বয়স আঠারো পেরিয়ে গেলে
সমস্ত শৈশব ধুলায় উড়িয়ে আগামীর সম্ভাবনা খুঁজি সম্পর্কের গভীরে। যৈবনবতী মন যার ধারালো আকুতি তার জন্য। পাতাদের হাহাকার -ক্রন্দন ফেলে যায় দীর্ঘছায়া। এইমাত্র প্রত্যাশার বৈশাখ জানান দিয়ে গেল – এ মাসে বৃষ্টি হবে না আর। তৃষ্ণার্ত প্রেমিক – প্রেমিকারা জমা করে রাখুক সারা বছরের প্রেম। চৈত্রদিন এলে অক্ষরহীন সংলাপে কাটে যুগল সময়। ব্যর্থতার পদচিহ্ন ধরে এগিয়ে গেলে নেতিয়ে পড়ে বুকের ছাতা। ছুটছে সময়। মিছিল শেষে ক্লান্তি আর ক্লান্তি। রাজপথে রক্তের ঘ্রাণ শুঁকছে কুকুর। কারো কারো চোখের বরফ ভেঙ্গে গড়িয়ে পড়ছে জল।
গলা টিপে ধরো ক্ষুধার্ত মানুষের – কিসের জন্য এতো অধিকার! অধিকার! বলে চিৎকার? কেউ যেনো না থাকে অভিযোগ করার মতো। শালা! শৈশব পেরোলেই এক একজন বাঘ হতে চায়? শৈশব পেরিয়ে গেলেই মৃত্যুও যে এগিয়ে আসে এই সত্যটি অনেকেই জানে না।
কে শোনে কার কথা। শূন্যতা যখন ঘিরে ধরে সমস্ত নিজস্বতায়, পেটের ভেতর যখন বেড়ে ওঠে এক আকাশ ক্ষুধা তখন যেনতেন ভাবে হলেও মানুষ বাঁচতে চায়। অভিযোগের দিনে বেসামাল গোছানো সংসার। কৈশোর পেরিয়ে একটা যৌবন বহন করে নিয়ে যায় ঈশ্বরের দেহ। পবিত্র সাবানের গন্ধে দূরত্ব বাড়ে মানুষের। তবুও উপলব্ধিটা অনেক পরে হলো তাদের – ‘জীবন এতো ছোট ক্যানে’?
loading...
loading...
জীবন বোধের অসাধারণ একটি লিখা। অভিনন্দন প্রিয় কবি মি. মোকসেদুল ইসলাম।
loading...
মুগ্ধ হলাম কবি দাদা।
loading...