রবিঠাকুর হে – চার
একটানা মনখারাপী কাজলি বর্ষণ জমিয়ে জড়িয়ে রেখেছে মাটিগন্ধা ঘাসবিকেল, ঝিরিঝিরি কুসুমফলার মৃদু শব্দ আনমনে কখন যেন নেশা ধরায় বহির্টানে সাড়া দেওয়া যাযাবরমনে, আঁকড়ে থাকা ঘরের কোনছায়া গুনগুন বিলাসী বর্ণমালায় –
“তুমি সুখ যদি নাহি পাও
যাও সুখের সন্ধানে যাও…”
রহিত সুকুমারী সুখের সন্ধান কবেই বা পেয়েছে কেউ এ রক্তঅঝোর বিষণ্নতার সন্ধিমায়ায়!
কতদিন হলো, সেই ছোট্ট নরপুরুষ মন্দিরের শ্বেতপাথরের সিঁড়িগুলো পেরোতে গিয়ে থমকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিল আসমুদ্র চর্মরোগগ্রস্ত পৃথিবীর দিকে –
“এতো রক্ত কেন? ”
মেঘের ঋণাত্মক ঘর্ষণে চমকানো লক্ষ ভোল্টের আলোর ফাঁকে ফাঁকে আজও সেই প্রশ্ন আছড়ে পড়ে-পড়ে-পড়তেই থাকে লোভ পিচ্ছিল কালো কালো গহ্বর আঁকা উন্মত্ত মননের তাথৈ নৃত্যমঞ্চে।
বৃষ্টি পড়ে শ্রাবণের সন্ধ্যায় ব্যাকুল অবসরে,
বৃষ্টি পড়ে একক যাযাবরের একলা বিকেলে,
বৃষ্টি পড়ে কোলশূন্য মায়ের দৃষ্টিশূন্য চোখে।
দুগাল বেয়ে গড়িয়ে নামা লবণাক্ত জল –
ঝিরঝিরে শ্রাবণজল –
দাঁড় করায় প্রজন্মকে অতল খাদের কিনারায়-
রবিঠাকুর হে, আমরা আর কবে মানুষ হব!
loading...
loading...
ভীষণ ভালো লাগল! শুভকামনা অাপনার জন্য!
loading...
রবিঠাকুর হে … ধারাবাহিকটি আমার কাছে অসাধারণ লাগে।
অভিনন্দন প্রিয় কবি সৌমিত্র। ভালো থেকো।
loading...