হুমায়ূন আড্ডা

হুমায়ূন কিংবদন্তী লেখক। তাঁর ভক্ত যেমন অজস্র তেমনি সমালোচকও কম না। ভক্ত হোক আর সমালোচক হোক সবাই তাঁর পাঠক। না পড়লে সমালোচনা করব ক্যামনে? আজ তাঁর মৃত্যু বার্ষিকী। শব্দনীড়ের পক্ষ থেকে হুমায়ূনকে অন্যভাবে স্মরণ করতে চাই। আসুন তাঁকে নিয়ে আড্ডা দিই।

১। তাঁর কোন বইটি ভাল লাগে তা লিখুন। কোন গল্প বা উপন্যাসের বিশেষ উক্তি যদি পছন্দ হয়ে থাকে সেটা উল্লেখ করুন। ভাললাগাগুলো কেন ভাল লাগে সেটাও বলতে ভুলবেন না।
২। হিমু ও মিসির আলী নিয়েও আলোচনা করি। কার কাকে বেশি ভাল লাগে?হিমু না মিসির আলী?
৩। কথা চলুক তাঁর চলচ্ছিত্র ও নাটক নিয়েও। আলোচনায় আসুক বাকের ভাই।
৪। বারবার পড়া কোন গল্প বা উপন্যাস যদি থাকে সেই নিয়েও কথা বলি।
৫। আলোচনা চলুক ব্যক্তি হুমায়ূনকে নিয়েও। তাঁর ব্যক্তি জীবন, বিভিন্ন সাক্ষাৎকার।
৬। তাঁর বইয়ের সমালোচনাও করতে পারেন। বুঝিয়ে বলুন কেন আপনি হুমায়ূনের লেখার কঠোর সমালোচক।
৭। বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁর যে দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সেগুলো নিয়ে আলোকপাত করা যায়।
৮। কারো যদি হুমায়ূনের সাথে ব্যক্তিগত কোন স্মৃতি থাকে সেটাও জানতে চাই।
৯। সর্বশেষ হুমায়ূনের পড়া বই নিয়েও কথা বলতে পারেন। অথবা এই মুহূর্তে যদি কোন বই পড়ছেন সেটাও আলাদের জানান।
এক কথায় হুমায়ূনকে নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই। মনখুলে যে কোন কথা, যে কোন আলোচনা। তো আসুন শুরুকরি হুমায়ূনকে নিয়ে আজকের আড্ডাবাজি।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

২৩ টি মন্তব্য (লেখকের ১৩টি) | ২ জন মন্তব্যকারী

  1. মুরুব্বী : ১৯-০৭-২০১৭ | ১৯:২০ |

    ‘এ অনন্ত চরাচরে স্বর্গমর্ত্য ছেয়ে. সব চেয়ে পুরাতন কথা, সব চেয়ে গভীর ক্রন্দন — ‘যেতে নাহি দিব। হায়, তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়।’
    _____________________

    পোস্ট প্রশ্নের ক্রমানুযায়ী উত্তর।

    ১. বহুব্রীহি (উক্তি নিয়ে পড়ে আসছি)
    ২. হিমু এবং মিসির আলী। দুটি চরিত্রই আমার ভালো লাগে।
    ৩. দারুচিনি দ্বীপ। (বাকের ভাই যখন চলছিলো তখন প্রবাসে) https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Razz.gif.gif
    ৪. হোটেল গ্রেভার ইন আমার কাছে বারবার পড়লেও ভালো লাগে।
    ৫. মানুষ সম আলোচনার উর্ধ্বে নয়। ব্যক্তি হুমায়ুনও তাই।
    ৬. কখনও কখনও তাঁর লিখা পড়লে চোখে জল আসে … এই ই আমার সমালোচনা।
    ৭. তাঁর দৃষ্টি বরাবরই উদার … বাস্তব এবং লিখক জীবন এই কম্বিনেশন ভালো লাগে।
    ৮. সাক্ষাত কোন স্মৃতি নাই।
    ৯. বৃষ্টি বিলাস।

    ধন্যবাদ মি. আনু আনোয়ার। এমন ধারার পোস্টের জন্য ভালোবাসা।

    GD Star Rating
    loading...
    • আনু আনোয়ার : ১৯-০৭-২০১৭ | ২০:০১ |

      ধন্যবাদ হুমায়ূন আড্ডায় সবার আগে অংশগ্রহনের জন্য।

      বহুব্রীহি – আমারো খুব পছন্দের উপন্যাস। আপনার কেন এই উপন্যাস ভাললাগে সেটা জানতে চাই।

      GD Star Rating
      loading...
    • মুরুব্বী : ১৯-০৭-২০১৭ | ২০:১৪ |

      উপন্যাসের চাইতে এর নাটরূপ আমার কাছে বেশী ভালো লেগেছে।

      বিস্তারিত বলতে গেলে মাথায় যে দুটো চুল আছে; সেটাও ঝরে যাবে। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Confused.gif.gif

      তাই উইকিপিডিয়ার শর্টকাট কপি এখানে পেশ করলুম। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_mail.gif

      মধ্যবিত্ত পরিবারের কর্তা সোবাহান সাহেব সম্প্রতি উকালতি থেকে অবসর নিয়েছেন। তার দুই মেয়ে বিলু ও মিলি এবং স্ত্রী মিনুকে নিয়ে সুখের সংসার। আর আছে ফরিদ মামা আর কাজের লোক রহিমের মা ও কাদের।

      হঠাৎ তিনি দেশের ইলিশ সংকট নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। নদীতে জাটকা ধরা পড়ছে ও বাজারে ইলিশের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তিনি ভাবতে লাগেন ইলিশ অদূর ভবিষ্যতে একটা জাদুঘরের জিনিস হবে। অনেক চিন্তা ভাবনা পর তিনি এক প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে গিয়ে সুচিন্তিত মতামত ও যুক্তি উত্থাপন করেন যে বাঙালিকে এক বছরের জন্য ইলিশ মাছ খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। বাঙালির ওই এক বছরের সংযম থেকে বহু বছরের ইলিশ সংস্থান হয়ে যাবে।

      এ নাটকের বিখ্যাত সংলাপ

      তুই রাজাকার।
      আপনি হলেন গিয়ে বটবৃক্ষ।
      ____________________

      এক বছরের জন্য ইলিশ মাছ খাওয়া বন্ধ এই প্রস্তাবনাটি কখনও কেউ ভেবেছেন কিনা জানিনা। তবে বর্তমান সরকারের আমলে কিছুকালের জন্য ইলিশ শিকার বন্ধের যে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সেটা প্রসংশনীয়। ___ এখানেই দূরদৃষ্টি।

      GD Star Rating
      loading...
      • আনু আনোয়ার : ১৯-০৭-২০১৭ | ২২:০৬ |

        বহুব্রীহি তে আইরনিকালি অনেক কিছু দেখানোর চেষ্টা ছিল। যেমন, আমাদের দেশের ইউনিভার্সিটির প্রফেসররা, দেশের বিষয় নিয়ে তেমন একটা কিছু জানেন না বরং তাঁরা বাইরের দেশের বিষয়ে বেশি জানেন। যেহেতু পাঠ্য বইয়ে তাঁরা বিদেশি জিনিস পড়েছেন। পাঠ্যবইয়ের আলোকে বাস্তবতা বোঝার মত চিন্তাভাবনা কারো নাই। অর্থাৎ প্রফেসররা বেশিরভাগই বুকিস। তাদের জ্ঞান তাই দেশের কাজে লাগে না। – এই বিষয়টা আমার খুব ভাল লেগেছে।

        আরো বলা যায়, যেমন রাজনীতিবিদ বা ক্ষমতাবানদের মিথ্যা নিয়ে ব্যাঙ্গ করা।

        আর মাছের বিষয়ে সেখানে, এক বছর সবাই কোন মাছ খাবে না, এই ধরনের আলাপ ছিল। ব্যাপারটা যদিও সেখানে আইরনিকালি ছিল, বর্তমানে আমরা কিন্তু সেটা প্রয়োগ করছি।

        GD Star Rating
        loading...
  2. মুরুব্বী : ১৯-০৭-২০১৭ | ১৯:২৯ |

    মৃত্যু নিয়ে হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বইয়ের কিছু উক্তি –

    ১. “মৃত্যুর সময় পাশে কেউ থাকবে না, এর চেয়ে ভয়াবহ বোধ হয় আর কিছুই নেই। শেষ বিদায় নেয়ার সময় অন্তত কোনো একজন মানুষকে বলে যাওয়া দরকার। নিঃসঙ্গ ঘর থেকে একা একা চলে যাওয়া যা্য় না, যাওয়া উচিত নয়। এটা হৃদ্য়হীন ব্যাপার”
    (বই এর নামঃ দেবী / পৃ: ৪৮)

    ২. “মৃত্যু টের পাওয়া যায়। তার পদশব্দক্ষীন কিন্তু অত্যন্ত তীক্ষ্ণ।”
    (বই এর নামঃ তোমাকে / পৃ: ৬৩)

    ৩. “বেঁচে থাকার মতো আনন্দের আর কিছু নেই।”
    (বই এর নামঃ আগুনের পরশমনি / পৃ: ৯৭)

    ৪. “অসম্ভব ক্ষমতাবান লোকেরা প্রায় সময়ই নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা যায়।”
    (বই এর নামঃ আকাশ জোড়া মেঘ / পৃ: ২৭)

    ৫. “আমরা জানি একদিন আমরা মরে যাব এই জন্যেই পৃথিবীটাকে এত সুন্দর লাগে। যদি জানতাম আমাদের মৃত্যু নেই তাহলে পৃথিবীটা কখনোই এত সুন্দর লাগতো না।”
    (বই এর নামঃ মেঘ বলেছে যাব যাব / পৃ: ১৫৮)

    ৬. “মৃত মানুষদের জন্য আমরা অপেক্ষা করি না। আমাদের সমস্ত অপেক্ষা জীবিতদের জন্য।” (বই এর নামঃ অপেক্ষা/ পৃ: ১৪৬)

    ৭. “যে বাড়িতে মানুষ মারা যায় সে বাড়িতে মৃত্যুর আট থেকে নয় ঘন্টা পর একটা শান্তি শান্তি ভাব চলে আসে। আত্মীয় স্বজনরা কান্নাকাটি করে চোখের পানির স্টক ফুরিয়ে ফেলে। চেষ্টা করেও তখন কান্না আসে না। তবে বাড়ির সবার মধ্যে দুঃখী দুঃখী ভাব থাকে। সবাই সচেতন ভাবেই হোক বা অচেতন ভাবেই হোক দেখানোর চেষ্টা করে মৃত্যুতে সেই সব চেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছে। মূল দুঃখের চেয়ে অভিনয়ের দুঃখই প্রধান হয়ে দাঁড়ায়। একমাত্র ব্যাতিক্রম সন্তানের মৃত্যুতে মায়ের দুঃখ।”
    (বই এর নামঃ হিমুর রুপালী রাত্রি / পৃ: ১৮)

    ৮. “বিবাহ এবং মৃত্যু-এই দুই বিশেষ দিনে লতা পাতা আত্মীয়দের দেখা যায়। সামাজিক মেলা মেশা হয়। আন্তরিক আলাপ হ্য়।”
    (বই এর নামঃ একজন হিমু কয়েকটি ঝি ঝি পোকা / পৃ: ৮১)

    ৯. “আসল রহস্য পদার্থ বিদ্যা বা অংকে না- আসল রহস্য মানুষের মনে। আকাশ যেমন অন্তহীন মানুষের মনও তাই। পৃথিবীর বেশির ভাগ অংকবিদ আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালোবাসতেন। আকাশের দিকে তাকালে জাগতিক সব কিছুই তুচ্ছ মনে হয়। We are so insignificant. আমাদের জন্মমৃত্যু সবই অর্থহীন।”
    (বই এর নামঃ আমিই মিসির আলি / পৃ: ৭৯)

    ১০. “মৃত্যু হচ্ছে একটা শ্বাশত ব্যাপার। একে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। আমরা যে বেঁচে আছি এটাই একটা মিরাকল।” (বই এর নামঃ কবি / পৃ: ১৯১)

    ১১. “মানব জীবন অল্প দিনের। এই অল্প দিনেই যা দেখার দেখে নিতে হবে। মৃত্যুর পর দেখার কিছু নেই। দোযখে যে যাবে-সে আর দেখবে কি !! তার জীবন যাবে আগুন দেখতে দেখতে। আর বেহেশতেও দেখার কিছু নাই। বেহেশতের সবই সুন্দর। যার সব সুন্দর তার সৌন্দর্য বোঝা যায় না। সুন্দর দেখতে হ্য় অসুন্দরের সংগে।” (বই এর নামঃ কালো যাদুকর / পৃ: ৭৮)

    ১২. “সব মৃত্যুই কষ্টের,সুখের মৃত্যু তো কিছু নেই।”
    (বই এর নামঃ কোথাও কেউ নেই / পৃ: ৪০)

    ১৩. “দুঃখ কষ্ট সংসারে থাকেই। দুঃখ কষ্ট নিয়েই বাঁচতে হয়। জন্ম নিলেই মৃত্যু লেখা হয়ে যায়।” (বই এর নামঃ কোথাও কেউ নেই / পৃ: ৩৬)

    ১৪. “শোকে দুঃখে মানুষের মাথা খারাপ হয়ে যায়। কবর দিয়ে দেয়ার পর নিকট আত্মীয় স্বজনরা সবসময় বলে- “ও মরে নাই।” (বই এর নামঃ ছায়া সঙ্গী / পৃ: ১৪)

    ১৫. “ঘুম হচ্ছে দ্বিতীয় মৃত্যু।”
    (বই এর নামঃ পারাপার / পৃ: ২২)
    ______________________

    GD Star Rating
    loading...
    • আনু আনোয়ার : ১৯-০৭-২০১৭ | ২১:৫৭ |

      এত বই থেকে কোট করেছেন! বেশিরভাগ পড়েছি। দু একটা মনে হয় পড়িনি। যেমন, কালো জাদুকর।

      GD Star Rating
      loading...
    • মুরুব্বী : ১৯-০৭-২০১৭ | ২২:৩৩ |

      কালো জাদুকর। পিডিএফ। প্রিন্ট ততো পরিচ্ছন্ন নয়। ফটোকপি। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_cool.gif

      GD Star Rating
      loading...
      • আনু আনোয়ার : ১৯-০৭-২০১৭ | ২২:৩৬ |

        ধন্যবাদ। আড্ডায় লাইভ থাকার জন্য। আমিও আছি আপনাদের সাথে।

        পিডিএফ এর জন্যও ধন্যবাদ।

        GD Star Rating
        loading...
    • মুরুব্বী : ১৯-০৭-২০১৭ | ২২:৪৬ |

      আড্ডার জন্যি মোরগ রান্না চলছে স্যার। তাড়াতাড়ি আইসেন। দেরী সইতো না। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_mail.gif

      GD Star Rating
      loading...
      • আনু আনোয়ার : ১৯-০৭-২০১৭ | ২৩:১৩ |

        কোক নাই। দই নিয়া আসলাম। যদিও দই এর অথরিটি কেবল আপনারই আছে!

        GD Star Rating
        loading...
    • আনু আনোয়ার : ১৯-০৭-২০১৭ | ২২:৫৫ |

      আমার কাছে বাকের ভাইকে নিয়ে আমাদের দেশে যা হল তাকে এক কথায় অভাবনীয় মনে হয়।

      এটা ঈর্ষনীয় যে একজন লেখকের একজন চরিত্রকে নিয়ে রাস্তায় নেমে যাবে মানুষ। এটা লেখকের জন্য অভাবনীয় সাফল্য।

      অন্যদিকে আমাদের চরিত্রের হালকা দিককে তুলে ধরে। আমাদের চিন্তা ভাবনা কত হালকা হলে আমরা একটা নাটকের চরিত্রকে নিয়ে রাস্তায় নেমে যেতে পারি।

      GD Star Rating
      loading...
    • মুরুব্বী : ১৯-০৭-২০১৭ | ২৩:০২ |

      বাকের ভাই চরিত্রটি ইতিহাস গড়েছে; পরবর্তীতে আমি জেনেছি স্যার।

      GD Star Rating
      loading...
    • মুরুব্বী : ১৯-০৭-২০১৭ | ২৩:৩২ |

      দধি’র পর মিষ্টি না হলে কি চলে জনাব !! https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Laugh at.gif.gif

      GD Star Rating
      loading...
      • আনু আনোয়ার : ২০-০৭-২০১৭ | ০:১৯ |

        https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Paper.gif.gif https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_dance.gif

        GD Star Rating
        loading...
      • আনু আনোয়ার : ২০-০৭-২০১৭ | ০:২১ |

        ইমো দিলাম একটা আসল আরেকটা এইডা কেমুন কতা!!

        GD Star Rating
        loading...
      • মুরুব্বী : ২০-০৭-২০১৭ | ৭:১৭ |

        https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Shock.gif.gif https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Shock.gif.gif https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_cry.gif চেক চেক রি-চেক। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Trumpet.gif.gif

        GD Star Rating
        loading...
  3. আনিসুর রহমান : ১৯-০৭-২০১৭ | ২৩:২২ |

    হুমায়ূন আহমেদ
    হুমায়ূন আহমেদ এর কোন বিশেষ বই নিয়ে ভালো লাগা প্রকাশ করার ক্ষমতা আমার নেই। কারন তিনি তার গল্পকে পাঠকের মধ্যে না ঢুকিয়ে বরং পাঠককেই গল্পের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। তার লিখা পড়ার সময় যে কোন পাঠক সম্মহিত হয়ে পরেন বলে আমার মনে হয়। তারপরও আপনার লিখার উত্তরে ক্রমানুশারে বলি।
    ১। বহুব্রীহি, নন্দিত নরকে, চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক, শঙ্খনীল কারাগার
    ২। হিমু, মিসির আলী এবং শুভ্র তিনটা চরিত্রই অসাধারন।
    ৩। অয়োময়, এইসব দিনরাত্রি
    ৪। হোটেল গ্রেভার ইন
    ৫। এ জগতে সমালোচনা কোন বিখ্যাত ব্যক্তিকে নিয়ে হয়নি ? হুমায়ূন আহমেদ মানুষ ছিলেন এবং তিনিই ভালো জানতেন তার ব্যক্তিগত ও ব্যক্তি জীবন নিয়ে । আমার ভাললাগা তার সৃষ্টিতে ।
    ৬। তার লেখায় মানুষকে সম্মোহিত করার অসাধারন ক্ষমতা ছিল। তাই তিনি অনেক হিমু, মিসির আলী ও শুভ্রকে সৃষ্টি করে গেছেন। সমালোচনা এই যে তিনি কেন কোন কোন মানুষের মধ্যে এই তিনটি চরিত্রই ঢুকিয়ে দিয়ে গেলেন ?
    ৭। সব ইস্যুতেই তিনি তার কথা বলেছেন তার স্বভাবসিদ্ধ রসিকতায় ।
    ৮। ২০০৬ এ কক্সবাজারে তাকে প্রথম দেখেছিলাম হোটেল সী গার্ল এর সামনে খুব কাছ থেকে । কয়েকবার একুশে বইমেলায় । তখনও সেলফি তুলতে অভ্যস্থ হয়ে উঠিনি ।
    ৯। ওমেগা পয়েন্ট

    GD Star Rating
    loading...
    • আনু আনোয়ার : ১৯-০৭-২০১৭ | ২৩:৪০ |

      আপনি একটা অভাব পূরণ করেছেন – তা হল সাইন্স ফিকশন। বাংলায় প্রকৃত অর্থে মৌলিক সাইন্স ফিকশন বলতে যা আছে তা হুমায়ূম আহমেদের। জাফর ইকবালের অনেক সাইন্স ফিকশনই বিদেশি গল্পের ছায়া অবলম্বনে লেখা।
      তাই হুমায়ূনকেই সার্থক সাইন্স ফিকশন লেখক বলা যায়। মৌলিক সাইন্স ফিকশনের ক্ষেত্রে তিনি পথিকৃত।

      ফিরে আসছি—

      GD Star Rating
      loading...
    • আনু আনোয়ার : ২০-০৭-২০১৭ | ০:২২ |

      ইশ শি রে——– তখন যদি একটা তুলে নিতে পারতেন তবে আপনিই ছিলেন আজকের দিনের হিরো।

      GD Star Rating
      loading...
    • আনু আনোয়ার : ২০-০৭-২০১৭ | ০:২৩ |

      ওমেগা পয়েন্ট নিয়ে আরো কিছু কথা শুনতে চাই আপনার কাছে।

      GD Star Rating
      loading...
  4. আনিসুর রহমান : ১৯-০৭-২০১৭ | ২৩:৩০ |

    পছন্দের সংলাপ !!!

    প্রতি পূর্ণিমার মধ্যরাতে একবার আকাশের দিকে তাকাই।
    গৃহত্যাগী হবার মত জোছনা কি উঠেছে? বালিকা ভুলানো
    জোছনা নয়। যে জোছনায় বালিকারা ছাদের রেলিং ধরে
    ছুটাছুটি করতে করতে বলবে – ও মাগো,কি সুন্দর চাঁদ।
    নব দম্পতির জোছনাও নয়। যে জোছনা দেখে স্বামী গাঢ়
    স্বরে স্ত্রীকে বলবেন – দেখো দেখো চাঁদটা তোমার মুখের
    মতই সুন্দর। কাজলা দিদির স্যাঁতস্যাতে জোছনা নয়।
    যে জোছনা বাসি স্মৃতিপূর্ণ ডাস্টবিন উল্টে দেয় আকাশে।
    কবির জোছনা নয়। যে জোছনা দেখে কবি বলবেন – কি
    আশ্চর্য রূপার থালার মত চাঁদ।
    আমি সিদ্ধার্থের মত গৃহত্যাগী জোছনার জন্য বসে আছি।
    যে জোছনা দেখা মাত্র গৃহের সমস্ত
    দরজা খুলে যাবে। ঘরের ভিতর ঢুকে পড়বে বিস্তৃত প্রান্তর।
    প্রান্তরে হাঁটব, হাঁটব আর হাঁটব-
    পূর্ণিমার চাঁদ স্থির হয়ে থাকবে মধ্য আকাশে।
    চারদিক থেকে বিবিধ কণ্ঠে ডাকবে-আয় আয় আয়।

    বইয়ের নামঃ কবি —হুমায়ূন আহমেদ

    GD Star Rating
    loading...
    • আনু আনোয়ার : ২০-০৭-২০১৭ | ০:১৬ |

      কবি বইটি আসলে বেশ ভাল। বলা যায় গড়পড়তা উপন্যাসের চেয়ে একটু ভিন্ন। আমার পছন্দের একটা বই।

      GD Star Rating
      loading...