৭৮তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা ... শুভ জন্মদিন স্যার আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, সুবক্তাসহ বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এক গুণীজন। বাংলাদেশের বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন সমাজসংস্কারক। শিক্ষক হিসেবে তার খ্যাতি কিংবদন্তিতুল্য। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র তার জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি যার মাধ্যমে গত চার দশক ধরে ‘আলোকিত মানুষ চাই’ আন্দোলনের পুরোধা-র ভূমিকা তিনি পালন করছেন। তিনি ষাট দশকের একজন প্রতিশ্রুতিময় কবি হিসেবে পরিচিত। সে সময় সমালোচক এবং সাহিত্য সম্পাদক হিসাবেও তিনি অনবদ্য অবদান রেখেছিলেন। সাহিত্যে অবদানের জন্যে লাভ করেছেন র‍্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার, একুশে পদক ও বাংলা একাডেমী পুরস্কার। আজ স্যারের ৭৮তম জন্ম দিন।

১৯৩৯ সালে কলকাতার পার্ক সার্কাসে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার অন্তর্গত কামারগাতি গ্রামে। তাঁর পিতা আযীমউদ্দিন আহমদ ছিলেন একজন স্বনামধন্য শিক্ষক। পিতার শিক্ষক হিসেবে অসামান্য সাফল্য ও জনপ্রিয়তা শৈশবেই তাকে শিক্ষকতা পেশার প্রতি আকৃষ্ট করে।

স্যার আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ শিক্ষক হিসেবে জনপ্রিয়তার সর্বোচ্চ শিখর স্পর্শ করেছেন। অধ্যাপক হিসেবে তাঁর খ্যাতি কিংবদন্তিতুল্য। তিনি শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন ১৯৬১ সালে, মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে। পরবর্তীতে তিনি কিছুকাল সিলেট মহিলা কলেজে শিক্ষকতা করেন। ১৯৬২ সালের পহেলা এপ্রিল তিনি রাজশাহী কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে সরকারি চাকুরি জীবন শুরু করেন। সেখানে পাঁচ মাস শিক্ষকতা করার পর তিনি ঢাকায় ইন্টারমিডিয়েট টেকনিক্যাল কলেজে যোগ দেন (বর্তমানে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ)। এই কলেজে তিনি দু’ বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র তেইশ। এরপর তিনি বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কলেজ ঢাকা কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ জালালউদ্দিন আহমেদের আমন্ত্রণে সেখানে যোগদান করেন। ঢাকা কলেজেই তিনি তাঁর শিক্ষকতা জীবনের স্বর্ণযুগ অতিবাহিত করেন। সে সময় ঢাকা কলেজ ছিল দেশসেরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মিলনস্থল। অধ্যাপক আবু সায়ীদ যখন ঢাকা কলেজে যোগ দেন তখন কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান ছিলেন বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান কথাসাহিত্যিক ও গদ্য লেখক শওকত ওসমান৷ ঢাকা কলেজের শিক্ষকতা জীবন তিনি অত্যন্ত উপভোগ করতেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন-

ছেলেবেলায়, স্কুল থেকে কলেজে উঠে, অর্থনীতির বইয়ে পড়েছিলাম কেন একজন শিল্পপতি, কন্ট্রাক্টর বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীর চেয়ে একজন শিক্ষকের বেতন কম৷ যুক্তি হিসেবে সেখানে বলা ছিল একজন শিক্ষকের জীবন কাটে মার্জিত, পরিশীলিত পরিবেশে, বৈদগ্ধময় ব্যক্তিদের সাহচর্যে, উচ্চতর জীবনচর্চার অবকাশময় আনন্দে৷ জীবনের সেই মর্যাদা, তৃপ্তি বা শান্তি ঐ ব্যবসায়ী বা নির্বাহীর জীবনে নেই৷ এই বাড়তি প্রাপ্তির মূল্য দিতে শিক্ষকের আয় তাদের তুলনায় হয় কম৷ ঢাকা কলেজের শিক্ষকতায় ঐ তৃপ্তি আমার এত অপরিমেয় হয়েছিল যে কেবল বেতন কম হওয়া নয়, আমার জন্য হয়ত বেতন না-থাকাই উচিত হত৷ এই পাওয়া যে কতটা তা বুঝেছিলাম কিছুদিনের জন্য অন্য কলেজে গিয়ে৷

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করবার সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু ঢাকা কলেজে প্রাণবন্ত, সপ্রতিভ, উজ্জ্বল ছাত্রদের পড়ানোর তৃপ্তি, শিক্ষক-জীবনের অনির্বচনীয়তম আস্বাদ ছেড়ে তিনি যেতে চাননি ৷তাঁর মতে, বাংলা বিভাগে যোগদান করাটা আমার কাছে সবচেয়ে ভালো ছাত্রদের ছেড়ে সবচেয়ে খারাপ ছাত্রদের পড়াতে যাওয়ার মত মনে হয়েছে।

অধ্যাপক আবু সায়ীদ কখনোই ক্লাসে রোলকল করতেন না। রোলকলকে তার কাছে মনে হতো সময়ের অপব্যয়। তাই বছরের পয়লা ক্লাসেই ঘোষণা করে দিতেন রোলকল না করার ৷ তিনি বলেন, অনিচ্ছুক হৃদয়কে ক্লাশে জোর করে বসিয়ে রেখে কী করব? আমার চ্যালেঞ্জ ছিল এক ধাপ বেশি: কেবল শিক্ষক হওয়া নয়, সব ছাত্রের হৃদয়ের কাছে পৌঁছানো, সব ছাত্রের হৃদয়কে আপ্লুত করা।

ক্লাশের সেরা ছাত্রটাকে পড়ানোর চেষ্টা করার চেয়ে তিনি পড়াতে চেষ্টা করতেন ক্লাশের সবচেয়ে বোকা ছাত্রটাকে। সারাক্ষণ তাকেই বোঝাবার চেষ্টা করতেন, কেননা তার বোঝা মানে ক্লাসের বাকি সবার বোঝা।

স্যারের এরকম আরো অনেক মন্তব্য ও উক্তি রয়েছে যা আসলে একজন মানুষ কে অনায়েষে নাড়িয়ে দিতে পারে, যেমন – “আমি যদি উন্নত জাতের হাস মুরগী পালন, গোখামার তৈরি, এ ধরণের কাজগুলো করতাম তাহলে এতদিনে কত টাকা যে কামিয়ে ফেলতাম। কিন্তু পড়লাম মানুষের উন্নতি নিয়ে- আলোকিত মানুষ। (হেসে) না বুঝি নিজে না পারি অন্যকে বোঝাতে।”
“বুদ্ধিজীবীরা আবার আমাকে বুদ্ধিজীবী মনে করেনা, কারণ আমি হাসি। বিদ্যাবুদ্ধি তো আর কারো চেয়ে কম ছিলনা, শুধু ওই একটা জায়গাতে মার খেয়ে গেলাম, আমার হাসি। হাসলে পরে তুমি আর বুদ্ধিজীবী থাকতে পারবেনা। আপনি হাসেন? তারমানে তো আপনি লাইট!”
“কিন্তু সুন্দর মুহূর্তগুলো আমরা মনে রাখিনা, ভুলে যাই। কে ১০০ দিন রসগোল্লা খাইয়েছিল সেটা আমরা মনে রাখিনা, কিন্তু কে একদিন কান মুচড়ে দিয়েছিল তা মনে রেখে দিয়েছি।”
“আসলে জীবন ছোট নয়, আমাদের সুখের মুহূর্তগুলো ছোট। তাছাড়া জীবন ছোট মনে হওয়ার কারণ হচ্ছে স্মৃতির অভাব। আমরা কখনো বর্তমানে থাকিনা, হয় থাকি ভবিষ্যতে, নাহয় অতীতে। আমরা পাওয়াকে ভুলে যাই বলেই মনে হয় কিছুই পাই নাই। ইত্যাদি…

স্যারের একটি বইএর প্রকাশনা অনুষ্ঠানের কথা মনে পড়ছে। “ভাঙো দুর্দশার চক্র” গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে স্যারের দে বক্তব্য টি কোয়ান্টাম মেথড ওয়েব সাইড থেকে কপি কর দে হয়েছে-
প্রতিদিনই বহু মানুষ আমাদের দেশ থেকে স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে অন্যান্য দেশে স্থানান্তরিত হচ্ছেন। কিন্তু আমার ধারণা, কোনো মানুষের মধ্যে যদি আলো, শক্তি, প্রতিভা থাকে; তিনি কখনই দেশত্যাগ করেন না। আর করলেও ফিরে আসেন। ফজলে হাসান আবেদ, হুমায়ূন আহমেদ, জাফর ইকবাল; ওনারাও দেশ ছেড়েছিলেন। কিন্তু আবার ফিরেও এসেছেন। তারা অনুভব করতে পেরেছিলেন; তাদের আত্মার যে-আনন্দ, জীবনের যে-পরিচয়; সেটা তাদের মাতৃভূমি।
বিদেশে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়ে কোনো বড় কাজ করা খুবই কঠিন। আমাদের অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, আজকের অনুষ্ঠানের যিনি প্রধান অতিথি বিদেশে অনেক সুযোগ পেয়েছিলেন। ইচ্ছে করলেই তিনি সাফল্য অর্জন করতে পারতেন। কিন্তু সেটাকে প্রত্যাখ্যান করে এই গরীব দেশটাকে ভালবেসেছেন। এই দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণের চেষ্টায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। তিনি খুবই অসাধারণ একজন মানুষ। আরো আগেই তাকে আমার বই উৎসর্গ করা উচিৎ ছিল। আমি তাকে কোনো একটি বই উৎসর্গ করতে এত দেরি করায় লজ্জিত ও সংকুচিত বোধ করছি।

একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে আমাদের দেশে যে, নেই দেশে ভ্যারেন্ডা বৃক্ষ। একটি গাছ যতটা বিস্বাদ হওয়া সম্ভব, ঠিক ততটাই বিস্বাদ; এই ভ্যারেন্ডা গাছ। সেজন্যেই অবণীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন; ভ্যারেন্ডা গাছ কি কেউ খায়? খায় না। কিন্তু আখ গাছ খায় কেন? কারণ, ভ্যারেন্ডা গাছের মধ্যে স্বাদ নেই কিন্তু আখ গাছের মধ্যে মাধুর্য আছে। মানুষ সেখানেই যাবে, যেখানে সে মাধুর্য পাবে। যে-দেশে কিছুই নেই, সে-দেশে এতটুকু একটি গাছও বৃক্ষ। আমরা হচ্ছি সেই ধরনের ভ্যারেন্ডা।

আমাদের জাতির মধ্যে অসম্ভব মেধা ও কর্মোদ্দম আছে। তারা এই দেশকে অনেক উপরে নিয়ে যাবে। আরো অনেক বড় বড় মানুষেরা আসবেন। এ দেশ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশে পরিণত হবে। এটা আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি।

গ্রামের দিকে একটা কথা আছে যে, ভিক্ষুকের পায়ে লক্ষ্মী। ভিক্ষা পেতে হলে, হাঁটতে হবে। যে-যত হাঁটবে, তার ভিক্ষা তত বেশি। এটা সাধারণ হিসাব। আমাদের করণীয় একটাই। সেটা হলো জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত কাজ করে যেতে হবে। আমরা কেউই চিরদিন বাঁচব না। কিন্তু যতদিন বাঁচব, আমার একটাই কাজ; আমার এই জীবনকে তার সর্বোচ্চ মহিমা দান করা। সেটা আমাদের সবাইকে করতে হবে। তাহলেই আমরা অশান্তি, দুঃখ, হতাশা ও নৈরাশ্যের হাত থেকে বাঁচতে পারব। একটি আনন্দময় জীবন শেষ করে এই পৃথিবী থেকে চলে যাব।

একটা গাড়ি পাহাড় বেয়ে উপরে উঠার সময় আপনি বলবেন, গাড়িটি উঠছে বা উপরে যাচ্ছে অর্থাৎ উত্থান হচ্ছে। কিন্তু গাড়িটি পাহাড় থেকে নিচে নামার সময় বলতে পারবেন না যে, পতন হচ্ছে। গাড়িটি নিচের দিকে নামলেও তার চাকাটা সামনের দিকে যাচ্ছে। তাহলে তো সে সামনের দিকে এগোচ্ছে। আপাত দৃষ্টিতে যাকে আমরা নৈরাশ্য বা পতন মনে করছি, সেটা আসলে উত্থান। সুতরাং আমরা চিরদিনই উত্থানের মধ্যে আছি। পতন, হতাশা বা নৈরাশ্য বলে কিছু নেই। এগুলো আমাদের মাথার অলীক কল্পনা দিয়ে তৈরি করা বিভ্রম।

দুঃখ-কষ্ট, মৃত্যু আছে কিন্তু কোনোটিই স্থায়ী নয়; সাময়িক। এগুলোকে অতিক্রম করতে হবে। আমি যতবড় আশাবাদীই হই। কেউ ভীষণভাবে আঘাত করলে, আমার অজান্তেই আমার ভেতর থেকে একটা আর্তনাদ শোনা যাবে। কিন্তু সে আর্তনাদই শেষ কথা নয়। কাজ, সংগ্রাম, শ্রম আর আক্রমণের মধ্যেই আমাদের জীবন। আমাদের অনেক দুঃখের কারণ হচ্ছে আশাহীনতা। বাইবেলে একটা কথা আছে, “And whosoever liveth and believeth in me shall never die” যে বিশ্বাস করবে সে বেঁচে থাকবে; সে মরবেনা। বিশ্বাস আর আশাটা যেন সবার মধ্যে থাকে। নৈরাশ্য বলতে কিছু নেই। আমি এই কথাটাই সবাইকে বলব যে, নৈরাশ্যের মত অনস্তিত্বশীল বিভ্রমে বিশ্বাসী হবেন না। এটা আশারই অন্যরূপ মাত্র।

আসলে স্যার কখনোই বন্দিত্ব সহ্য করেন নি। তিনি যেমন উদার তেমনিই মুক্ত, স্বাধীন চেতনার মানুষ। “ভাঙো দুর্দশার চক্র” গ্রন্থের পরতে পরতে সেই বক্তব্যই স্পষ্ট করা হয়েছে।

স্যার সব সময় আত্মমর্যাদা , আত্মসম্মান কে প্রাধান্য দিয়েছেন নিচের উক্তি থেকেই তা অনুভব করা যায়, যেমন- “আমাদের দেশে সবাই একটা ‘পা’ চায়, পায়ের নিচে পড়ে থাকতে চায়।”
“আমি বলি, সম্মান করতে হলে মাথা উঁচু করে কর। তুমি তো নিজেকে ধ্বংস করে ফেলছ। আর যে নিজেকে ধ্বংস করে দিচ্ছে তাকে দোয়া করেই কি লাভ, দয়া করেই কি লাভ।”
“শক্তিমান মানুষের পরিচয় হচ্ছে বাড়াবাড়িতে। এই যে তোমার আশেপাশে এত সমস্যা, এত কিছু হচ্ছে। কই তোমার তো কোন বাড়াবাড়ি দেখিনা।”

আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদের জন্মই হয়েছে জাতিকে বাড়িয়ে নেয়ার এগয়ে নেয়ার জন্য, দুর্দশার বৃত্ত ভাঙ্গার জন্য ! এইযে আলকিত মানুষ চাই আন্দোলন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মাধ্যমে ১৯৭৮ সালে যার জন্ম। স্যার আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সবার আগে অনুভব করেছেন যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের প্রয়োজন অসংখ্য উচ্চায়ত মানুষ। আলোকিত মানুষ চাই- সারা দেশে এই আন্দোলনের অগ্রযাত্রী হিসেবে প্রায় তিন দশক ধরে তিনি রয়েছেন সংগ্রামশীল। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র গড়ে উঠেছে একটু একটু করে, অনেক দিনে। এই দীর্ঘ সময়ে বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের মুখে নানা উথথান পতনের মধ্য দিয়ে তাঁকে এগোতে হয়েছে। মূলতঃ দেশের আদর্শগত অবক্ষয় দেখে তা থেকে উত্তরণের জন্যে অধ্যাপক সায়ীদ এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এ প্রসঙ্গে স্যার বলেন:

দেশের এই সার্বিক অবক্ষয় এবং সম্ভাবনাহীনতার ভেতর সীমিত সংখ্যায় হলেও যাতে শিক্ষিত ও উচ্চমূল্যবোধসম্পন্ন আত্মোৎসর্গিত এবং পরিপূর্ণ মানুষ বিকশিত হওয়ার পরিবেশ উপহার দেয়া যায়, সেই উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র গড়ে তুলতে চেষ্টা করছি। তিনি অনুভব করতেন- একজন মানুষ যাতে জ্ঞানের বিভিন্ন শাখার অধ্যয়ন, মূল্যবোধের চর্চা এবং মানবসভ্যতার যা-কিছু শ্রেয় ও মহান তার ভেতর দিয়ে পরিপূর্ণ মনুষ্যত্বসম্পন্ন হয়ে বেড়ে উঠতে পারে- আমরা এখানে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। কাজেই আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি একটি প্রাণহীন, কৃত্রিম, গতানুগতিক প্রতিষ্ঠান নয়; এটি একটি সর্বাঙ্গীণ জীবন-পরিবেশ।

এই মহা মনিষীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। ধন্য বোধ করছি। পরিশেষে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ স্যারের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

______________________________
লেখকঃ দাউদুল ইসলাম। কবি ও প্রাবন্ধিক।
লেখার সূত্র জোগাড়ঃ কোয়ান্টাম, মুক্ত বিশ্বকোষ,
ভাঙ্গো দুর্দশার বৃত্ত গ্রন্থ, ও স্যারের বিভিন্ন বক্তব্য।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

৪ টি মন্তব্য (লেখকের ০টি) | ৪ জন মন্তব্যকারী

  1. মুহাম্মদ দিলওয়ার হুসাইন : ২৫-০৭-২০১৮ | ১:৪৭ |

    * স্যারের জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা…

    GD Star Rating
    loading...
  2. মুরুব্বী : ২৫-০৭-২০১৮ | ১৭:৩৬ |

    স্যার আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এর জন্মদিনের আপনার মাধ্যমে শব্দনীড় এর শুভেচ্ছা রইলো। অনেক তথ্য উঠে এসেছে যা আগে জানা ছিলো না। ধন্যবাদ স্যার। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

    GD Star Rating
    loading...
  3. ইলহাম : ২৫-০৭-২০১৮ | ১৮:৩৫ |

    স্যারের জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলিhttps://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gifhttps://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

    GD Star Rating
    loading...
  4. রিয়া রিয়া : ২৫-০৭-২০১৮ | ২১:৪০ |

    শুভ জন্মদিন স্যার আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

    GD Star Rating
    loading...