বদরুদ্দীন চৌধুরী সাহসী লোক। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় বিভাগের কর্মকর্তা। দায়িত্বের দায়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছুটে বেড়ান। এবার রাজশাহী বিভাগের এক জেলায় এসেছেন। অফিসের বন্দোবস্ত করা অভিজাত হোটেলে উঠেছেন।
বদরুদ্দীন সাহেব একা ঘুমোতে পারেন না। সমস্যা হয়। তার মনে হয় হোটেলের রুমে আরো কেউ আছে। সে মাঝরাতে ঘুম ভাংগিয়ে সেলসের আপডেট জানতে চাইবে-প্রডাক্টের কোয়ালিটি আর কমিশনের ব্যাপারে প্রশ্ন করবে।
রাতের খাবার খেয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলেন। প্রতিবারের মত এবারও ঘুমানোর আগে এটাচড বাথরুম চেক করে ছিটকনি লাগালেন। কার্নিশে কেউ আছে কি না দেখে জানালা লক করলেন। ওয়াল ওয়ারড্রোবের ভিতরে কেউ লুকিয়ে নেই- এটা নিশ্চিত হয়ে লক করলেন। সবশেষে খাটের তলায় আর সাইড টেবিলের তলায় কেউ নাই দেখে নিশ্চিন্ত হলেন। এক গ্লাস পানি খেলেন। সুইচবোর্ড থেকে লাইট বন্ধ করলেন। খাটের পাশের টেবিলে রাখা টেবিল ল্যাম্পটা জ্বালালেন। বিছানায় উঠতে গিয়েই থমকে গেলেন; বিছানার ঠিক মাঝখানে এক আলুঝালু পাগল বসে আছে। দুজন মুখোমুখি। শিতল কণ্ঠে পাগল বলল,’মামুর বেটা, কাকে লাড়তে কাকে লেড়েছিষ, বিবেক পাগলারে জাগিয়ে তুলেছিষ। ষেলষের আপডেট কি! আয় তোদের ভেজাল প্রডাক্ট লিয়ে লাপাক-ঝাপাক লাপাক-ঝাপাক লাড়ালাড়ি খেলা খেলি।’
ভেজাল পণ্যের তথ্যটা গোপন রাখবে এই শর্তে অসীম সাহসী বদরুদ্দীন চৌধুরী আলুঝালু পাগলের সাথে লাড়ালাড়ি খেলা খেলতে শুরু করলেন- রাত যত বাড়ছে, খেলা ততই জমে উঠছে।
loading...
loading...
অসাধারণ অণুগল্প।
loading...
ভেজাল পণ্যের তথ্যটা গোপন রাখবে এই শর্তে অসীম সাহসী বদরুদ্দীন চৌধুরী আলুঝালু পাগলের সাথে লাড়ালাড়ি খেলা খেলতে শুরু করলেন- রাত যত বাড়ছে, খেলা ততই জমে উঠছে।
*প্রতিটা বাঙালির জীবন এই লাড়ালাড়ি খেলতে খেলতে লড়বড় হয়ে যাচ্ছে কবি গপ্পকার । শুভকামনা জানবেন !
loading...