লেটস্ ফাক দেম টু দ্যা এন্ড!
সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভে একেক ধর্মের জন্যে একেক রকমের বিধান আছে। এই যেমন মুসলমানদের জন্যে রোজা নামাজ হজ্ব যাকাত। হিন্দুদের জন্যে দুর্গা, কালি, সরস্বতী, শীবলিঙ্গ সহ হরেক রকমের দেব-দেবীর পূজা। বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীনরাও বলতে গেলে সৃষ্টিকর্তার সমকক্ষ। তাদের সন্তুষ্টি এখন জাতীয় কর্তব্য ও পালনে বাধ্যতামূলক ধর্ম। আওয়ামী ধর্মেরও দেব-দেবী আছেন। তাদের নৈকট্য লাভের জন্যেও আছে সুনির্দিষ্ট কিছু তরিকা। এই যেমন ৭১’এর মুক্তিযুদ্ধ বন্দনা ও পাকিস্তান গীবত চর্চা। শাহরিয়ার কবির, খুশি কবির সহ দেশের গোটা বুদ্ধিজীবী সমাজ এখন চেতনা উদ্দীপক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ইয়াবা সেবন করে চলছেন আর তার মূল্যবোধ অনেকটা বায়বীয় কায়দায় ছড়িয়ে দিচ্ছেন দেশের আকাশে বাতাসে। পাকিস্তান গীবতই বা বাদ যেবে কেন! এই গীবতের উদাহরণ হিসাবে টানা যায় জনৈক চেতনাবাজ হযরতের পুত্রের বিদেশ যাত্রার কাহিনী।
পুত্র বিদেশ যাচ্ছেন। তবে আমার আপনার মত পকেটে ৫ ডলার নিয়ে বিদেশ যাত্রা নয়। পরবাসে পা রাখার আগেই পুত্রের চেতনাবাজ পিতা হবু দেশের ব্যাংক একাউন্টে সবেধন নীলমনি পুত্রের নামে ৫০০ কোটি ডিপোজিট করে রেখেছেন। পুত্রের ফ্লাইট উড়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের উপর দিয়ে। তিনি প্লেনে বসে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের অভিব্যক্তির কথা প্রকাশ করছেন। পাকিস্তানের উপর দিয়ে উড়ে যেতে কতটা ঘৃণা হচ্ছিল তা প্রকাশের ভাষা খুজে পাচ্ছিলেন না তিনি। লুটেরা পিতার লুটের টাকায় বিদেশ যাত্রায় চেতনার এই বিষ্ফোরণ অনেকের কাছে দেশপ্রেমের জীয়নকাঠি মনে হতে পারে। কিন্তু আমার কাছে এ শ্রেফ ফাকিং লুটের মাল হালাল করার সুরা আল হাসিনার কয়েকটা লাইন মাত্র। আরবী আয়াতের মত এই আয়াত বুঝার সক্ষমতাও সীমাবদ্ধ কতিপয় শাহরিয়ার কবির ও জাফর ইকবালদের মত কিছু কিন্তা কুন্তিদের মাঝে।
পাকিস্তান!
মাথায় পাগড়ি, মুখে লম্বা দাড়ি আর সাথে হালি খানেক স্ত্রী নিয়ে একদল সামন্তযুগীয় মানুষকেই আমরা পাকিস্তানী হিসাবে চিহ্নিত করতে অভ্যস্ত। তাদের চিনতে এবং ঘৃণা করতে আমাদের খুব একটা অসুবিধা হয়না। কারণ, এরা হচ্ছে ৭১’এর খুনী ও ইসলামী জঙ্গিবাদের ধারক বাহক।
আমাদের দেশে নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে অনেকটা আবাবিল পাখির মত ওরা উড়ে আসে। উড়ে আসে প্রতিবেশী দেশ ভারত হতে। মুখে থাকে অসাম্প্রদায়িকতার ললিত বাণী, আর হাতে থাকে শায়েস্তা করার সৌদি তরবারী। সুজাতা বিবিরা অতিথি হয়ে আসেন। নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে রাজনীতিবিদদের সাথে দরবার করেন। এবং পৌছে দেন দিল্লীর হুঁশিয়ারী। … বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির ক্ষমতায়ন মেনে নেবেনা দিল্লী।
আমাদের দেশে নির্বাচন হয়।
রাতের অন্ধকারে ভোটবাক্স ভর্তি করে প্রভুদের চরণে পূজা-অর্চনা দেয় তাদের লোকাল এজেন্টরা। উপহার দেয় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।
ভারত!
গুজরাটের কসাই নরেন্দ্র মোদি নতুন করে জনগনের ম্যাণ্ডেট পেয়েছেন। আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবেন তিনি। গোটা ভারতকে আনবেন গো-মূত্রের আওতায়। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রবক্তা, ওলামায়ে কেরাম, হুজুরে আলা হযরত মোদির (সাঃ) ভারতকে কট্টর ধর্মীয় অনুশাসনের আওতায় আনার নির্বাচনী ওয়াদাকে ম্যাণ্ডেট দিয়েছে ‘অসাম্প্রদায়িক; ভারতের জনগণ। তারই তাৎক্ষণিক প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে দেশটার আনাচে কানাচে। মুসলমানদের গরু পেটা করে লাইনে আনা হচ্ছে। বাংলাদেশী অভিবাসীদের ঝেটিয়ে বিদায় করার হুমকি উচ্চারিত হচ্ছে ক্ষমতার উচ্চ পর্যায় হতে।
যে পাকিস্তানকে আমরা সাম্প্রদায়িক শক্তির ব্রীডিং গ্রাউণ্ড হিসাবে জানি বাস্তবতা হচ্ছে সে পাকিস্তানে কোনদিন কোন সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্ষমতায় আসেনি। আসার সম্ভাবনাও নেই।
নতুন করে ভারত ও ভারতীয়দের চেনার সময় এসেছে। ওরা গো-মূত্র সেবক একদল উগ্র ধর্মীয় উন্মাদ। যে পশ্চিমবঙ্গে যুগ যুগ ধরে কম্যুনিষ্টরা শাসন করে গেছে, সে বঙ্গে এখন বিজেপি, বাজরাং আর লাল নীল গেরুয়া পোশাকধারী একদল গো-মূত্র সেবকের অভয়ারণ্য।
আবার এই গো-মূত্র সেবকদেরই চাই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ!
লেটস্ ফাক দেম টু দ্যা এন্ড!
loading...
loading...
বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীনরাও বলতে গেলে সৃষ্টিকর্তার সমকক্ষ। লুটেরা পিতার লুটের টাকায় বিদেশ যাত্রায় চেতনার এই বিষ্ফোরণ অনেকের কাছে দেশপ্রেমের জীয়নকাঠি। চেতনাবাজদের লুটের মাল হালাল করার কয়েকটা লাইন মাত্র।
আমার কাছেও তাই মনে হয়।
loading...
কথায় বলে, লুটের টাকায় বেশ্যা নাচে
loading...
বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীনরাও বলতে গেলে সৃষ্টিকর্তার সমকক্ষ। তাদের সন্তুষ্টি এখন জাতীয় কর্তব্য ও পালনে বাধ্যতামূলক ধর্ম। আওয়ামী ধর্মেরও দেব-দেবী আছেন। তাদের নৈকট্য লাভের জন্যেও আছে সুনির্দিষ্ট কিছু তরিকা। এই যেমন ৭১’এর মুক্তিযুদ্ধ বন্দনা ও পাকিস্তান গীবত চর্চা। কথা গুলোয় সন্দেহ নাই।
loading...
চোর, বাটপার আর জালিয়াতদের আবার দেশপ্রেম!
loading...
গুজরাটের কসাই নরেন্দ্র মোদি নতুন করে জনগনের ম্যাণ্ডেট পেয়েছেন। আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবেন তিনি। গোটা ভারতকে আনবেন গো-মূত্রের আওতায়। কথা ভুল নয়। আমাদের দূর্ভাগ্য আমাদের সাথে চলে।
loading...
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মোদির প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ!
loading...
গো-মূত্রের আওতায় আনা হলে জন্ডিস ভাল হবে
১০০% সত্য কথা———-
loading...
গোটা ভারতই বোধহয় এখন হ্লুদ রোগে আক্রান্ত!
loading...
যে পশ্চিমবঙ্গে যুগ যুগ ধরে কম্যুনিষ্টরা শাসন করে গেছে, সে বঙ্গে এখন বিজেপি, বাজরাং আর লাল নীল গেরুয়া পোশাকধারী একদল গো-মূত্র সেবকের অভয়ারণ্য। আবার এই গো-মূত্র সেবকদেরই চাই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ! দুঃখজনক।
loading...
পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের জন্যে সব সময় আলাদা একটা শ্রদ্ধা কাজ করতো। কিন্তু এবার সে শ্রদ্ধার 'সফল' সমাপ্তি ঘটল।
loading...
আমাদের দেশে নির্বাচন হয়।
রাতের অন্ধকারে ভোটবাক্স ভর্তি করে প্রভুদের চরণে পূজা-অর্চনা দেয় তাদের লোকাল এজেন্টরা। উপহার দেয় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।
loading...
ঘুরে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ
loading...
মোক্ষম শিরোনাম ভাইজান।
loading...
loading...
তাহলে মোদী এবার শ্রীরাম এর সাথে বাংলাদেশেও ধর্মীয় রাজনৈতিক শক্তি গুলোর ধারক দেশ বানিয়ে ভায়ে ভায়ে মিলে মিশে থাকার পথ করে দেবে নিশ্চয়ই। দেবে কি ? ভারতের অতো সময় নাই। নিজের দেশে ধর্মীয় সন্ত্রাস রেখে বরং এদিকেই জঙ্গীবাদের ধোয়া তুলবে।
loading...
হিপোক্রেসির নগ্ন চিত্র!
loading...