সন্ধের বিনয়ী আলো এসে পড়েছে সন্ধের ওপরে
ডুবে যাওয়া দ্বীপের চুড়োয় উঁচু উঁচু মহাকাশের পাহারাদার।
আর গোলাপি পাথরের তোরণের গায়ে এক সন্ন্যাসিনী;
ঠান্ডা কপাল টান করে বাঁধা, গায়ের পোষাক
হাওয়া-লাগা পুকুরের পদ্মপাতার মতো নানান ফ্রিলের গরীয়সী
মাঠের নিচ-পাতাল দিয়ে মাঝে মাঝে সমগ্র ময়াল হেঁটে যায়
সেই শঙ্কা লেগে মাটির ওপরে ঘাস ঝলসানো।
জলাশয় আছে, কিন্তু জল কী প্রকার জিগ্যেস করো না,
বরং সহর্ষ মালাইচাকি দেখানো ওই
সেনাপতিমূর্তির কথা জানি
ভেবেছিল দখলের চারপাশে পাঁচিল তুললেই — মধ্যে দুচারটি ফোয়ারা — নুড়িপাথরের স্রোতে শ্লথ হয়ে যাবে অশ্বারোহী।
নিজে দুর্গ হয়ে জনতাকে কেটেকুটে বানাবে পরিখা, আর
এইভাবে ইতিহাসপুরুষ হবে
ভুল সে ভাবেনি!
পুরনো দ্বীপ ডুবে গেছে; গীর্জার বটগাছ বা বটগাছের গীর্জার পাশে সারসার লোহার স্থবির বেঞ্চে আমপাতা কিশোরকিশোরি — মাথায় পাখির দাগ, পোষাকে শ্যাওলা নিয়ে পরস্পর জড়িয়ে শিলীভূত।
শুধু একক আসনে এক যুবা — বুকে কান পাতলে
অসামান্য ধুকধুকি শোনা যেত
রক্তশুকনো ঠোঁট নড়ে উঠতো আলগোছে…
“আমি তোমাকে ছোঁব, নভতল”
loading...
loading...
কবিতার স্বরূপ। এমন কবিতা বারংবার পড়লেও মনে হয় রেশ থেকে যায়।
শুভ সকাল প্রিয় চন্দন দা। ভালো থাকবেন।
loading...