ডিপ্রেশন থেকে আত্মহত্যা
Inside, everyone is surviving battles we don’t know about.”
আমাদের চারপাশে এতো মানুষ অথচ এখানে সবাই যুদ্ধ করছে। মুখে হাসি নিয়ে ভেতরে আকাশ সমান দুঃখ লুকিয়ে এগিয়ে চলেছে। যান্ত্রিক জীবন কাটাতে গিয়ে মানুষ হতাশার শিকার হচ্ছেন। আর অনেকক্ষেত্রে এর থেকেও আসছে ডিপ্রেশন। এরই মাঝে কেউ কেউ ভেতরের কষ্ট লালন করতে করতে একসময় আসল মানুষটাই ভেতর বাইরে দু জায়গায় বদলে যায়। তৈরি হয় চুড়ান্ত হতাশা, অবসাদ, জীবনের জন্যে ক্লান্তি আর বিমুখতা। তারা ডুবে যায় মনের এক অন্ধকার জগতে। যার নাম ডিপ্রেশন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, যে পৃথিবীর প্রায় ১২১ মিলিয়ন মানুষ ক্রনিক ডিপ্রেশনে আক্রান্ত৷ বিষণ্নতা কাম্য নয় আর নিঃসঙ্গতাই অনেক সময় তাদের বাধ্য করে নিজেকে সমাজ-সংসার, বন্ধু-বান্ধব থেকে এক্কেবারে দূরে সরিয়ে রাখতে। বাধ্য করে নিজ ক্ষতি সাধনে। বাধ্য করে আত্মহননে। যদিও জানি মানসিক সমস্যার Range খুবই বিশাল, যে কারণে তাকে সংজ্ঞায়িত করা কঠিন। আমরা পুঁথিগত সংজ্ঞার দিকে না গিয়ে, বাস্তবে তার characterization করার চেষ্টা করি বরং।
প্রথম যে জিনিসটা আত্মস্থ করে নিতে হবে সেটা হচ্ছে কোন মানসিক সমস্যা ছোট নয়। আপাতদৃষ্টিতে আমাদের কাছে সামনের জনের সমস্যা গুলো খুব তুচ্ছ মনে হলেও, যে তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে একমাত্র সেই জানে তার তীব্রতা।আমরা মানসিক সমস্যা কে এভাবে বলতে পারি, যে সমস্যাগুলো কারো মানসিক শান্তি, গ্রোথ এবং স্বাভাবিক চিন্তাভাবনা কে দীর্ঘ মেয়াদে ব্যহত করে। উদাহরণ হিসেবে বলি, টিনেজ বয়সের স্বাভাবিক জটিলতা হল –পারিবারিক অশান্তি, প্রেমঘটিত বিষাদ। তার মানে এই নয় যে তার সমস্যাগুলো হালকা, তার মানে এই যে আপনার তাকে বোঝাতে হবে এই সমস্যাগুলো স্বাভাবিক এবং একসময় কেটে যাবে।
যেকোন সমস্যা সমাধানেই সবেচেয়ে প্রথমে প্রয়োজন সমস্যার সঠিক Identification বা Diagnosis. আপনার সমস্যা, বা আপনার বন্ধুর সাহায্যে আপনি আসতে পারবেন কি না, তা সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করছে একটি সঠিক ডায়াগনসিস এর ওপর। তাই আজকে, সামান্য আলোচনা করবো Mental Illness Categorization.
মানসিক অসুস্থতাটা কি শুধুই অস্বাভাবিকতা নাকি ব্যাধি। ঠিক এই নির্ণয়ের পর থেকেই সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে আপনি মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিকে সাহায্যে নেমে পড়তে পারবেন। এবার আসি একটু কঠিন, এবং academic প্রকার ভেদে। মানসিক অসুস্থতা দু প্রকার-
১. নিউরোটিক। (Disorder)
২. সাইকোটিক। (Disease)
১. নিউরোটিক অসুস্থতা গুলো বেশিরভাগই আবেগ এর সাথে জড়িত। একজন মানুষের ইমোশোন, ফিলিংস সম্পর্কিত সমস্যা গুলো কে আমরা নিউরোটিক মেন্টাল কন্ডিশন বলে থাকি। আমাদের চারপাশের বেশিরভাগ ব্যক্তি Neurotic Mental Condition(MNC) এর শিকার। এটা কিন্তু Disease নয় এটা একটা Disorder. Neurotic Mental Condition এর অন্তর্ভুক্ত মানসিক সমস্যা গুলো হচ্ছে:- ডিপ্রেশন, এংগার ম্যানেজমেন্ট সমস্যা, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট সমস্যা, যেকোন ধরণের ফোবিয়া, অত্যাধিক দ্বিধা, হীনমন্যতায় ভোগা, obsession , obsessive compulsive disorder, Obsessive-compulsive personality disorder, Negativity, pacimism, panic attact, post traumatic disorder .
কিছু নিউরোটিক ডিসঅর্ডার আসে বয়সের সাথে – যেমন বয়ঃসন্ধি বা প্রৌঢ়ত্ব, আসে হরমোনের সাথে, আসে প্রেগ্ন্যান্সির সাথে, যেমন পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশন, আসে দীর্ঘমেয়াদী রোগ এর সাথে, আসে কিছু ওষুধ খাওয়ার সাইড এফেক্ট হিসেবে। এছাড়াও, কিছু রোগ যেমন হাইপো-থাইরয়েডিজম বা মাইট্রাল ভালভ প্রোল্যাপ্স জাতীয় অসুখ ও নিউরোটিক মেন্টাল কন্ডিশনের অন্যতম কারণ। এসব বিবেচনাও আপনার তার সমস্যা সমাধান এ অপরিহার্য। এবং এতকিছু জানা, বোঝার কারণেই সঠিক ডায়াগনসিস এতো কঠিন একটা জিনিস। তবে বলাই বাহুল্য যে এসব জেনে নেয়া এত সহজ হবেনা, যে কারণে আপনার মধ্যে তার একটা নির্ভরতার স্থান তৈরি করতে হবে, একটা কম্ফোরট জোন তৈরি করতে হবে।
যে রোগ নিয়ে আলোচনা করবো তার নাম হল ডিপ্রেশন :-
ডিপ্রেশন মানুষের মন থেকে সব ভাল লাগা শুষে নেয়। একসময় যার বই পড়তে অনেক ভাল লাগতো, সে আর বইয়ে মন বসাতে পারে না। তার কাছে এর গুরুত্ব চলে যায়। ভাল লাগাগুলো উধাও হয়ে যায়। মানুষটি তাই আস্তে আস্তে ভেতর থেকে মরে যেতে থাকে। তার আশেপাশের কোন কিছুই আর আগের মত ভাল লাগে না। ডিপ্রেশন তার সমস্ত শক্তি শুষে নেয়। তার মধ্যে কোন অনুপ্রেরণা, আনন্দ অবশিষ্ট থাকে না। তারা সব শেষে জীবনের অর্থ খুঁজে পেতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে এটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়। সে ধৈর্য হারিয়ে ফেলে, অল্পতেই রেগে যেতে শুরু করে, খুব সহজেই ভেঙ্গে পড়ে, হতাশাকে আঁকড়ে ধরে। অথচ আমরা সবারই কোন না কোন সময় মন খারাপ হয় আবার ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু যদি কারও দু-সপ্তাহের বেশী সময় ধরে বিষণ্নতা চলতে থাকে তখন ধরতে হয় ডিপ্রেশন গ্রাস করছে । এই রোগের লক্ষণ সাধারণত ব্যাক্তিসত্তার উপর নির্ভর করে।কারণ বলতে গেলে একে তিনভাগে ভাগ করা যায় ১) শরীরবৃত্তিয় ২) মনস্তাত্বিক কারণ ৩) সামাজিক কারণ।
* শরীরবৃত্তীয় কারণ :- আমদের মস্তিষ্কে অবস্থিত নিউরোট্রান্সমিটার রাসায়নিক খবর আদন-প্রদান করে থাকে। তার মধ্যে যদি Noradrenaline ও Serotonin রাসায়নিকের স্তর নিউরোট্রান্সমিটারের মধ্যে কমে যায় তা হলে ডিপ্রেশন দেখা দেয়। তাছাড়া আছে জিনগত কারণ মা-বাবার ডিপ্রেশন থাকলে সন্তানের মধ্যে ডিপ্রেশন হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া হরমোনের অস্বাভাবিকতা ও একটি বড় কারণ এই রোগের।
* মনস্তাত্ববি কারণ :- এই ক্ষেত্রে ব্যক্তির উপর নির্ভর করে যেমন যারা অতিরিক্ত উচ্ছাবিলাসী, বদ্ধধারণায় জর্জরিত এই ধরণের লোকদের সাধারণত ডিপ্রেশনের কবলে পড়ে।
* সামজিক কারণ :- সাধারণত নানা আঘাত যেমন প্রিয়জনের মৃত্যু, পরীক্ষায় অসফলতা, বিবাহ বিচ্ছেদ এবং যারা একাকিত্ব জীবন যাপন করে তাদের মধ্যে ডিপ্রেশন বেশী দেখা যায়।
ডিপ্রেশন একটি জনসাধারণের গুরুত্বপূর্ণ মানসিক স্বাস্খ্য সমস্যা বা Public mental health problem. এ রোগটি যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে মনে হয় ভবিষ্যতে এটা epidemic রূপ নিয়ে নিতে পারে। আর তা ভাবা আশ্চর্যের নয়। মৃদু বা মাঝারি মাত্রার চেয়েও লক্ষণীয় ভাবে ডিপ্রেশন গভীর রূপ নিতে পারে এবং এটি মানুষের মানসিক ও শারীরিক উৎকর্ষের মাত্রা ও কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিতে পিছপা হয় না। ডিপ্রেশন এমন এক মেন্টাল ডিসঅর্ডার, যার অশুভ থাবায় মানুষের জীবন হয়ে পড়তে পারে ক্ষতবিক্ষত। পৃথিবীর নিয়মমাফিক কাজের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ কাজ হচ্ছে আত্মহত্যা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আত্মহত্যা একটি প্রতিরোধযোগ্য ভয়ংকর মেডিকেল এবং সামাজিক ব্যাধি। কিন্তু কথা হচ্ছে আত্মহত্যা বা ডিপ্রেশন সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া অতি জরুরি। ডিপ্রেশন হচ্ছে emotional illness যার ফলে ব্যক্তির মন মেজাজের অবনতি ঘটে দারুনভাবে এবং হতাশাগুলো আকর্ষিত করে ইচ্ছাশক্তিকে, জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রকে গ্রাস করে বিষণ্নতা, নিরব ঘাতক রুপে জীবনে আনে কষ্ট, হতাশা, একাকিত্ববোধ।
**কোন কারন ছাড়াই এমনিতেই মন খারাপ দিনের পর দিন, মাসের পর মাস চলতে থাকলে মানুষটির ডিপ্রেশন হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। মনে রাখার মত কথা হলো, এক নাগাড়ে ২ সপ্তাহ বা তারও বেশী সময় ধরে অকারণে দুঃখবোধ, কান্নাকাটি করা, সর্বশেষে আত্মহত্যার চিন্তা চলতে থাকে তবে ডিপ্রেশন বলে গণ্য করা যায়।ডিপ্রেশনে ভুগলে মানুষের জীবন হয়ে যায় বিষাক্ত। নিজেকে totally valueless ভাবতে শুরু করে। বিভিন্ন ট্রমাগত কারনে নিজের উপর আস্থা হারিয়ে ডিপ্রেসড হয়ে উঠে জীবন। তখন ডিপ্রেশড অন্তর্ভুক্ত মানুষগুলোর ভিতর কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় …
* কনফিডেন্স ব্যাপারটা একদমই হারাতে বসে, আমাকে দিয়ে কিছু হবে না এটাই বিয়োজকে কনভার্ট হয়ে ভক্ষম করে ফেলতে পারে।
* মাথায় ঝিমঝিম ধরে, খাবারে, ঘুমে অনীহা আসে, গা, হাত-পা সবসময় ব্যথা অনুভব হয়।
* কোনো কাজে মনোযোগ আসে না। ”ভালো লাগছে না” বাক্যটা অনায়াসেই মুখ থেকে নিঃসরিত হয়ে যায়।
* পারিবারিক সমস্যা থেকে সৃষ্ট চাপ ডিপ্রেশনের বড় একটা কারণ।
* প্রেমে বিচ্ছেদ বা আজীবন বলতে না পারার হা- হুতাশ, প্রতারিত হওয়ার কষ্ট, কিংবা নিজের চোখের সামনে প্রিয় মানুষটাকে পাল্টে যাওয়া, বিবাহ বিচ্ছেদ ইত্যাদি হচ্ছে হতাশাগ্রস্থ মানুষের জন্য বড় একটা পাঠ।
* বাচ্চা জন্মের পর মায়ের ডিপ্রেশন হওয়া খুবই কমন বিষয়। বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর যে ডিপ্রেশনটা হয় তা অনেকদিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এক সপ্তাহের বেশী সময় ধরে চলতে থাকলে এটাকে সিরিয়াস ডিপ্রেশন গণ্য করা যেতে পারে। ২য় শতাংশ মা Low grade past-natal depression এ ভোগেন।
* অ্যানিমিয়া ও হাইপার থাইরেডিজম, এপিলেপসি, হেপাটাইটিস, ব্রেন টিউমার, অ্যাজমা ও ম্যালেরিয়ার ঔষধের দীর্ঘদিনের ব্যবহার মেজাজ খিটমিট করে দিতে পারে, জীবনকে মূল্যহীন করে তুলতে পারে।
* কোন কাছের মানুষের মৃত্যু হলে বা অকস্মাৎ কোন মৃত্যু স্বচোখে দেখলে বিষণ্নতা ছেয়ে ধরতে পারে।
* পড়ালেখা বা অফিসের কাজে অতিরিক্ত পরিমানে চাপ পড়লেও অনেকটা ডিজঅর্ডার হয়ে পড়ে।
* হঠাৎ করেই নিজের পজিশন সম্পর্কে জ্ঞাত হয়ে যাওয়া। নিজের ফ্রেণ্ড সার্কেলের কাছে তার কোন মূল্য নেই, ভালবাসা নেই এটা আবিষ্কার করে ফেলা প্রচুর পরিমানে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
** ছেলে মেয়েদের মোবাইল ফোনে দূর আলাপনের ফলে একে অপরের মধ্যে মানসিক নির্ভরশীলতা বেড়ে যাচ্ছে, হঠাৎ এতে ব্যাঘাত ঘটলে তীব্র মানসিক পীড়নের সৃষ্টি হতে পারে, যাদের পীড়ন সহনশীলতা কম। অনেক মেয়েই নিজেকে ছেলেদের চেয়ে অনেকটা দুর্বল ভাবে। এছাড়াও মেয়েদের আবেগ অনেক বেশি। তারা তাদের মানসিক সমস্যাগুলো নিজেদের মধ্যে চেপে রাখে অর্থাৎ বাইরে প্রকাশ করতে চায় না । ফলে মানসিক চাপ যখন মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায় তখন তারা সেটা সহ্য করতে পারে না। এর ফলে তাদের প্রতিরক্ষা কৌশল ভেঙ্গে পড়ে এবং সমাধান হিসেবে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
এইবার আলোচনা করবো আত্মহত্যা নিয়ে :-
কথাও পড়েছিলাম আফ্রিকাতে নাকি একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে আত্মহত্যা করার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় সিংহের লেজে দড়ি বেঁধে, দড়িটা নিজের কোমরে বেঁধে দড়িতে টান দেওয়া। বন্ধুদের সাথে মজা করে বলতাম কেউ আত্মহত্যা করলে এভাবে যেন করে। যাই হোক আত্মহত্যা নিয়ে আলোচনার শুরুই করলাম মজা করে। সেই বয়সে আত্মহত্যা বিষয় তেমন কোন ধারনা ছিল না তাই বন্ধুরা মিলে আত্মহত্যা করার নানা আজগুবি উপায় বের করতা। সাধারণত আমি ও আমার বন্ধুরা কেউই শান্ত স্বভাবের ছিলাম না।
Attention taking Disorder যাদের মধ্য রয়েছে তারা শুধু মাত্র, অন্যর মনোযোগ আকৃষ্ট করার জন্য আত্মহত্যার প্রচেষ্টা নিতে গিয়ে মারা যাচ্ছে। যদিও জানি আত্মহত্যা হল মানব জীবনের এক চরম অসহায়ত্ব। ক্ষণিক আবেগে জীবনের চির অবসান। পরাজয়-ভয়, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে চির প্রস্থান। আর্থিক, সামাজিক, পারিবারিক কিংবা নিতান্ত ব্যক্তিগত মনোকষ্টের শিকার হয়ে নিজের মূল্যবান জীবনকে শেষ করার মাধ্যমে একটি আত্মহত্যা মৃত্যু ঘটায় একটি সম্ভাবনার। আত্মহত্যার অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে বাইপোলার ডিসঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার, এনজাইটি ডিসঅর্ডার, অ্যালকোহল ব্যবহার জনিত ডিসঅর্ডার ইত্যাদি। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে অতীতের ব্যর্থতা, গ্লানি বা অপমানজনিত প্রচণ্ড হতাশা এবং নিঃসঙ্গতা, আত্মহত্যার অন্যতম কারণ। আর তখন থেকেই সে নিজেকে গুটিয়ে নিতে শুরু করে সর্বসাধারণের কাছ থেকে এবং একসময় আত্মহত্যার পথটিকেই সমস্যা সমাধানের একমাত্র নির্ভরযোগ্য পথ হিসেবে বেছে নেয়। প্রয়োজনে তাকে মানসিক চিকিৎসক বা সাইকোলজিস্টের বা সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
মানুষকে আত্মহত্যাবিমুখী করার উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম ১৬৭০ সালে ফ্রান্সের লুইস xiv একটি সরকারি আদেশ জারি করেন যেখানে বলা হয় আত্মহত্যাকারী মৃতের দেহ কোনো ধর্মীয় সৎকার পাবে না এবং তার যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা হবে। কিন্তু এ ব্যবস্থা আবেগপ্রবণ মানুষদের সত্যিকার অর্থে আত্মহত্যাবিমুখী করতে পারেনি। চেষ্টা করতে হবে আত্মহত্যার মত ভয়াবহ পরিণতির দিকে আমাদের প্রিয় মানুষগুলো যাতে পা না বাড়ায়, সমস্যার ভয়াবহতার পাশাপাশি আমাদের বঞ্চনা, তিরস্কার বা লাঞ্ছনার শিকার যাতে তাদের হতে না হয় সে ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
পরিশেষে বলি যারা জীবনটাকে খেলা মনে করছেন, কল্পনাবিলাসী হয়ে আত্নহত্যা করতে ইচ্ছা করে তাদের বলছি আপনি হয়ত জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন, কিন্তু জীবনটা কি শুধু আপনার? একটি বার আলাদা করে ভাবুন, আপনার Root টা কোথায়? আমি বলবো পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষই কোন না কোন দায়িত্ব নিয়ে এসেছে তাই নিজের দায়িত্বটা বুঝে নেওয়া সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ।
loading...
loading...
বিশোদ আলোচনা আশা করি সবাই উপকৃত হবে কবি,,,,,,,,,,,,,,



loading...
আমরা সবাই যেন সচেতন হই কবি দা। এই প্রত্যাশা।
loading...
ডিপ্রেশন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করলেন করলেন। সত্যিই তো আত্মহত্যা কোন স্থায়ী সমাধান নয। তবে যারা এ পথ বেছে নেন তারা অধিক হতাশা বা প্ররোচনা নতুবা বিয়োগভাজন থেকেই এসকল কর্ম ঘটিয়ে থাকেন। আপনি শাব্দিক, আক্ষরিক, বৈজ্ঞানিক এমনকি ক্লাশে পঠিত বিষয়ের মতই আলোচনা করেছেন। আমার বিশ্বাস সমাজ থেকে এই বিষফোড়া উত্তরণের এটি যোগ্য হাতিয়ার হবে। আমরা সবাই এমন গঠনমূলক লেখাকে মূল্যায়ণ করে সমাজকে তার স্ব স্থানে নিয়ে আসতে চাই। এটি শুধু পশ্চিম বঙ্গ নয় বাংলাদেশেও এর তীব্রতা চোখে পড়ার মত। ভালো লাগল কবি বন্ধ রিয়া রিয়া। শব্দনীড়ে আপনার উপস্থিতি এবং সময়পোযোগী লেখা বরাবরই দায়িত্বলীলদের মতো দেখতে পাই। সাথে আছেন দেখে আমরাও আনন্দিত।
loading...
আপনার মন্তব্য আর মূল্যায়ন আমাকে অনুপ্রাণিত করে সাইদুর রহমান১ দাদা। আশীর্বাদ করবেন যেন লিখে যেতে পারি।
loading...
"পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষই কোন না কোন দায়িত্ব নিয়ে এসেছে তাই নিজের দায়িত্বটা বুঝে নেওয়া সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ।" সুতরাং নো ডিপ্রেশন নো আত্মহত্যা।
loading...
নো ডিপ্রেশন নো আত্মহত্যা। কৃতজ্ঞতা প্রিয় বন্ধু।
loading...
অত্যন্ত মূল্যবান আলোচনা ।অভিনন্দন জানাই ।
loading...
ধন্যবাদ দিদি ভাই। নমষ্কার।
loading...