ভারতের এক সিনিয়র সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশকে মঙ্গলবার রাতে ব্যাঙ্গালোরে তাঁর বাড়ির সামনেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
গৌরী লঙ্কেশ ঘোষিতভাবেই হিন্দু দক্ষিণপন্থীদের সমালোচক ছিলেন তাঁর লেখার মাধ্যমে।
ব্যাঙ্গালোরের পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার বিবিসিকে জানিয়েছেন, “মঙ্গলবার রাতে যখন তিনি বাড়ি ফিরছিলেন, তখন বাড়ির ঠিক সামনেই গুলি চালানো হয়। ঠিক কী কারণে এই হামলা হয়েছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।”
এক পুলিশ আধিকারিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, “গৌরী যখন বাড়ির দরজা খুলছিলেন, ঠিক সেই সময়েই বুকে সরাসরি দুটো আর মাথায় একটা গুলি করা হয়।”
চল্লিশ বছর আগে তাঁর বাবা যে ‘লঙ্কেশ পত্রিকে’ শুরু করেছিলেন, মিজ লঙ্কেশ সেটির সম্পাদক ছিলেন।
গৌরী লঙ্কেশ তাঁর পত্রিকার মাধ্যমে ‘কমিউনাল হারমনি ফোরাম’ নামে একটি গোষ্ঠীকে ক্রমাগত উৎসাহ দিয়ে গেছেন, যেখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সপক্ষে এবং দক্ষিণপন্থী হিন্দুত্ববাদের বিপক্ষে মতামত প্রকাশ করা হয়।
তাঁর পত্রিকায় ২০০৮ সালে ছাপা কয়েকটি লেখার জন্য মানহানির মামলা করেছিলেন বিজেপি-র সংসদ সদস্য প্রহ্লাদ যোশী।
সেই মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হন ও ছয় মাসের জেল হয়। সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন।
মিজ লঙ্কেশের হত্যার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে আরও দুই যুক্তিবাদী ও হিন্দুত্ববাদ-বিরোধী লেখক এম এম কালবুর্গি ও ডঃ পানসারির হত্যার ঘটনার সঙ্গে।
মিজ লঙ্কেশের মতাদর্শের সঙ্গে ওই দুই যুক্তিবাদীর মতামতের সম্পূর্ণ মিল ছিল।
এই সিনিয়র সাংবাদিকের হত্যার পরে সামাজিক মাধ্যমে মতামত জানাতে শুরু করেছেন বিশিষ্টজনেরা।
কবি জাভেদ আখতার লিখেছেন, “দাভোলকর, পানসারে, কালবুর্গি, এবং এখন গৌরী লঙ্কেশ। যদি পর পর একই ধরণের মানুষ নিহত হতে থাকেন, তাহলে হত্যাকারীরা কারা?”
অভিনেত্রী রেণুকা সাহানে টুইট করেছেন, “আরেকজন যুক্তিবাদী কণ্ঠ রোধ করে দেওয়া হল, আততায়ীদের চিহ্নিত করা যায় নি। গৌরী লঙ্কেশ, দাভোলকর, কালবুর্গি, পানসারে – কারা মারল এদের সবাইকে?”
সূত্রঃ বিবিসি বাংলা
loading...
loading...
সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ এর নৃশংস হত্যাকাণ্ড কোন মতেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। কট্টরপন্থী বলি অতি অতি অতি গোড়া সনাতনপন্থীই বলি যারা এই নৃশংসতা ঘটিয়েছে আমরা তাদের নিন্দা জ্ঞাপন করি। বিচারের দাবি করি। দুঃখজনক।
loading...
বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে!
loading...