গরমের চলতি ফ্যাশনে তরুণদের পছন্দের পোশাক এখন পোলো শার্ট। পোলো শার্টের চাহিদা এখন সার্বজনীন। সব বয়সী মানুষ পরতে পারে। শুধু ব্যক্তিত্ব আর রুচি অনুযায়ী নির্দিষ্ট পোলো শার্ট বাছাই করে নিলেই হলো। এখন একরঙা পোলো শার্ট যেমন চলছে, তেমনি স্ট্রাইপ পোলো শার্টও অনেকে পছন্দ করছেন।
ব্র্যান্ড ভেদে পোলো শার্টের কাপড় ও বোতামের ডিজাইনে রয়েছে ভিন্নতা। ডিজাইনে স্ট্রাইপ ও এক কালার যেমন রয়েছে, তেমনি কোনো কোনো পোলো শার্টে তিন থেকে চারটি বোতামও দেখা যায়। আবার কোনোটিতে দুই বা তিনটি বোতাম। বোতামবিহীন পোলো শার্টের কদরও এখন বেশ। ফ্যাশনের জন্য অল্প বোতামের পোলোর চাহিদাই বেশি বাজারে। এই বোতামের ডিজাইনেও আছে বৈচিত্র্য। মেটালের তৈরি বোতাম পোলো শার্টে নিয়ে এসেছে ভিন্নমাত্রা। এক রঙের পোলো শার্টের পাশাপাশি চলছে স্ট্রাইপ পোলো শার্ট। হালকা গড়নের হাতে রাবার ছাড়া কাফ পোলো বেশি মানানসই। যে গড়নের শরীর হোক না কেন, ঢিলেঢালা শার্ট না পরে বেছে নিন ফিট কিংবা সেমি ফিট পোলো শার্ট।
কান্ট্রিবয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ফ্যাশন ডিজাইনার রিয়াজুল ইসলাম বিটু বলেন, ‘পোলো শার্টের রঙে ও নকশায় এসেছে বৈচিত্র্য। পছন্দের যে কোনো রঙেরই পোলো শার্ট মিলছে আমাদের এখানে। তবে হালকা রঙের পোলো শার্টের কাটতিই বেশি। যে কোনো জায়গায় স্বাচ্ছন্দ্যে পরা যায়, তাই পোলো পরাতেই বেশি পছন্দ করেন সবাই। এবারের ঈদ হবে গরমের মধ্যে। তাই পোলো নিয়ে আমরা এবার বেশি কাজ করছি। গুরুত্ব দিয়েছি পোলোর ওপর নানা হালকা ডিজাইনকে।’
কাপড়ের রং ঠিক রাখতে পোলো শার্ট হালকা ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করুন। দড়িতে শুকাতে না দিয়ে সমতল কোনো জায়গায় বিছিয়ে রাখুন। পানিতে ভেজা পোলো শার্টটি দড়িতে ঝুলিয়ে দিলে, দৈর্ঘ্যরে তারতম্য দেখা দিতে পারে। এছাড়া কড়া রোদে শুকাতে দিলে রং জ্বলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই শার্টটি উল্টো করে ভিতরের পাশটা বাইরে রেখে হালকা রোদে কিংবা ছায়ায় শুকিয়ে নিন।
পোলো টি শার্টে এক ধরনের স্মার্ট লুক ও আভিজাত্যের ছোঁয়া পাওয়া যায়। রং বেরঙের টি শার্টগুলো বেশ ফ্যাশনেবল। পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী আপনি আপনার পছন্দমতো পোলো টি শার্ট পরতে পারেন। যেমন অফিসের কোনো ড্রেস কোড না থাকলে আপনি অনায়াসেই পোলো টি শার্ট পরতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি হালকা রঙের টি শার্ট বেছে নিতে পারেন, যেমন- সাদা, হালকা আসমানি, কচুপাতা সবুজ ইত্যাদি। অফিস ছাড়া যে কোনো ধরনের পার্টি বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়ার ক্ষেত্রে তারুণ্যের রংগুলো বেছে নিতে পারেন, যেমন- হলুদ, কমলা, লাল ও কালো। আর যদি আপনি ছাত্র হয়ে থাকেন, তাহলে তো কোনো কথাই নেই- সুন্দর ডিজাইন ও রং দেখে নিজের সঙ্গে মানানসই একটি গেঞ্জি গায়ে জড়িয়ে, কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়েই চলে যেতে পারেন ক্লাসে।
এ ছাড়া পরিবেশের ওপরও নির্ভর করে টি-শার্ট পরতে হয়। খুব গরমে হালকা রঙের পোলো শার্ট পরা উচিত। কারণ হালকা রং কম তাপ শোষণ করে। তাই অতিরিক্ত গরমে কালো, লাল এসব রঙের পোলো শার্ট ব্যবহার না করাই ভালো। আর হালকা গরম বা মেঘলা দিনে যে কোনো রঙের পোলো শার্ট চাইলেই পরতে পারেন।
পোলো টি-শার্ট এখন আর এক রঙের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। চেক ও প্রিন্টেরও পোলো টি-শার্ট কিনতে পাওয়া যায়। যেগুলো পরলে আপনি আপনার মনের মতো লুক পাবেন। গোল গলা সাধারণ টি-শার্টের সঙ্গে পোলো টি-শার্টের মূল পার্থক্য কলারে হওয়ার কারণে যে সুবিধাটি হয় সেটি হলো, একটু ফরমাল ভাব থাকে পোলো টি-শার্টে। যাদের স্বাস্থ্য ভালো তাদের পোলো টি-শার্টেই ভালো মানায়। আবার যারা বেশি পাতলা বা বেশি লম্বা, তাদেরও পোলো টি-শার্টে ভালো মানায়। তাই সব দিক থেকেই পোলো টি-শার্টের চাহিদা বেশি। আর সাধ্যের মধ্যে কিনতেও পারবেন পোলো টি-শার্ট। সর্ব নিম্ন ৪০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন ভালো পোলো টি-শার্ট। সঙ্গে মনমতো জিন্স আর জুতসই জুতা আপনাকে এনে দেবে স্মার্ট, ফ্যাশনেবল ও ফ্রেশ লুক। আজকাল অনেকে গ্যাবার্ডিন প্যান্ট ও ট্রাউজারের সঙ্গেও পোলো টি-শার্ট পরে থাকেন।
আন্তর্জাতিক ফ্যাশনাঙ্গন বরাবরের মতোই প্রাধান্য পায় বিশ্বের প্রায় সব দেশের ফ্যাশনে। ছেলেদের সামার ক্যাজুয়াল কালেকশনে দেখা যায় ঢোলা, পাতলা, নরম কাপড়ের মধ্যে। তবে প্যাটার্নে থাকে নতুনত্ব। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের কিছু ক্ল্যাসিক ফ্যাশন আমাদের দেশের ক্যাজুয়ালে প্রবেশ করেছে নতুনভাবে। সাধারণত ভার্সিটি, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ফ্যাশন সচেতনদের কথা মাথায় রেখেই করা হয় এমন সব ডিজাইন। ট্রেন্ডি এই ড্রেসআপেই হচ্ছে ভার্সিটির ক্লাস, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, ঘোরাঘুরি। ছেলেদের জন্য পোলো শার্ট গরমের জুতসই জামা। তবে অবশ্যই তা ফুলহাতা নয়। পোলো শার্টের কাপড় হোক খুবই মসৃণ এবং পাতলা।
আমাদের দেশে সুতি কাপড়ের চল সবচেয়ে বেশি। তাই পাতলা সুতির পোলো বেছে নিতে হবে। কিন্তু হওয়া চাই তা স্টাইলিশ এবং ট্রেন্ডি। পোলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একরঙা মানানসই। তবে স্টাইপেরও ফ্যাশন উপযোগী। এই পোশাকের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখা জরুরি এর কলারের রিব ফেব্রিক যেন ভালো মানের হয়।
পোলোর বাটন ডিজাইনে বড় ভূমিকা রাখে। বাটনগুলো একটু মোটা এবং কাপড়ের বিপরীত কোন রঙের হলে তা হাল ফ্যাশনে বেশি মানাবে। রঙের ক্ষেত্রে হালকা রং প্রাধান্য পেতে পারে এই গরমে। তবে এখন রঙিন পোলোও বেশ প্রচলিত। পোলো হতে পারে ভিনটেজ লুকের। তবে পোলো শার্টেই দেখা যায় ভিনটেজ লুকের অনেক রকম ও ধরন। সেটা আসতে পারে একটু পুরনো হয়ে যাওয়া কোনো জনপ্রিয় সিনেমা বা জনপ্রিয় কোনো সিরিজ থেকেও। মোট কথা এই লুকে গল্প রচনা হয় পুরনোকে নতুন চোখে দেখার। ফিরে আসে ভিনটেজ লুকে।
loading...
loading...
হাল ফ্যাশনের তথ্য নিয়ে দৃকপাত দারুণ হয়েছে দিদি ভাই।
loading...
সত্য বলেছেন সুরাইয়া নাজনীন। গরমে কমফোর্টটাই আসল। আমি ফলো করি।
loading...
* প্রয়োজনীয় পোস্ট…


loading...