপনা আপনিই মনের ভেতর বিড়বিড় করতে থাকে। তাই দুঃখ কষ্টকের অনুমতি ছাড়াই হঠাৎ করে কেঁদে ফেলি! না কাঁদলে বুক ফেটে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবার মতো হয়।

এই জীবনে আমি কয়েকবারই কেঁদেছি। শুধু মনের কষ্ট সামাল দিতে পারিনি বলে। একবার কেঁদেছিলাম, জন্মদাতা পিতার মৃত্যুতে। আরেকবার ছেলের মৃত্যুতে। মেয়ের বিয়ের দিনে মেয়েকে পরের হাতে তুলে দিতেও কেঁদেছিলাম। মায়ের মৃত্যুতে কেঁদেছিলাম। মায়ের কথা মনে পড়লে এখনো আমার কান্না আসে। দু’চোখের জল বেরিয়ে আসতে চায়। আমি ইচ্ছে করে চোখের জল বাঁধ দিয়ে রাখি। যাতে চোখ থেকে জল না বের হয়। কারণ, চোখের জল যাতে শুকিয়ে না যায়। হয়তো দুখী জীবনে কান্নার আরও অনেক বাকি আছে। বুড়ো বয়সে যদি কাঁদতে হয়! আর তখন যদি চোখে জল না থাকে! তাহলে তো লোকে বলবে, “লোকটি বড়ই পাষাণ! এমন একটা সময়ে সবাই কাঁদলো, আর এই লোকটি একটু কাঁদলোও না!” তাই অনেকসময় বুকফাটা কান্না আসতে চাইলেও বুক চাপা দিয়ে রাখি। কারোর বিদায় বেলা মনটাকে বুঝিয়ে রাখি। মনটাকে বলি, “কাঁদিসনে মন, যে যাবার সে তো যাবেই। এই পৃথিবীতে কেউ তো আর চিরস্থায়ী নয়! আমাকেও তো একদিন-না-একদিন চলে যেতে হবে। তখন তুমিও মন আমার জন্য কয়েক মিনিট কেঁদে-কেটে অন্য কোথাও লুকিয়ে থাকবে।” এই বলেই নিজে নিজে হাসতে থাকি।

আমি হাসতেও পারি। কারণে, অকারণে, সময়ে, অসময়ে সবসময়ই হাসি। হাসিটাকে আমার জীবনে মিশে থাকা দুখের সাথে বেঁধে রেখেছি। প্রথম প্রথম হাসি নিয়ে আমার জীবনসঙ্গী দুখের সাথে অনেক বাকবিতণ্ডাও হয়েছিল। দুঃখ আমাকে প্রশ্ন করেছিন, “তুমি হাসিটাকে সাথে রাখছো কেন? হাসি হলো সুখী মানুষের সঙ্গী। দুখী মানুষের সঙ্গী হলাম আমি দুখী। যার সাথী হবে কান্না। আমাদের সাথে মিশতে হলে, কান্নাই মিশতে পারে; থাকতেও পারে। কিন্তু সুখীদের হাসি তো আর আমাদের সাথে মিশতে পারবে না। আর আমাদের সাথে খাপও খাবে না। তুমি হাসিকে আমাদের সাথে রেখো না।”

দুঃখকে বললাম, “কান্না হাসির কোনও জাত-বেজাত নেই, দুখী! রঙ-বেরঙ নেই। ভাষাগত দিক দিয়েও গড়মিল নেই। আমরা বাঙালি যেভাবে কাঁদি, ইউরোপে থাকা ইংরেজরাও একইভাবে কাঁদে। আমরা দুখে আর আনন্দে যেভাবে হাসি, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মানুষেও এভাবেই হাসে। তাহলে হাসিকে আমি সঙ্গী করে রাখবো না কেন? আমি আমার এই গরিবানা হাসিটাকে জীবনের শেষ সময় পর্যন্তই সাথে রাখবো। তুমিও থাকবে, হাসিও থাকুক!” এই বলেই অনেকক্ষণ হাসলাম। আমার হাসি দেখে দুঃখও হাসতে লাগলো।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

১৪ টি মন্তব্য (লেখকের ৭টি) | ৭ জন মন্তব্যকারী

  1. মুরুব্বী : ১৩-০৬-২০১৯ | ১১:০৬ |

    লিখাটির শব্দ চারণ এক কথায় অসাধারণ। জীবনের প্রতিটি অনুভূতি ফুটে উঠেছে লিখায়। বাহবা পাওয়ার জন্য নিশ্চয়ই লিখেন নাই। এমন লিখা কেবল নিজের জন্যই হতে পারে। ভালো থাকুন মি. নিতাই বাবু। এই শুভ কামনার বাইরে আর কী ই বা থাকতে পারে। হ্যাভ আ গুড লাক।

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ১৪-০৬-২০১৯ | ১৮:২৫ |

      আপনি ঠিক বলেছেন শ্রদ্ধেয় কবি দাদা। বাহব পাবার আশা আমি কখনওই করি না শ্রদ্ধেয় দাদা। লিখি নিজের আবেগ থেকে, নিজকে নিয়ে। 

      শুভকামনা সবসময় থাকবে শ্রদ্ধেয় কবি দাদা। 

      GD Star Rating
      loading...
  2. সুমন আহমেদ : ১৩-০৬-২০১৯ | ১২:৩৮ |

    কী অসাধারণ শব্দ কথায় নিজের জীবনের ব্যবচ্ছেদ ঘটান আপনি পড়লে অবাক হই। 

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ১৪-০৬-২০১৯ | ১৮:২৭ |

      আপনাদের মাঝেই নিজের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করে যাচ্ছি শ্রদ্ধেয় সুমন দাদা

      আপনার সুন্দর মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ জানাচ্ছি। 

      GD Star Rating
      loading...
  3. রিয়া রিয়া : ১৩-০৬-২০১৯ | ১৩:০৬ |

    আপনি নিশ্চয়ই একদিন দুঃখকে জয় করবেন দাদা। 

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ১৪-০৬-২০১৯ | ১৮:৩০ |

      তা আর দরকার নেই শ্রদ্ধেয় দিদি। হাতে সময় খুবই কম। যেভাবে আছি, ভালো আছি শ্রদ্ধেয় দিদি। এভাবেই অবশিষ্ট সময়টুকু যেন হেসে খেলে শেষ হয়। এই কামনা আমার।

      ভালো থাকবেন শ্রদ্ধেয় কবি দিদি।

      GD Star Rating
      loading...
  4. সৌমিত্র চক্রবর্তী : ১৩-০৬-২০১৯ | ১৩:২১ |

    দুঃখ বেদনাকে জয় করতে হবে নিতাই দা। চলুক সংগ্রাম। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ১৪-০৬-২০১৯ | ১৮:৩২ |

      সংগ্রহ চলবেই শ্রদ্ধেয় দাদা। চলবে জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত।

      ভালো থাকবেন সবসময় কবি দাদা।

      GD Star Rating
      loading...
  5. শাকিলা তুবা : ১৪-০৬-২০১৯ | ১২:০৮ |

    কখনও কখনও আমাদের হাসি দেখে দুঃখও হাসে। কথাটি কিন্তু ভারী সত্য। 

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ১৪-০৬-২০১৯ | ১৮:৩৪ |

      আমি আমার নিজের ধারনা থেকে লিখেছি,  শ্রদ্ধেয় কবি দিদি। কার,  দুঃখই যখন আমার জীবনসঙ্গী,  তখন এর চেয়ে আর সত্য কী হতে পারে?

      GD Star Rating
      loading...
  6. আবু সাঈদ আহমেদ : ১৪-০৬-২০১৯ | ১২:২৪ |

    দুঃখে হাসুন। দুঃখই আপনাকে বাঁচিয়ে রাখবে দাদা। বাঁচার স্বপ্ন দেখাবে।

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ১৪-০৬-২০১৯ | ১৮:৩৭ |

      এটা আমার নিজেরও ধারনা শ্রদ্ধেয় দাদা। তাই দুঃখকে ভালোবেসেই বেঁচে থাকতে চাই। যদি কপালে কোনোএক সময় সুখ আসে, তো দুঃখকে অবশ্যই স্মরণে রাখবো শ্রদ্ধেয় দাদা। দুঃখকে ভুলবো না কখনওই। 

      GD Star Rating
      loading...
  7. ফারুক মোহাম্মদ ওমর : ১৪-০৬-২০১৯ | ২১:৩৪ |

    দুঃখ ছাড়া জীবন অর্থহীন। ভালো লেগেছে লেখাটি। 

    GD Star Rating
    loading...
    • নিতাই বাবু : ১৪-০৬-২০১৯ | ২৩:০২ |

       লেখাটা নিজের অনুভূতি থেকে প্রকাশ করেছি দাদা। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 

      GD Star Rating
      loading...