তোরা তো শুধুমুখে বড় হয়ে গেলি!
আতাগাছ থেকে পড়ে কনুই ভাঙল না ক্লাস ফাইভে, সাঁতার শেখানোর নামে পাড়ার টিকাশদা কলপুকুরে ছেড়ে দিল আর প্রাণ বাঁচাতে জলে হাঁচোড় পাঁচোড় করে ভাসনশিক্ষা ও জীবনের ব্রহ্মজ্ঞান – দুইয়ের কোনটাই হল না তোদের। মাঝরাতে পাতিশেয়ালের ডাকে ঘুম ভেঙ্গে মাকে জড়িয়ে ধরলি না, জংগলে ছক্কা-খাওয়া বল খুঁজতে গিয়ে আলকুশিতে ঢোল হল না পায়ের ডিম, টিউশানি পড়ে ফেরার পথে গাছের চুলে হলুদ ক্লিপের মতো জোনাক দেখলি না, দিদিমার কিশমিশ বুক মুখে পুরলি কই মায়ের জোর করে দুধ ছাড়ানোর সান্ত্বনায়?
ভোরবেলার শিউলি-কুড়নো ক্লাসে নাম লেখালি না তো, সন্ধেবেলার অষ্টোত্তর শতনাম ক্লাসে! দশ পয়সার লাল কাঠি-আইসক্রিম খেয়ে বোনকে দেখাসনি মাকালী, তাছাড়া মাটির পুতুলের মুণ্ডু ভেঙ্গে যাওয়ার যে কান্না, সেই অতুলনীয় জলেভাসা চোখও বা কোথায় হারালি, বল! কচুরিপানার ঢিবির ওপর ছুটতে গিয়ে গোড়ালিতে পেরেক ফুটল কি একটাও, আর সেখানে রাতভর প্রদীপের পলতে পুড়িয়ে স্যাঁকা? এই “সত্যি কাহিনি”ও শুনতে পেলি না যে স্কুলের স্যার একটা ছেলেকে চুলের মুঠো ধরে টানতেই ডানহাতে খুলির কর্তাল উঠে এসেছে — ভেতরে গিজগিজ কেন্নোর বাচ্চা!
সন্ধের মুখে আকাশের এপাশ থেকে ওপাশ টিয়ার ঝাঁক চলে যেত, ধরো এক একটাতে একশো-দেড়শো টিয়া আর জমি ছিল আপামর ফাঁকা… তার নয়ানজুলিতে তিনচোখো, ল্যাটামাছ, কই তোদের ছিপ হাতে বসিয়ে দিল না যে-কোনও শ্রাবণে। পকেটে চল্লিশ টাকা, সিনেমা দেখতে বেরিয়ে একা রওনা দিলি না দুদিন দুরাত হাজারদুয়ারি…
গুটির মধ্যেই চুপচাপ তোরা পায়েচলা প্রজাপতি হয়ে গেলি রে, বাবান!
loading...
loading...
দারুণ প্রক্ষেপণ। মুগ্ধ হয়ে পড়লাম জোড়া লেগে যাওয়া শব্দ গুলোন।
ভিন্ন মাত্রিক প্রেক্ষাপটের লিখা ব্লগকে সমৃদ্ধ করে। আপনার লিখাও তাই।
loading...
ভিন্ন ধাচের লেখাটি অনেক ভাল লাগল।
শব্দনীড় ব্লগে আপনার আরও লেখা আর সময় দাবী করছি।
loading...
তোরা তো শুধুমুখে বড় হয়ে গেলি!
আতাগাছ থেকে পড়ে কনুই ভাঙল না ক্লাস ফাইভে, সাঁতার শেখানোর নামে পাড়ার টিকাশদা কলপুকুরে ছেড়ে দিল আর প্রাণ বাঁচাতে জলে হাঁচোড় পাঁচোড় করে ভাসনশিক্ষা ও জীবনের ব্রহ্মজ্ঞান – দুইয়ের কোনটাই হল না তোদের। – হারিয়ে গেলাম কোথায়ও! এখানেই লেখকের ক্রেডিট।
loading...
মাঝরাতে পাতিশেয়ালের ডাকে ঘুম ভেঙ্গে মাকে জড়িয়ে ধরলি না, জংগলে ছক্কা-খাওয়া বল খুঁজতে গিয়ে আলকুশিতে ঢোল হল না পায়ের ডিম, টিউশানি পড়ে ফেরার পথে গাছের চুলে হলুদ ক্লিপের মতো জোনাক দেখলি না, দিদিমার কিশমিশ বুক মুখে পুরলি কই মায়ের জোর করে দুধ ছাড়ানোর সান্ত্বনায়?
loading...
আমার খুব মনে টড়ে গেলো সেইদিন গুলো।
অসাধারণ লিখেছেন।
শুভেচ্ছা নিবেন
loading...