মলম শাহের মন উদাস। দু:খে আলিঝালি। মতিজানের বুক ফাইট্টা যায়। চোখে পানি, মনের ভিতরে আকুলিবিকুলি। ছাওয়ালডা আইজ তার মায়ের কাছে যাবি।
একদিন ছাওয়ালডা নদীর ঘাটলায় ভাইস্যা আইছিল। দেহভর্তি বসন্তের গুঁটি- ছুইলেই সাক্ষাত মরণ। হায়! বাজা মতিজানের মায়ের মন। এতকিছু কি মানে! ছাওয়ালডারে মায়ের আদরে করে নিরাময়।
ছাওয়াল আপন মার কাছে ফিরা যায়। মরা মানিকরে জিন্দা পাইয়া মায়ে খুশীতে পেরেসান। ছাওয়ালরে জিগায়- ‘কে তোর মরা দেহে দিল পরাণ? সে কোন ভগবাইন?” ছাওয়াল কয়, “মা রে, তার নাম মতিজান। মলম শাহ’র বিবি।” মায়ের মাথায় আসমান ভাঙ্গি পরে। কাইন্দা কাইন্দা কয়- “যবন তোরে ছুইছে। তুই যবনের ঘরে থাকিছিস! খায়িছিস! হায় হায় ভগবাইন! তুই এখন কি জাইত!” ছাওয়াল কয়, “মারে আমি মানুষের জাইত।” মায়ে মানে না, কয়- “মানিক রে, তোরে ঘরে নিতে হবে পুরুত ঠাকুররে জিগায়া নিদান। বিনা নিদানে ঘরে লইলে আমারো জাত যাইবে চইলে।”
ছাওয়াল কয়, “মা রে, ছাওয়ালরে বুকে নিতে তুই চাইস পুরুত ঠাকুরের নিদান! তোর কাছে কে বড়- ধর্ম না সন্তান?” মায়ে পায়না জবাব। ছাওয়াল নিজের জাইত খুঁইজতে বিবাগী হয়।
ছাওয়াল নিজের জাইত খুইজে যায়। কিন্তুক জাইতরে খুইজে পায়না। এক এক রাইতে চাইন্দের থৈ থৈ রোশনায় দুনিয়া ভাসি যায়, ছাওয়াল দরাজ গলায় গায়ি ওঠে-
“সব লোকে কয় লালন কি জাইত সংসারে
লালন বইলে জাতের কি রুপ দেইখলাম না এই নজরে…”
loading...
loading...
অ সা ধা র ণ।
loading...
ভালো লাগল। সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো আমরা মানুষ
loading...