খেলা ঘর বাঁধতে লেগেছি
কখনও এমন রাত আসে, যেসব রাতে, একলা চাঁদের পাশে লক্ষ কোটি চাঁদ জ্বলে ওঠে। সেসব রাত আসে, এখনও আসে মাঝে মাঝে। রূপকথার ঘুম-পাশ কেটে সেসব রাতেরা কালও এসেছে। ডুবিয়ে দিয়েছে গাঢ় অন্ধকারে। সবগুলো রাত শুধুই অন্ধকার নয়, কিছু রাত বখাটে, বেপরোয়া ভীষণ। জীবনের একই কাহিনী বারবার ফিরে আসে। একই নাটক, একই খেলা।
কান্নার গমকগুলো মাঝে মাঝে এসে দাঁড়ায় চোখের দেয়াল জুড়ে। ফেলে আসা খেলার মাঠের ঘাসকাটার গন্ধ এসে স্নায়ুগুলোকে স্তম্ভিত করে নির্নিমেষ। জীবন কিছু স্মৃতিই তো। রাতের গভীরতায় বখাটেপনায় যোগ হয় জীবনের হিসেব নিকেশ। পালিয়েও বাঁচতে পারেনা দুর্বল মন। অমনি করে বয়ে যায় হাজার বছরের রাত।
সময়ের নদী তিরতির করে পায়ের পাতার নীচে আকুল হয়ে দাঁড়ায়। তখন আমার ঘরে ফেরার ইচ্ছেরা সব জাগে। যে ঘর আছে আমার স্বপ্ন চোখের ছায়ায়, যে ঘর আছে লক্ষ সময় তীরে। স্রোতের মতো এগিয়ে যায় সময়, বাঁধের পর বাঁধ দিয়ে যাই আমি। ভিড় জমে যায় অবহেলার। ছাদের কার্নিশে দাঁড়াই এক আকাশ তারাদের সাথে। অনেক অনেক দিন জমে থাকা অভিমানদের ভোলার ছল। বুকের ভিতর উপচে ওঠে মেঘ, ঢেউ এর মাথায় বজরা ভাঙে তুফান। ঝড় উঠল মন গুঁড়ো করে। টান মেরে সে খুলে ফেলি সব আগল। মাথার ভিতর গর্জে ওঠে সাপ, অভিশাপে ছাই হয়ে যাক শরীর, আগুন নয়, দাবানলের মতো সব কিছু নিঃশেষ হোক।
সেই প্রিয় গান বাজছে কোথাও …
“খেলাঘর বাঁধতে লেগেছি “…..
loading...
loading...
লেখার শেষে উচ্চারিত সুরের যে শব্দ আবেশ … তাতে মনে হয় লিখার প্রতিটি শব্দ কানের মাঝে বেজেই চলেছে … বেজেই চলেছে। ___ অভিনন্দন প্রিয় কবিবন্ধু।
loading...
ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধু।
loading...