বুঝতে পারছি এখন সব
চলতি পথে অজস্র প্রশ্ন উঁকি দেয়া শৈশব,
মধ্য রাতের ঘুম ভাঙ্গা অসহায়ত্ব
বুঝিয়ে দিচ্ছে- কোন যন্ত্রণায় চৌরাস্তার মুখে
লোকটি দিবানিশি দাঁড়িয়ে থাকত!
বুঝতে পারছি – বাবার হাত ধরে তির তির করে হাটা
ঠা ঠা রোদ্দুর পিঠে তুলে, আমার মাথায় কেন বাড়িয়ে দিতো ছাতা!
বুঝতে পারছি – রাস্তার পাশে বস্তা ঘেরা ঝুপড়ি ঘর
এক হালি সন্তান আর স্ত্রী বর, চার হাত শয্যায় কেমন করে থাকে!
এখন নিজেকে বুঝতে হয় রোজ- ছুটতে ছুটতে
বুঝতে পারছি- কন কনে শীতের নৃশংসতা উপেক্ষা করে
নস্যি মাখা মুখে ঐ শিশুর জননী কেন চেয়ে থাকত সূর্যের দিকে!
কেন বাবার শার্ট কুচকে থাকতো, জুতা গুলো ধুলোয় ডুবে থাকতো
বুঝতে পারছি- শত না থাকার মাঝে কেন থাকতো না ভ্রুক্ষেপ!
যদিও প্রশ্ন গুলো করা হয়নি কোনদিন- কাউকে
এখন ঠিকই উত্তর পাচ্ছি, একে একে জানতে পারছি সব বিমূর্ত ভাষা;
দুধ মাখা ভাতের লহমা তুলে দিতে দিতে মায়ের বুক বেঁধেছিল কোন আশা!
বুঝতে পারছি- তাম্র তৃষ্ণ হাতের সেই মৃণ্ময়ী শিল্পের মর্ম
রোজ সকালে ফুটপাতে কাগজ কুড়ানো অজস্র শিশু কিশোরের ধর্ম!
ভাবতাম কেমন করে থাকে ওরা ঝড়ের রাতে-
যখন প্রকম্পিত পৃথিবী দুর্ধর্ষ বজ্র নিনাদে, অথবা কাঠ পাঠা রোদ্রতাপে
আমাদের মাথার উপর ঘুরছে পাখা অবিরাম… সারাক্ষণ!
বুঝতে পারছি এখন সব-
সোমত্ত জীবন পাড়ি দিয়ে হৃদয়ের প্রকোষ্ঠে বৈষ্ণব পদাবলীর নিগূঢ় অনুভব!
বুঝতে পারছি- যৌবন সায়াহ্নে উৎসারিত সুর উপেক্ষা করে
কোন সুদূরে ছুটে যায়
কোন যুদ্ধের দামামায় মত্ত হয় চেতনা…
বস্তুত: বোঝার কি শেষ আছে? শত জানার পরও সহস্র থেকে যায় অজানা…।
দাউদুল ইসলাম।
১/২/১৭
loading...
loading...
সোমত্ত জীবন পাড়ি দিয়ে হৃদয়ের প্রকোষ্ঠে বৈষ্ণব পদাবলীর নিগূঢ় অনুভব!
___ কী অসাধারণ মাধুর্য দিয়েই না পুরো লিখাটি তৈরী করেছেন। গ্রেট স্যার।
loading...
আমার শ্রদ্ধা গ্রহন করুন
অনেক ভালবাসা ও শুভেচ্ছা জানাই
শুভ কামনা রইল –
loading...
ভালো হয়েছে । শুভেচ্ছা নিও কবি ।
loading...
সুন্দর মন্তব্যে প্রাণিত হলাম কবি।
বিনীত সালাম…ভালবাসা ও শুভেচ্ছা রইল –
loading...
loading...
loading...
বহুদিন পরে দাউদ ভাইকে পেয়ে খুব ভাল লাগছে। আশা করি ভাল আছেন।
শুভেচ্ছা নিবেন।
loading...
খুশি হলাম আপনার প্রীত ময় উপস্থিতি
দৃঢ় হোক ভালোবাসা
বিনয়াবনত সালাম-
loading...
loading...
loading...