– মা, আমরা এখানে- মা —
ঝোঁপের আড়াল থেকে ফিসফিস শব্দে ডাক শুনতে পেয়ে মা এগিয়ে গেল। এতক্ষণে যেন তার প্রাণে জল এল। সেই কখন থেকে বিড়ালটা ছানাদের খুঁজে বেড়াচ্ছে। কাছে গিয়েই ছানাদের সারা শরীর চেটেচেটে আদরে ভরিয়ে দিল মা।
-বাছারা আমার – তোরা এখানে কেন?
– ওই বাড়ির বউটা লাঠি নিয়ে তাড়া করেছিলে যে- তাই আমরা ভয়ে ঘর ছেড়ে এখানে এসে লুকিয়ে রয়েছি মা।
মা বিড়াল বলল- ভয় পেয়ো না বাছারা, আমি তো এসে গেছি।
বিড়াল মা মাসখানেক হল দুটি বাচ্চা প্রসব করেছিল একটি বাড়ির গোয়ালঘরের এককোণে রাখা বিচালির মধ্যে। বাড়ির গিন্নি ব্যাপার জানতে পেরেই দুরদুর করে বের করে দেয় সেখান থেকে। তারপর একেএকে তিনচারটি আস্তানা ছাড়তে হয়েছে মালিকের তাড়া খেয়ে।
অবশেষে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পেয়েছিল এই রান্নার কাঠ রাখার ঘরটি। বাচ্চা দু’টোকে মুখে করে এনে মা নিশ্চিন্ত হয়েছিল। ভেবেছিল – আর তাড়া খেতে হবে না। মালিকের থাকা-খাওয়ার ঘর থেকে অনেকটা দুরে নির্বিঘ্নে তার বাচ্চাদের বড় করে তুলতে পারবে।
কিন্তু না, আবারও তাদের আশ্রয় হারিয়ে উদ্বাস্তু হতে হলো।
-মা, এভাবে আর কত ঘর পাল্টাতে হবে আমাদের? বিড়াল ছানাদের মুখে হতাশার সুর। -আমাদের কি কোনোদিন একটা নিজেদের বাড়ি হবে না? যেখানে আমাদের ভয়ে ভয়ে লুকিয়ে থাকতে হবে না! হাসিখুশি মনে প্রকাশ্যে খেলা করে বেড়াতে পাবরো মা?
-দুঃখ কোরো না বাছারা, এটাই তো আমাদের বিড়াল-জীবন। এভাবেই লাথি-ঝাঁটা খেতে খেতে একদিন ঠিক তোমরা বড় হয়ে যাবে।
– কিন্তু মা এখন আমরা কোথায় যাব? সন্ধে তো হয়ে এল।
– তোমরা আপাতত কিছুক্ষণ এখানেই লুকিয়ে থাকতে লাগো। আমি নতুন আস্তানার খোঁজে বেরোই।
– আচ্ছা মা।
মা-বিড়াল বাচ্চাদের চেটেচুটে আদর করে বেরিয়ে পড়ল নিরাপদ বাসার সন্ধানে।
বিড়াল ছানারা মায়ের চলে যাওয়া পথের দিকে তাকিয়ে বসে রইল।
loading...
loading...
-দুঃখ কোরো না বাছারা, এটাই তো আমাদের বিড়াল-জীবন। এভাবেই লাথি-ঝাঁটা খেতে খেতে একদিন ঠিক তোমরা বড় হয়ে যাবে।
বিড়াল জীবন ভীষণ উপলব্ধি করলাম দাদা।
loading...
ধন্যবাদ দিদিভাই। শুভেচ্ছা অহর্নিশ।
loading...
দারুণ।
loading...
ধন্যবাদ দাদা
loading...
ভালো লাগলো লেখাটি।
loading...
ধন্যবাদ আপামনি
loading...
অসাধারণ অণুগল্প প্রিয় কবি।
loading...
ধন্যবাদ বড়দা
loading...
শুভসকাল
loading...
স্মৃতির দুয়ারে হারিয়ে গেলাম….
loading...
ধন্যবাদ দাদা, শুভকামনা সতত।








loading...