কবি শহীদ কাদরী নিউইয়র্কে একটি সাহিত্য আড্ডার হোস্ট ছিলেন। এর নাম ছিলো ‘একটি কবিতা সন্ধ্যা’। শহীদ কাদরী চাইতেন, নতুন কবিতা লেখা হোক। আমি খুবই অনুপ্রেরণা পেতাম তার কাছ থেকে। ‘আমাকে দেখতে এসেছিল যে শঙ্খচিল’ কবিতাটি সেই কবিতা আড্ডাকে ঘিরেই লেখা। মনে পড়ছে, আমি যখন কবিতাটি পড়ে শেষ করি তখন শহীদ ভাই একবাক্যে বলেছিলেন, ‘বাহ!’ আমি শুধুই তাকিয়েছিলাম তার মুখের দিকে।
দ্বিতীয় কবিতাটি ‘তুলিকাব্য’ আমার প্রেমিকাকে নিয়ে লেখা। সেই প্রেমিকা এখনও আমার প্রেমিকা। আমার সহধর্মিনী। হ্যাঁ, এই কবিতায় আমি আগামীর তরুণ প্রেমিক কবিকে প্রেমমহলে আমন্ত্রণ জানিয়েছি মাত্র।
তৃতীয় কবিতা ‘পুনর্পাঠের তথ্যতালিকা’য় আমি মানুষ ও প্রকৃতির যুথসম্পর্ক আঁকতে চেয়েছি। আমি অনেক কথাই নিজের মতো করে লিখি পঙক্তিমালায়। এটাও তেমনি একটি কবিতা।
‘পেরেকপাত্রে একা’- কবিতাটিতে আমার জীবনের বোহেমিয়ান প্রশ্বাসই প্রকাশিত হয়েছে। আমি মূলত বাউলবাদী মানুষ। লেখালেখির শুরুও বাউল গান দিয়ে। আমি সবসময়ই মনে করি, পৃথিবীটা একটা পেরেকপাত্র। আর সেখানে প্রেম নিয়ে, বিরহ নিয়ে, বৈভব নিয়ে, দারিদ্র্য নিয়ে মানুষ একান্তই একা। আর সেই মানুষটি যদি কবি হয়! না, কোনো শাসনের তাবেদারিই মানতে পারে না সে।
‘প্রিয় জেনারেল’ একটি দীর্ঘ রাজনৈতিক কবিতা। কি বলেছি, কেন বলেছি- তা পড়লেই সহজে বোঝা যায়। আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন অভিবাসী নাগরিক হিসেবে অনেক ঘটনাই ভেতর থেকে দেখেছি। আমি জানি, শেষ পর্যন্ত মজলুম মানুষেরই জয় হয়। ইরাক-আমেরিকা যুদ্ধে সেটাই হয়েছে।
loading...
loading...
স্মৃতিচারণায় উল্লেখিত প্রায় সব কবিতাই আমার পড়ার সুযোগ হয়েছে ইলিয়াস ভাই।
ভালো লাগলো কবিতার পিছনের গল্প। জীবন যেন এক এলোমেলো’র ভাণ্ডার।
loading...