মাটির দেশের মেয়ে
ধানসিঁড়ি নদীর তীরে বসে ছিল সেই মেয়ে
পরনে হলুদ ডোরাকাটা শাড়ি
মাথায় হলুদ গাঁদার ফুল
বেনীতে জড়ানো রজনীগন্ধার মালা
গলায় একছড়া মুক্তোর মালা।
চাঁপার কলির মত আঙুল দিয়ে সে
একটা ফুলের মালা বানাচ্ছিল
তার পুতুল মেয়ের বিয়ের জন্য।
তার সোনার বরণ দেখে মেঘেরা
তাকে মেঘবালিকা ভেবে ভুল করল।
তারা নীচে নেমে এলো মেয়েটির পাশে
বললো —ওগো মেঘবালিকা তোমার
জন্য আমরা কি এনেছি বলত ?
সে অবাক হয়ে তার হরিনীর মত
চোখ দুটি তুলে বললো— কি?
মেঘেরা তখন তাকে রামধনু রঙ পশম,
চাঁদনী রঙের শাড়ি আর
তারা বসানো গলার মালা দিল।
মেঘেরা বললো—যাবে মেয়ে
আমাদের দেশে ?
সেথায় খুব মজা।
চাঁদের পরীরা একটা রানী খুঁজছে
তুমি কি ওদের রানী হবে?
মেয়েটা ভাবল অনেকক্ষণ …..
তারপর বললো ….
না গো আমি ত’ মেঘবালিকা নই …
আমি মাটির মানুষ….
এই মালাটি গাঁথছি আমার
পুতুল মেয়ের বিয়ের জন্য।
মেঘেরা বললো—ঠিক আছে
তুমি ওই পশম দিয়ে জামা বুনো
শাড়িটা আর তারার মালাটা তোমার।
মেয়েটি ভীষণ খুশি হয়ে তার গলার
মুক্তোর মালা খুলে
মেঘেদের দিয়ে দিলো আর
বললো—-যখন চাঁদপরীরা
ওদের রানী খুঁজে পাবে তখন
তাকে এই মালাটি পড়িয়ে দিও
আর বলো, মাটির দেশের মেয়ে
বলেছে—-সে এক দিন তাদের
দেশে বেড়াতে যাবে …
কথা দিয়েছে ।
loading...
loading...
মেঘবালিকার নয় মাটির মানুষের চিত্রায়ণ। অসাধারণ এক দৃশ্যপট।
অভিনন্দন প্রিয় কবিবন্ধু। চমৎকার লিখন।
loading...
মাটির দেশের মেয়েটিকে ভালো লেগেছে!
শুভেচ্ছা জানবেন কবি দি।
loading...
অনেক ভালবাসা নিও সবাই |
loading...