পরাবাস্তব ভোর (একটি দীর্ঘ কবিতা)
দেখছি গোপনে
অনন্ত অতীত থেকে
ভেঙ্গে টুকরো টুকরো
অনিবার্য স্মৃতির সিঁড়ি
অন্ধকারে বাজছে বাঁশি মিহি সুরে
অনৈতিক সময়
অপেক্ষা এক অলিখিত প্রণয়
তুমি দেখাও এলোমেলো খোঁপা
যেন সন্ন্যাসের ক্লোন
ঝলসে ওঠা উনুন
ক্ষয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন
বিনয় সম্ভাষণে তবুও ডাকছো
রবীন্দ্র নজরুল
ভেঙ্গে গেলে খেলাঘর
অবহেলায় পড়ে থাকে
ছোটবেলার বউ – বর
চিকন সূতায় গাঁথা নীড়
খাঁচার ভেতর
জারজ সন্তান খুঁজে
সাবলীল ঠিকানা
নাভীমূলে আঁকা তার
অস্তিত্বের ঘর
এইযে বিহানবেলা
তপ্ত দুপুর
কালো সন্ধ্যা
সব আয়োজন তোমার জন্য
পাঁজর ভাঙ্গা চিৎকার
সভ্যতার পত্রাবলী ছিঁড়ছে কেউ
সম্মিলিত সুর
কাটা ছেঁড়া – জন্ম ভুল
দেখছি গোপনে
নারীর আঁচল
আধখোলা স্তন
অন্যরকম এফেক্ট
রণ, মহারণ
এতো মিথ্যে নয়
জলতরঙ্গে মাথা নোয়ালে
ডুব দিতে কেউ ইশারা দেয়
অগত্যা সন্ধি করি
পরাবাস্তব ভোর
উঁহু উঁহু হিম হিম রাত
বিধি কে করছে আমন্ত্রণ
অমৃত পরিবেশনা
এমন কৌমার্য রাত
আলভোলা পথ – বানভাসি চোখ
পথের প্রান্তে তবু দাঁড়িয়ে থাকে
আত্মরক্ষার কৌশল জানা নেই
শূন্যতা শিখে নিও তবে
বিষাক্ত কাঁটায় তুলতে
পুরাণের ক্ষত
ভালো যদি লাগে
রক্তের স্বাদ
চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দিও
নিত্য কালের থালা
যদি ব্যর্থ ইতিহাসেও গড়তে না পারো
হলুদ পাতার মতো চুপ করে থেকো
আয়নায় দাঁড়িয়ে দেখ
বিধ্বস্ত মুখ
পরাজিত সৈনিকের মতো
বুকের ভেতর পুষে রাখা সুখ
ছিটকে পড়ে আছি দূরে
সুর-লয় তাল থেকে
গান থেকে মন থেকে
সারেগামা ধরিনি আর
ভুলে গেছি সব
ধানফুল থেকে জমিতে
পাহাড় থেকে মাটিতে
মুদ্রিত হরফ থেকে আগুনে
পাখি ওড়ার এমন দিনে
চিরায়ত মায়া ছেড়ে
নগর সভ্যতা যাচ্ছি ছেড়ে
এলোমেলো মধ্য যুগে
মেঘ থেকে মুখ সরিয়ে
নদীর নরম শরীরে
মাছ থেকে শামুক থেকে
একা! মানুষ থেকে
তবু ছুঁয়ে দেই
রাত-বিরাতে
সন্তর্পণে একা
অথচ কোন যুদ্ধ নেই
ভয়ের আবহগুলি দৌড়ে পালায়
পরম্পর ছুঁয়ে দিলে উত্তাপ আসে
কেউ বুঝতে পারে না
এই স্পর্শগুলি
ননী ফলের মতো
সম্পর্কগুলো বাড়তে থাকে
ভেজা অভিমান অতি সংবেদনশীল
গন্ধম ফলের মতো
ভুলে গেছি
এক পরাবাস্তব ভোর
তবু ছুঁয়ে দেই
আঙুলে আঙুল
বুকে বুক
ঠোঁটে ঠোঁট
ম্পর্শগুলি বাড়তে থাকে
আকাশ সমান
ক্ষতস্থান ঠোঁট
আঙুলগুলো আগ্রহভরে বসে থাকে
খুলতে চেষ্টা করিনি কোনদিন
কেউ এসে ডাক দিয়ে যাক ভোরের।
loading...
loading...
কীভাবে ক্যামোনে এমন সুন্দর লিখেন …
জানতে ভীষণ মন চায় প্রিয় কবি মোকসেদুল ইসলাম।
loading...
আপনাদের প্রেরণায়। ধন্যবাদ মুরুব্বী
loading...
পুরো কবিত পড়েছি, একবার নয়, দু বার।
দুবারই পড়েছি আবেশে মুগ্ধ হয়ে। অনেক শুভেচ্ছা রইল কবি।
loading...
ভালোবাসা আনু ভাই।
loading...
একটি দীর্ঘ কবিতার চেয়েও দীর্ঘতর এই কবিতার কাব্যিকতা ও অতিক্রম্য গন্তব্যের দৈর্ঘ। অসাধারণ লিখেছেন কবি ।
loading...