কবিতার রাজ্যে
ভাবের রাজ্যে হাওয়া খাওয়া হয় বটে
তবে পেট ভরে না,
কবিতা চিন্তা শান্ত হলে
অর্থকরী চিন্তা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে
নান্দনিকতায় পেট ভরে না,
কবিতার রুটি স্বাদহীন
পেটের খিধেয় প্রয়োজন দুধ সাদা ভাত
বাজারে বাজারে যা বিকোয়
তাকে আলু, বেগুণ, পটল
কিংবা ঢেঁড়স নামে চিনি
এগুলোর ভিন্ন নামও দেয়া যায়
আলুকে আল কুমারী, বেগুনকে বেগবতী
পটলকে ফটকাবাজি, ঢেঁড়সকে ভাণ্ডি বাজার
ভাবের রাজ্যে খিধে লাগে না তাই
আলু ভর্তাকে অমৃত ভেবে নেয়া যায়
পটল ভাজির সাথে অক্কার যোগসূত্র
ভেবে মহাকালের চিন্তায় বিভোর
হয়ে রচনা করা যায় ওপার কবিতা
তবু কবিকে ফিরতে হয় বাস্তব রাজ্যে
চিনির, তেলের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয়
বাচ্চার দুধের ভাউচার সংগ্রহে
দৌড়াতে হয় শিশু অধিদফতরে
বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের ঘাপলা মিটিয়ে
ঘর্মাক্ত শরীর জুড়াতে হয় কলের জলে
মানুষকে হাঁটতে হয়, জ্যোৎস্নায় জুড়াতে হয়
নীল ওড়নার প্রলোভনে বিভ্রান্ত হতে হয়
খাদ্যের বাজারে আলু পটল খরিদ শেষে
গিন্নির চা-পর্ব অন্তে খুলতে হয় কবিতার খাতা
মানুষের জীবন বড় জটিল, আরও জটিল
সময়ের গতিপথ তবু পাড়ি দিতে হয়
পাড়ি দিতে দিতে মানুষ হয়ে উঠে কবিতাময়,
কবিতার ওপারে যে থাকে সেও মানুষ…
loading...
loading...
সুন্দর কবিতা।
loading...
“তবু কবিকে ফিরতে হয় বাস্তব রাজ্যে”…….
বেশ বলেছেন কবি। শুভেচ্ছা।
loading...