ছায়া ২
আর আজকেই যত বাঁধা পরপর আসছে। ফ্যাক্টরী থেকে বেরোনোর সময়ে ঝামেলা। সেকশন ইনচার্জ দেখতে পেয়ে পাক্কা পনের মিনিট পরের দিনের কাজ বোঝালেন। বেরিয়ে রিটায়ার্ড বোসবাবুর সঙ্গে দেখা। কারো কথাই না শুনে নিজেই বকে যান। কোনোক্রমে পাশ কাটিয়ে স্টপেজে এসে বাস নেই। বেশ কিছুক্ষণ পরে যেটা এল সেটাতে ঠাসা ভীড়। অন্যদিন হলে এটা ছেড়ে দিত সুজন। কিন্তু আজ উপায় নেই। এমনিতেই প্রায় ছ’টা বেজে গেছে, আটটার মধ্যে রিপেমেন্ট না করতে পারলে প্রচুর পেনাল্টি লেগে যাবে। ঠাসা ভীড়েই উঠে পড়েছিল।
বাস থামার আগেই নেমে দৌড়। পেছনে একটা হৈ হৈ আওয়াজ শুনে একবার তাকিয়ে দেখেছিল কিছু লোক দৌড়ে যাচ্ছে বাসের দিকে। হয়তো পকেটমার ধরা পড়েছে। ও নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় ছিল না। ঘড়ির দিকে তাকালো সে। প্রায় সাড়ে সাতটা বাজে। অবশ্য বাড়ী পৌঁছেও গেছে সে।
বাইরের দরজা হাট করে খোলা। খুব বিরক্ত হলো সে। কতবার বলেছে সবাইকে এই সন্ধ্যেবেলায় দরজা খোলা না রাখতে। শুনলে তো! যেদিন সব সাফ করে বেরিয়ে যাবে কেউ, সেদিন বুঝবে। ঢুকেও কাউকে দেখতে পেলো না সে। মায়ের ঘরে উঁকি দিয়ে মাকেও দেখতে পেল না। এখন ওসব ভাবার সময়ও নেই। নিজের ঘরে ঢুকে ল্যাপটপটা ঝটপট অন করে বসলো সুজন।
টাকাটা পাঠিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত। ভাবনার জ্বর ছেড়ে যাবার পরে এখন চা তেষ্টা পেল ওর। অথচ এতক্ষণ বাড়ী ফিরেছে কেউ একবার সেটা দেখার কথা ভাবলোই না। বাড়ীটা খুব উশৃঙ্খল হয়ে গেছে। এভাবে তো বাড়ীতে ডাকাতি হয়ে গেলেও কেউ টের পাবে না। ভাবতে ভাবতে আর রাগতে রাগতে ঘর থেকে বেরোলো সে।
(চলবে)
loading...
loading...
ছায়া'য় সুজন পর্বের দ্বিতীয় খণ্ড পড়লাম। বলা যায় এগুচ্ছি সুজনের ছায়া হয়ে। চলুক।
loading...
প্রিয় লেখক সৌমিত্র চক্রবর্তী, আপনার ছায়া সিরিজ কিন্তু আমি বাদ দিচ্ছি না!
১ম পর্বে ছায়াটির দেখা পেয়েছিলাম, ২য় পর্বে পেলাম না, দেখা যাক শেষ অবধি এটা কিসের ছায়া!
চলুক……… শুভকামনা রইলো

loading...