কবিতা সবার পড়ার দরকার নাই। আমি অনেককে চিনি জানি যারা স্কুলের বই ছাড়া আর কোন কবিতা পড়েন নাই এবং তারা দিব্যি ভালো আছেন। আমার থেকে ভালো আছেন। তাই, সকলের কবিতা পড়ার দরকার নাই। সাধারণ পাঠকের কোন দায় ও দরকার নাই কবিতা পড়বার। কবিতার যে অত গভীরতা সেটা আর কে বুঝবে কবি ছাড়া। সত্যি কথা বলতে, আমি কিছু কিছু কবিতা সাধারণ পাঠকের জন্য লিখি না। কেবল কবিদের জন্যই লিখি। আমার তো মনে হয়, যিনি কবিতা লিখেন একমাত্র তিনিই কবি নন, যিনি কবিতা পড়তে জানেন তিনিও কবি। কেননা, সবাই কবিতা পড়তেও জানেন না।
কবিতার মধ্যে বিষণ্ণতা থাকে, কিন্তু যখন আমি লিখছি তখন আমার মন ভালো থাকে। কবিতার এই দ্বি-মুখী আচরণটা তো একজন সাধারণ বা গণ পাঠক ধরতে পারবেন না। ধরতে পারার কথাও না। রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতার কয়েকটা লাইন পড়ার পরে আমার যদি মনে হয় এই বিচ্ছেদটা আমার, কবি আমার জন্যই লিখেছেন; তাহলে সেটা পাঠ করে আমি আমার তৃপ্তি টুকোই কেবল পাব। কবি যে সত্ত্বা থেকে লিখেছেন সেটা পাব না। সেটা পেতে হলে আমাকে কবিতার মধ্যে ঢুকে যেতে হবে, কবিতার শব্দ অক্ষর অলিগলি ঘুরে পৌঁছে যেতে হবে রবীন্দ্রনাথের বেডরুমে। লাবণ্যকে বিদায় জানিয়েছে অমিত, কিন্তু সেই অমিতকে ধারণ করতে কবির যে কষ্টটা হচ্ছে সেটা অনুভব করতে হবে।
ডেসডিমোনাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পরে ওথেলো তো আত্মহত্যা করে মুক্তি পেয়ে গেল কিন্তু দুই দুইটা খুন করে শেকসপিয়রের যে অপরাধ-বোধ নেই সেটা কে বলবে? সেই যন্ত্রণাটা অনুভব করতে হবে না প্রিয় পাঠক?
প্রেমের কবিতা যিনি লিখেন তিনি নিজে কতটা অপ্রেমে আছেন সেটা আগে অনুভব করতে হবে-
ক্ষুধার কাব্য যিনি লিখেন তিনি নিজে কতদিন না খেয়ে থেকেছেন- কত রাত তিনি নিজে জল খেয়ে কাটিয়েছেন সেটাও জেনে নিতে হবে। সাহিত্য বিচার লেখা বই না নভেল দিয়ে করা হলেও লেখকের ব্যক্তিগত জীবনকে উপেক্ষা করা একেবারেই উচিত নয়।
সবাই যদি বলেন যে,
কবির ব্যক্তিগত জীবন অচ্ছুত অস্পৃশ্য; ওটা ছোঁয়া যাবে না– তাহলে ঐ বেচারা কবিকে মরতে হবে না খেয়ে, প্রেমের কবিতা লিখতে হবে প্রেম না করেই। মৃত্যুর পরে তোমরা ব্যবচ্ছেদ করলে করবে- তোমাদের কৃপা।
রবীন্দ্রনাথ এত যে প্রেমের গান লিখেছেন তিনি নিজে কতটা প্রেম পেয়েছেন সেটাও ভেবে দেখতে হবে। কিংবা তিনি এই যে এত প্রেম পেয়েছেন, সেগুলো সত্যিই কি প্রেম? ঠিক তিনি যে রকম প্রেম চেয়েছেন সেই রকম প্রেম? মনে তো হয় না। পেলে আর এত কেন লিখবেন? যেটা পাওয়া যায় না সেটাই চাওয়া হয় কবিতায় গানে।
বলা হয়ে থাকে যে, বাংলা গানে রবীন্দ্রনাথ একই সাথে সর্বস্ব ও সর্বনাশ—
সর্বনাশের মাথায় বাড়ি দেয়ার আগে অবশ্যই অবশ্যই ভাবতে হবে সর্বনাশটা যে হলো, কেন হলো? এত আকুতি আর কারও গানে নেই কেন? রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুল-সংগীত, লালনগীতি এরপরে আমরা আর কোন গীতির নাম শুনি না কেন?
আমাদের চাহিদা কি তবে মিটে গেছে? কে মিটিয়ে দিয়ে গেল?
আমার দেখা দশ জন কবির মধ্যে আট জন কবিতা লিখতে চান না। তারা এককথায় শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে লিখেন। এবং সেগুলো গার্বেজ ছাড়া আর কিছুই না।
এইবার, কবির কথা বাদ দিলে আমাদের কথা অর্থাৎ পাঠকের কথা ভাবতে হয়।
পাঠক কারা? যারা পড়েন তারা সবাই কি পাঠক?
যিনি দুই-চারটা কবিতা লিখে ফেললেন তিনিই কি কবি? হাজার হাজার কবিতা লিখে রেকর্ড করতে পারলেই কি তিনি কবি?
ধরুন, কোন একটা কারণে আপনার মনটা বেশ ভারী হয়ে আছে। একটা খাতা কলম টেনে কয়েকটা লাইন লিখলেন। তারপর আপনার মনে হলও যে, “নাহ ! খারাপ হয়নি”।
খারাপ যে হয়নি সেটা তো আপনিই বুঝলেন, কিন্তু কি হয়েছে সেটা কি জানেন? আপনি কি এটাকে কবিতা বলেই ভেবে নিয়েছেন? যদি ভেবে নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার এই কবিতার পাঠক হবে তারাই যারা ঐভাবেই নিজেদের পাঠক ভাবেন।
আজকাল এই যত্রতত্র কবি গজিয়ে ওঠার দায় আর কারও নয়, কেবল ও একমাত্র পাঠকের।
কবিতা তো আসলে চাইলেই কেউ লিখে ফেলতে পারে না, সেটা একটা নিজস্ব কিছু, নিজের মধ্যে ধারণ করার মত।
সবাই প্রেম করছে – প্রেমিকা নিয়ে হাত ধরে ঘুরছে তাহলে আমারও একটা প্রেম করা দরকার; এটা ভেবে নিয়ে কাউকে ভালোবাসার কথা বললে সেটা যেমন শুধু প্রেমই হবে ভালোবাসা হবে না, তেমনি সবাই লিখেছে বলে আমিও লিখব এবং খারাপ তো লিখছি না, এটা ভেবে লিখলে আসলে সেটা সত্যিই হিজিবিজি ছাড়া আর কিছুই হবে না।
ভালো যেমন সবাই বাসতে পারে না, দুই একজন পারে। বাকীরা প্রেম করে, রিলেশনশিপ করে। তেমনি কবিতাও সবাই লিখতে পারেন না, এক আধজন পারেন বাকীরা খিস্তিখেউড় করেন।
কবিতা কেন লিখতে হয়, কিভাবে লিখতে হয়, কতটুকু লিখতে হয় এসব যেমন ভাববার কোণ বিষয় নয়, তেমনি না ভেবেও লেখা উচিত না। আপনি আপনার কবিতার আয়ু কতটা চান সেটা আপনার ফুসফুসের দমের উপরেই নির্ভর করে।
এত এত কথা কেন লিখলাম সেটা একটু বলা উচিত। আমার এই বালখিল্য-পনা তো কেউ শুনতে বা পড়তে চায় নি। অনেক গার্বেজ তো লিখে ফেলেছি। আসলে এতকিছু লিখলাম কারণ, প্রায় দুই দিন ধরে একটা কবিতা লেখার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ফলাফল লবডঙ্কা।
আপনারা যারা বই-টই বের টের করছেন, তারা একটু বলবেন, কার পয়সায়? নিজের নাকি প্রকাশকের?
আমি তেমন বিশেষ কোন উদ্দেশ্য নিয়ে কবিতা লিখি না। লেখালেখি করে দেশটাকে পালটে দেয়ার মত মহৎ কোন ইচ্ছে আমার নেই। আমি লিখি কারণ আমার লিখতে ইচ্ছে করে। মন খারাপ থাকলে লিখি, মন ভালো থাকলেও লিখি।
আপনারাও লেখেন, আপনাদের লেখাগুলো পড়ি। ভালো লাগলে জানাই। ভালো না লাগলেও মাঝেমধ্যে জানাই।
আপনারাও আমার লেখা পড়েন, ভালো লাগলে হাতে তালি দিবেন আর খারাপ লাগলে জানাবেন- সার্কাসের জোকার না হয়ে আর থাকতে পারলাম কই?
পুনশ্চঃ কবির মাহাত্ম্য দেখাতে গিয়ে এখানে সার্কাসের জোকারকে কোনভাবেই হেয় করা হয়নি। কেবল সঙ সাজা যে কবিদের সাজে না সেটাই লেখা হয়েছে। ক্লাউন নিশ্চয়ই একটি অন্য প্রাণ। জোকারের মূল্যও কোনো অংশেই কম নয় ।
————————-
কবি অথবা সার্কাসের জোকার
@জাহিদ অনিক
loading...
loading...
এখানে যা লিখেছেন আমি তার পক্ষে লিখতে পারি; বিপক্ষেও– এটা এমনি একটা বিষয়। তবে এটা স্বীকার করতেই হবে, আপনি যা লিখেছেন সবগুলি শব্দই যেন খুব দামি।
কবি/ছড়াকার মিঃ শংকর দেবনাথ আগের একটা কবিতায় লিখেছিলেন, কবিরা ঈশ্বর। আমি এটা খুব মানি। কবিরা নিজে যা তারা তাও লিখেন; নিজে যা না তাও লিখেন। কীভাবে? ওরা অন্তর্যামী। মানুষের অন্তর ভ্রমণের বোর্ডিং পাস সব সময় ওদের হাতে থাকে।
ভিন্ন একটা কথা বলি, আমি বিজ্ঞানের ছাত্র। বছরের পর পর বছর যুদ্ধ এবং মরা-খরার সাক্ষী আমি। জীবনের চরম বাস্তবতার মধ্যে থেকেও অনুভব করেছি, আবেগ বাস্তবতার অপরিহার্য অংশ। যাদের আবেগ নেই তারা জানেনা ওটা ছাড়া জীবন আসলে আধেক। কবিরা সেই আবেগে ধনী মানুষ, রঙিন মানুষ, সমৃদ্ধ মানুষ। আপনার সাথে একমত হয়ে বলি, এখানে কবি বলতে যারা কবিতা লিখেন কেবল তাদেরকে বুঝাইনি,
লিখাটা অসাধারণ লেগেছে।
loading...
এখানে যা লিখেছেন আমি তার পক্ষে লিখতে পারি; বিপক্ষেও– এটা এমনি একটা বিষয়। আপনি এই কথাটা বেশ চমতকারভাবে বলেছেন। আমার ভালো লেগেছে। আপনি চাইলেই বিরোধিতা জানাতে পারতেন। এবং আমি সেগুলো খণ্ডাতেও পারতাম না । কিন্তু আপনি বিরোধিতা জানালেন না, কারণ আপনি জানেন আমি কি বলতে চেয়েছি।
শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানবেন মিড ডে ডেজারট
loading...
অংশটিকে কোট করলাম কারণ আমিও সেই ঘরানার কিনা তাই। কথা গুলোন সত্য।
loading...
অনেক ধন্যবাদ কবি দিদিভাই।
আপনার পছন্দের অংশটুকু জানতে পেরে ভালো লেগেছে।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছান্তে
loading...
সার্কাসের জোকার দেখতেই আমি সবর্দা সার্কাস দেখতে গিয়েছি, নাকের উপরে লাল রং,মাথায় কোকড়া চুল সাজানো,বহু রং এর তালি দেয়া জামা…. আমার অসাধারন লাগে,সেই সাথে এটাও ঠিক যে চাইলেই সবাই জোকার হতে পারে না, এটা একটা বিশেষ গুন।

শুভকামনা থাকলো।

loading...
অনেক অনেক ধন্যবাদ মিঃ খেয়ালী মন
আপনি যথাযথই বলেছেন, এটাও ঠিক যে চাইলেই সবাই জোকার হতে পারে না, এটা একটা বিশেষ গুন।
একদম ঠিক।
loading...
প্রকৃত বিণ্যাস সহ চমতকার উপস্থাপন। বেশ ভাল লাগল। ধন্যবাদ।

loading...
চমৎকার মন্তব্যে ভালোলাগা রইল মিঃ মোঃ খালিদ উমর
loading...
লিখায় যথেষ্ঠ আলোচনার পর মন্তব্য করার সাহস জ্ঞান ঈশ্বর ভদ্রলোক আমায় দেননি। পড়ে আমি সহমত … ' কবিতার যে অত গভীরতা সেটা আর কে বুঝবে কবি ছাড়া।' এ্যাকজেক্টলি তাই।
loading...
লিখায় যথেষ্ঠ আলোচনার পর মন্তব্য করার সাহস জ্ঞান ঈশ্বর ভদ্রলোক আমায় দেননি। — এটা আপনার অতিশয় বিনয়।
আপনার মত মার্জিত ব্লগার ও লেখক সব সময়েই ব্লগের সম্পদ
loading...
আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ মি. জাহিদ।
loading...
loading...
আপনার লিখাটির যুক্তিযুক্ত কথা গুলোন আমার কথাই মনে হলো জাহিদ ভাই।
loading...
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সৌমিত্র চক্রবর্তী
আমি ঠিক জানি না কতটুকু সঠিক বা বেঠিক লিখেছি। আপনার ভালোলেগেছে বুঝতে পেরে ভালো লাগছে
loading...
আপনার সরল উপস্থাপনার বক্তব্য যথার্থ মনে হলো।
loading...
সহজ কথাই শুধু বলতে পারি– কঠিন কঠিন শব্দ আমার মগজে ধরে না।
ধন্যবাদ কবি শাকিলা তুবা ।
আপনার কাছে যথার্থ বলে মনে হয়েছে জেনে ভালো লাগছে।
loading...
কবির ব্যক্তিগত জীবন অচ্ছুত অস্পৃশ্য; ওটা ছোঁয়া যাবে না– তাহলে ঐ বেচারা কবিকে মরতে হবে না খেয়ে, প্রেমের কবিতা লিখতে হবে প্রেম না করেই। মৃত্যুর পরে তোমরা ব্যবচ্ছেদ করলে করবে- তোমাদের কৃপা।
* সহমত…
loading...
কোট করা অংশটুকু আপনার মতের সাথে মিলে গেছে জেনে ভালো লাগা কাজ করছে।
ধন্যবাদ প্রিয় মুহাম্মদ দিলওয়ার হুসাইন
ভালো থাকবেন
loading...
ভাল লেগেছে আপনার লেখাটি। বারবার পড়লাম।
loading...
বারবার পড়লাম। – আপনার মন্তব্যের মাধ্যমে যে কতটা অনুপ্রেরনা দিয়ে গেলেন সেকথা বলে প্রকাশ করা যাবে না।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রিয় শংকর দেবনাথ
loading...
প্রিয়ভাজন মিঃ জাহিদ অনিক ভাই, আপনার লেখাটি আমি একবারই পড়েছি তবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক মুহুর্তের জন্যও চোখ ফেরাতে পারি নি।
আমার কাছে মনে হয় প্রযুক্তির উন্নয়নে আমরা আমাদের বাবা-দাদাদের চেয়ে বেশি গল্প/কবিতা পড়ার সুযোগ পাচ্ছি। আর এ পড়ার কারনে যদি সাধারণ মানুষের মনে ইচ্ছে জাগে সেও কিছু লিখালিখি করুক, তাহলে আমি বলবো মানুষ আস্তে আস্তে জ্ঞানের বিভিন্ন স্তরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
এই যে আপনি বললেন, " কবিতা কেন লিখতে হয়, কিভাবে লিখতে হয়, কতটুকু লিখতে হয় এসব যেমন ভাববার কোণ বিষয় নয়, তেমনি না ভেবেও লেখা উচিত না।"
এই কথাগুলো আজ আপনি অতি সহজেই বলতে পারছেন প্রযুক্তির কল্যানে। আপনার বা আমার দাদার আমলে উনারা এগুলো এতো সহজে বলতে পারেন নি।
আমি এ টুকু বলতে পারি, একজন চোরকে যদি বলা হয়, তুমি চুরি করে যা পাও, চুরি বন্ধ করে আজ থেকে কবিতা লিখতে শুরু করলে আমি তোমাকে দ্বিগুণ দেবো, তাহলে আপনি শিওর থাকতে পারেন উক্ত চোরের ভালো মানুষ হতে বেশি সময় লাগবে না। যিনি কবিতা/গল্প লিখেন তিনি আর যাই হোক কখনও ফ্রড হতে পারেন না। হয়তো তার লেখা কবিতা হয়ে ওঠে না বা আপনার ভাষায় সেটা খিস্তিখেউড় হতে পারে তবে লিখতে লিখতে পড়তে পড়তে তার জ্ঞান বাড়বে ছাড়া কমবে না। হয়তো সে রবীন্দ্রনাথ বা সেক্সপিয়র হতে পারবে না কিন্তু সে তার বিবেক কে জাগ্রত করতে পারবে।
আপনার লেখাটি ভালো লেগেছে বলেই এতো বড় মন্তব্য করলাম। এ ধরণের লেখা পেলে আমি সারা রাত মন্তব্য লেখার শক্তি পাই।
আপনার এই ধরণের আরও লিখার প্রত্যশায় রইলাম।
নিরন্তর শুভ কামনা আপনার জন্য!!!!
loading...
আমি এ টুকু বলতে পারি, একজন চোরকে যদি বলা হয়, তুমি চুরি করে যা পাও, চুরি বন্ধ করে আজ থেকে কবিতা লিখতে শুরু করলে আমি তোমাকে দ্বিগুণ দেবো, তাহলে আপনি শিওর থাকতে পারেন উক্ত চোরের ভালো মানুষ হতে বেশি সময় লাগবে না। — হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন বাল্মীকি ডাকাত থেকে ঋষি হয়ে গেল !
এটা খুব ভালো বলেছেন, যিনি কবিতা/গল্প লিখেন তিনি আর যাই হোক কখনও ফ্রড হতে পারেন না। তবে কেউ কেউ আছেন যারা লেখালেখিটাকে ভণ্ডামীর কাজে ব্যবহার করেন। অর্থাৎ এই প্লাটফর্মটাকে তারা অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেন। তাদের থেকে সাবধান থাকা কর্তব্য।
আমার এখন পর্যন্ত এইটা ভালো লেগেছে যে, ব্লগে কেউ আমাকে বিন্দুমাত্র কটুভাবে বলেননি যে, তুই ব্যাটা দুইটা কবিতা লিখে এত বড় বড় বাতেলা কেন দিচ্ছিস !
আপনার মন্তব্য পেয়ে নিঃসন্দেহে ভালো লাগলো।
ভালো থাকুন প্রিয় ভাই ইলহাম
loading...
কবিতা না পড়া, না বুঝার দলে আমিও একজন।
loading...
মরুভূমিতে জল খুঁজে সেখানে দস্যিপনা করছেন আর কবিতা বুঝেন না তাই কি হয় !
loading...