যদি প্রয়োজন হয়
যে শাপলা শালুক ফুটে আছে হাকালুকি হাওরে, তাকে সাক্ষী রেখে
আমি লিখতে পারি আমার কবিতা। যে শহীদ মিনারের পাদদেশে
ছায়া রাখছে দুপুরের চড়ুই- কিংবা যে স্মৃতিসৌধের চূড়ায় স্মৃতি
উড়িয়ে দিচ্ছে প্রতিবেশী দোয়েল, আমি তার স্বরসঙ্গীত নিয়েও
লিখতে পারি গানের অন্তরা। অথবা ভৈরবী সুর দিয়ে এই বাংলার
নদীগুলোকে বাজাতে পারি আমার নিজস্ব সারিন্দায়।
একদিন নিজের নাম ভুলে গিয়েছিল যে পথ, আমি সেই পথকেও
ফিরিয়ে আনতে পারি আমার ঘরে। এবং সগর্বে বলতে পারি-
আমি দেখেছি একাত্তরের রোদে ঘেরা রক্তের শাণিত ঝলক।
যে মহাসড়কের পাশে শহীদ হয়েছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা, সেই
ডোবায় আজও ফুটে থাকে কচুরিপানার ফুল।যে ব্রিজ উড়িয়ে
দিতে গিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছিলেন আমার সহোদর,সেখানে এখন
অন্য কারো নামে ঝুলে আছে নতুন সেতুর নামফলক।
সেতু পেরোতে পেরোতে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে পথিক,
হায় স্বদেশ ! হায় স্বাধীনতা !
আমার স্বাধীনতার চারপাশে জাল বুনছে যে শোষক মাকড়শা’
চাইলে আমি তাকেও হত্যা করে হতে পারি খুনী।
তারপর শহীদ কাদরীর কবিতার পাশে দাঁড়িয়ে দিতে পারি ডাক-
যদি প্রয়োজন হয়- তুমিও এসো,
প্রেমকাব্য ভুলে গিয়ে আমরা প্রজ্বলন করবো
আরেকটি শিখা অনির্বাণ।
loading...
loading...
‘যদি প্রয়োজন হয়- তুমিও এসো,
প্রেমকাব্য ভুলে গিয়ে আমরা প্রজ্বলন করবো
আরেকটি শিখা অনির্বাণ।’
___ আমাদের যোগ্য মনে করলে এই আবাহনে নিশ্চয়ই আমাদের পাবেন কবি।
loading...
*ঈদ মোবারক প্রিয় কবি।
loading...