(image- SPBA)
অবাক না হয়ে উপায় আছে কি?
অথবা নির্বাক-
যখন চোখের সামনে মানুষেরা রঙ বদলায় গিরগিটির মতন!
অবাক না হয়ে উপায় কি বলো-
যখন দলে দলে মানুষ দক্ষ হয়ে উঠে নিপুণ অভিনয়ে- দারুণ ছদ্মবেশে;
আর ব্যাঙ্গ হয়ে উঠে আমার নিপাট জীবন…
নির্ঝঞ্ঝাট মন বিষিয়ে উঠে ভীষণ তিক্ত স্বাদে, অকপটে ঘটে নৃশংসতা
সস্তা মরণ ঘাটে!
আপন গৃহে দংশিত জীবন, যখন পিতার হাতে কন্যার ধর্ষণ;
জন্ম জনন খাটে!
নির্বোধ না হয়ে উপায় কি বলো-
আজো শুকায়নি যে জন্মের ক্ষত, আদৌ থামেনি যেই রক্তের ক্ষরণ
খোদ সেই মায়ের বুকে ছড়ে উল্লাসে পেটে পড়ে সন্তানের নগ্ন চরণ!
কোন দ্বিধা নাই, সংকোচ নাই- মায়ের বোবা অশ্রু হতে
যে স্রোতের উৎপত্তি তাতেই ডুবছে নিঃসঙ্কোচে;
ডুবছে ঘর
ডুবছে মন্দির, মসজিদ, গির্জা বিশ্বচরাচর
পথের স্রোতে ভাসছে পথিক, ভাসছে গৈরিক- মর্মর জোয়ারে
ভেসে যাচ্ছে…..সীমানা হীন সীমান্তে
আঁধার দিগন্তে!…
কী আশ্চর্য, কেউই রুখলো না তারে।
না আমি
না তুমি
না আর কেউ!
দূর পাহাড়ে ঝোপের আড়ালে কুকুরের ঘেউ ঘেউ, কাকের হল্লা
চিলেরা ব্যস্ত লুফে নিতে নির্জীব দেহ, প্লাবনের ঢেউ… বিধ্বংসী লীলা।
আর
এমন পৃথিবীর ঘূর্ণনে লজ্জিত চন্দ্র, সূর্য;
বায়ুমণ্ডলের সমস্ত বাতাস ফেঁপে উঠে ক্ষোভে বিক্ষোভে
মেঘের গর্জনে জ্বলে মেঘের বিদ্যুৎ…
মানবিক ঐশ্বর্য; বাস্তবে যার কোন জ্ঞান অবশিষ্ট নাই।
দা উ দু ল ই স লা ম
১৪/৫/১৮
loading...
loading...
ত্রিমাত্রিক প্রচ্ছদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ত্রিমাত্রিক লিখা। অসাধারণ প্রকাশ। বিনম্র শ্রদ্ধা জানবেন প্রিয় স্যার। জীবনের দৈন্দিন যুদ্ধে সামান্য অবসর পেলে শব্দনীড় এর পাশে থাকবেন। শব্দনীড় আপনার সঙ্গ উপস্থিতি চায়।
loading...
খুউব সুন্দর লিখেছেন কবি দা।
loading...