যে-সাবেক সমকালের গা ছুঁয়ে আছে সে-ই ভালোবাসা। অথচ আজ আর গতআজ পরস্পরকে ধ্বংস করে বলেই আমরা জানি। প্রেম থেকে প্রেমে সবকিছু বদলে যায়, এমন ঘোষণাও রয়েছে। যেভাবে মঞ্চ এক রেখে আলোর গরিমা দর্শককে আলাদা দেশলোকে নিয়ে যেতে পারে।
নতুন প্রেম রেনেসাঁসের মতো।
আসলে ভালোবাসার ইতিহাসকে সেই সব জাহাজই পরিচালনা করে যারা অনেকগুলো এপিসোড বেঁচে গেছে, প্রচুর ঝড় নিতে পেরেছে বুকে। মহৎ প্রেমিকেরা এক হিসেবে প্রেম নয়, সভ্যতা সৃষ্টি করছে যা পৃথিবীর মান্য ধর্মগুলো তৈরির চেয়ে কিছু কম কঠিন বলা যাবে না।
আবার, প্রতিটা বিচ্ছেদকে তুমি বলতে পারো ১৮১৭ থেকে ১৮৫২ সাল, যখন ফরাসি বিপ্লবের পর মন্দা চলছিল ইউরোপ জুড়ে। অর্থনীতির মতো প্রেমেরও একটা নিজস্ব স্পন্দন আছে। তাকে ‘চন্দনের শতাব্দী’ বা ‘সুদীপ্তার এরা’ বলতে অনায়াসে চিহ্নিত করা যায়।
বিচ্ছেদ আসলে সম্পর্কের যোগ্যতাকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, যেমন জীবনের পরিণত হয়ে ওঠার প্রমাণ থাকে মৃত্যুতে। যেভাবে কখনও মরে-যেতে-না-পারা মৃত্যুর সমান হয়ে দাঁড়ায়, তেমনি চলে যাওয়ার ব্যর্থতাই বিচ্ছিন্নতা নিয়ে আসবে। বিচ্ছেদ একটা গুণগত মান যার মধ্যে মার্কশীটে খুব উঁচু নম্বর পাওয়া সম্পর্ককে বোঝার চেষ্টা ধরা পড়ছে।
সবচেয়ে বড় প্রেমের নামই তো বিচ্ছেদ।
আমি দেখেছি, কী যত্নে তুমি আমার বিপরীতকে ধারণ করে আছ। একা হ’লে তার ভেতরে কোনও ছিদ্র নেই সুতো পরানোর। তুমি ঠিক উলটো রকম ছিলে বলেই আমার পরিচয় এত নিখুঁতভাবে তৈরি হল। তোমার সামনে থাকা মানে লজ্জিত মুদ্রিত ভালো থাকা। ক্রমাগত নিজেকে হারাতে হারাতে দূরে যাওয়ার সুযোগে অসীম পর্যন্ত বড় হলাম। আজ ধর্মনিরপেক্ষভাবে দেখি, মানুষও যা হতে চায় তাই হয়েছে — রক্তমাখা, বিচ্ছিন্ন।
যদি বিচ্ছিন্নতা তোমার লোহিতকণা ধ্বংস না করে, তাকে বিশ্বাস ক’রো না।
loading...
loading...
যদি বিচ্ছিন্নতা তোমার লোহিতকণা ধ্বংস না করে, তাকে বিশ্বাস ক’রো না।
শিখে নিলাম স্যার
সালাম জানবেন।
loading...
লিখা উপস্থাপনে আপনার যে নান্দনিকতা … এই বিষয়টি আমার ভালো লাগে।
loading...