এই যে বাড়িটি দেখছেন
আমার একটি ছাউনির খুব বেশি প্রয়োজন।
কথাগুলো বলতেই ওরা খুব সাগ্রহে এগিয়ে আসে।
এবং বলে— কবি, কী কী লাগবে তার একটা ফর্দ
তৈরি করে দিন। এয়ার কন্ডিশন, রিফ্রিজারেটর, গ্যাসস্টোভ,
মাইক্রোওয়েভ, ওগুলো সাথেই আসবে। এমনকি ডিশ ওয়াশিং
মেশিনও। আপনার লেখালেখির জন্য একটা টেবিল,
কিংবা দু’চারটা কলম আপনি চাইতে পারেন। সাথে
প্রিন্টার সমেত একটি কম্পিউটার। চাইতে পারেন,
কিছু প্রিন্টিং পেপারও। যতখুশি।
আমি চমকে উঠি। কী বলে ওরা !
এ তো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি ! ধান না চাইতেই
আউশের গরম অন্ন !
আমি আবারও সবিনয়ে বলি— যেমন করেই হোক
আমার একটু ছাউনি দরকার।
ওরা হেসে উঠে।
বলে— এই যে বাড়িটি দেখছেন, তা খুব সুনিপুণভাবেই
পুর্ননির্মাণ করা হয়েছে আপনার জন্য। সামনের লনে এই যে
দু’গুচ্ছ গোলাপ-
সেগুলোও আপনার জন্য আমাদের সাম্রাজ্যবাদী উপহার।
শুধু একটি বার আপনাকে লিখে দিতে হবে—
‘সাম্রাজ্যবাদের জয় হোক।’
কিছুটা ভীত- কিছুটা পুলকিত হয়ে আমি আমার জ্যাকেটের
ভেতরের পকেটে লুকিয়ে রাখা পুরনো কলমটি অনুভব করার
চেষ্টা করি।
ওদের কাছে অনুমতি প্রার্থনা করি, গৃহপ্রবেশের।
সামনের গেটে দাঁড়িয়ে থাকা দুজন দারোয়ান আমাকে
স্যালুট করে ভেতরে নিয়ে যায়।
ড্রইংরুমে ঢুকেই দেখি,
সোভিয়েত কবি যোশেফ ব্রডস্কি’র একটি ফুলস্ক্যাপ ছবি
আমার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে।
loading...
loading...
এই কবিতাটিও আমার কাছে অসাধরণ লাগলো প্রিয় ইলিয়াস ভাই।
loading...
সুন্দর।
loading...